চট্টগ্রাম থেকে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালুর ঘোষণা



তাইফুর রহমান, কাতার করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
কাতার এয়ারওয়েজ

কাতার এয়ারওয়েজ

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে অবস্থানরত প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের মার্চে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু করবে কাতার এয়ারওয়েজ।

এক ঘোষণায় কাতার এয়ারওয়েজ জানায়, প্রবাসীদের ভ্রমণ আরামদায়ক ও নিরবিচ্ছিন্ন করতে আগামী ২০২৪ সালের ১১ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে কাতার সরাসরি ফ্লাইট চালু করা হবে।

এই ঘোষণায় আরও নতুন ৬টি গন্তেব্য, ১১টি রুটে পুনরায় ফ্লাইট চালু এবং ৩৫ রুটে ফ্লাইট বাড়ানোর কথা জানায় কাতার এয়ারওয়েজ।

চট্টগ্রাম ছাড়া নতুন রুটগুলো হলো-সাউথ সুদানের জুবা, কঙ্গোর কিনশাসা, ফ্রান্সের লিওঁ এবং তলুজ, ইন্দোনেশিয়ার মেদান ও তুরস্কের ট্রাবজোন।

এদিকে নতুন এই ঘোষণায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রবাসীদের মধ্যে একটি স্বস্তির সুবাতাস বইছে।

এর আগে কাতার থেকে ঢাকায় গিয়ে তারপর আবার চট্টগ্রামে পৌঁছাতে হত প্রবাসীদের। কাতার-চট্টগ্রাম সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় ওই অঞ্চলের প্রবাসীদেরকে আর ভ্রমণ জটিলতায় পরতে হবে না।

কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা



ফারজানা নাজ শম্পা
কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা

কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আনোয়ার দোহা একজন অমায়িক সদালাপী ব্যক্তিত্ব যিনি দীর্ঘ সময় ধরে কানাডায় মূলধারায়বাংলা বইয়ের প্রসারও বাণিজ্যিকি করণে নিবেদিত থেকেছেন l বেঁচে থাকার ছক কাটা জীবন হতে একটু দুরে থেকে স্বতন্ত্র ধারায় চিন্তাকরেছেন আর হৃদয়ে ধারণ করেন বাংলাদেশের দেশাত্মবোধের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা l কানাডায় মূলধারায়বাংলা বইয়ের সহজলভ্যতার অভাব জনিত শুন্যতা তাকে তাড়িত করতো সেই অদম্য বাসনা হতে কানাডায়বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠন অধ্যুষিত জনপ্রিয় ড্যানফোর্থ সড়কে ২৯৭২ ড্যানফোর্থ এভিনিউতে নিজের শেষ সম্বলকে পুঁজি করে তুলে প্রতিষ্ঠান 'এটি এন মেগা স্টোর ( [email protected] l কানাডার পরবাসী বাঙালি ও পরবর্তীপ্রজন্মের কাছে তাঁর বাংলা ভাষা সাহিত্য ও কৃষ্টির আবহ লালিত উপকরণ সম্ভারে পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে একটি বিশেষ আলাপচারিতায় যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে তিনি বলেন ' ২০০১ সালে প্রথমে আমার নিউ ইয়র্ক হতে কানাডায় আগমন l বাংলাদেশের দেশাত্মবোধ হৃদয়ে লালন করে২০০২ সালে প্রাথমিক ভাবে ধ্রপদী ও আধুনিক বাংলা গান চলচ্চিত্র র অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট , সিডি ইত্যাদিযাত্রা শুরু করি l পরবর্তীতে তে স্থানীয় বাংলা বই প্রেমী কানাডা প্রবাসী কয়েকজনের বিশেষ উৎসাহ কানাডায় বাংলাভাষা সাহিত্য বিকাশের নিরিখেহৃদয়ে লালিত আমার অদম্য এবং সুপ্ত ইচ্ছের সফল বাস্তবায়ন ঘটে ২০০৬ সাল হতে l বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সব ধরনের বই , অভিধান বাংলাদেশের ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন উৎসব সাময়িকীযেমন ঈদ ও পূজা র বিষয়ে অন্যান্য উৎসব সংখ্যা ইত্যাদি নিয়ে সেই যাত্রা শুরু করে এখনো পর্যন্ত পথ চলছি l কোন আদর্শ প্রেক্ষপট তাঁকে এই উদ্যোগে প্রাণিত করেছিল সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ' আমি মূলত হিসাব বিজ্ঞানবিষয়ে প্রবাসে আমেরিকা ও কানাডা কয়েকটি উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেই l কানাডায় হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষক রূপে দীর্ঘ সময় কর্মরত ছিলাম l

তবে কানাডায় মূলধারায় ও অভিবাসী বাঙালির অঙ্গনে বাংলাভাষার প্রসার পরিচিতি অব্যাহত রাখার তাগিদ ও বাংলা বইয়ের প্রাপ্তির শুন্যতা অন্তরে তীব্র তাড়না আমাকে বাংলাদেশের স্বকীয় পরিচয়সমৃদ্ধ এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে লালিত বাংলা বইয়ের দোকান গঠনের সিদ্ধান্ত নেবার শক্তি দেয় l সু সাহিত্যের মাধ্যমেই সুন্দর জীবনবোধসম্পন্ন জাতি গড়ে তোলা সম্ভব তাই কানাডায় অধিবাসী প্রবাসী দের ও পরবর্তী প্রজন্মেরমাঝে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস লালিত ক্ষেত্র সমুন্নত রাখার নিরিখে তাঁর এই উদ্যোগ l তাঁর অনুকরণীয় জীবন দর্শন আদর্শেও বিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি জানান ' একজন বাঙ্গালী হিসেবে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা ছোটবেলা থেকে বইয়ের সাথে আমার গভীর সম্পৃক্ততা এবং অপরকে ভাল বই পড়ানোর মানসিক তৃপ্তি এবংএই প্রক্রিয়ায় সুকুমার বিকাশে এই দর্শনেই কানাডায় বাংলা বই বিপণন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়েছি। আলোকিত মানুষগড়ার কারিগর শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আবু সায়িদের জীবন বোধ আমার অনুকরণীয় আদর্শ ।' তাঁর এই প্রতিষ্ঠানেরবাংলা বইয়ের সংগ্রহ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দুই বাংলার বরণীয় লেখকদের স্মরণীয় জনপ্রিয় লেখাউপন্যাস ও কবিতা , অনুবাদ গল্প সমৃদ্ধ সকল বয়সের পাঠক উপযোগি বই আমাদের সংগ্রহে আছে। শিশুদের জন্যবাংলা বর্ণ শেখা , গণিত ও সংখ্যা গণনা , ছড়া, কবিতা ও পল্পের বই এবং কিশোরদের জন্য ফিক্শান নন ফিকশানসবধরনের উপন্যাস,গল্প ও কবিতাসহ বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন ধর্মীয় বই সংগ্রহে রয়েছে। পাঠকদের চাহিদা অনুসারে অর্ডার নেয়া হয় l বাংলা সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে যেমন মৃৎ শিল্প , পোড়ামাটি , বাঁশ, বেত ও কাঠজাত মনকাড়া গৃহসজ্জা , চিত্র ও উপহার সামগ্রী , বাংলাদেশের পতাকা ও পতাকা খচিত টি-সার্ট সুভেনীর, লুঙ্গি, গামছা ইত্যাদি।বাংলাদেশের ঐতিহ্য ইতিহাস ধারন না লালন করে না পণ্যসামগ্রী আমি আমাদের সংগ্রহে রাখি না। '

নিজের জন্ম পরিবার ও শিক্ষাজীবন ও জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত প্রসঙ্গে 'আমার জন্ম ১৯৫৪ সালের অগাস্ট মাসে বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুরজেলায়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করি , আমারপড়ালেখা র বিষয়ের সাথে যদিও ভাষা-সংস্কৃতির সাথে যোগাযোগ কম তথাপী আমার বাংলা ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি অদম্য নেশা সদাই আমাকে আকৃষ্ট রাখতো। কর্ম দক্ষতার প্রসারে দেশে বিদেশে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একাধিক পেশাভিত্তিক ডিপ্লোমা নিয়ে আমার অধ্যায়ন জীবনের পরিধি প্রায় ৩৫ বছর। আমাদের ৪৩ বছরেরবিবাহিত জীবনে তিন কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা আমি l কন্যারা সবাই বিবাহিতা এবং স্বামী সন্তানদের নিয়েটরেন্টো তে আছেন । আমার স্ত্রী শুধু আমার জীবনেরই নয় আমার ব্যাবসায় সার্বক্ষণিক সঙ্গিনী। আমার স্মরনীয় মূহুর্ত যখন বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করি এবং " কাজীর সামনে কবুল বলা”। আমার জীবনেরস্মরনীয় ঘটনাবলী অপারশুন্যতা হতে সৃষ্টি ''পিতা ও মাতার মৃ্ত্যু শোক।" আমার অবসর মেলে খুব কম আমার মতে অবসর হলো এককথায় আগামী কালের জন্য মগজ ধোলাই।তাঁর পছন্দের সাহিত্যেকদের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল 'দুই বাংলার প্রায়সব লেখকই আমার প্রিয় তবে সবার লেখাই যে আমার সম মাত্রায় ভালো লাগে এমন নয় , রম্য রসাত্মক লেখা বেশী আকৃষ্ট করে l আগ্রহের তালিকায় আছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় , সৈয়দ মুজতবা আলী, জসিমউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ প্রমুখ। ভ্রমন, শপিং আর ভাল কোন বই সংগ্রহ করে অন্যকে পড়ানো আমার শখ বলতেপারেন। অদূর ভবিষ্যতে কানাডার বাংলা সাহিত্য অনুরাগী এবং সংস্কৃতি প্রেমীদের সহযোগিতায় টরেন্টোতে একটি বাংলা পাঠগার প্রতিষ্ঠা করা আগামীর কর্ম পরিকল্পনা।বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নিয়ে প্রকাশনা এবং গবেষনাসম্পর্কে তাঁর মতামত 'মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণা অবশ্যই হচ্ছে l তবে বাস্তবতা হলো এক্ষেত্রে প্রকৃত গবেষনার চেয়েঅনেক লোকদেখানো বা রাজনৈতিক প্রভাবযুক্ত হয়ে পড়ছে যা আমার বিবেচনায় সঠিক দিক নির্দেশনা বিহীনউদ্যোগ l মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নিরপেক্ষ এবং নির্মোহ দেশাত্মবোধের অবস্থান হতে কাজ করতে হবে l ' তাঁর এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন 'আমার প্রাপ্তির অভিজ্ঞতায় কঠোর বাঁধা এবং উৎসাহদুটোই ছিল। বাংলা বইকে কানাডায়'মূলধারায় বানিজ্যিক পন্য হিসাবে আজকের গ্রহণযোগ্য স্থানে নেবারঅভিপ্রায়ে আমাকে প্রচুর কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে , কানাডায় হাজার হাজার ডলার ভর্তূকি দিতে হয়েছে এবংএখনো হচ্ছে ,তবে আমার শখ বা দেশপ্রেম দুই কারনে কোন বাঁধা ই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারছে না এবং হাল ছাড়িনি l '

ভাল বই আমাদের পরিশুদ্ধ মনন গঠন এবং বিশুদ্ধ চিন্তা করতে শেখায় l এই বোধ কে সামনে রেখে ই আনোয়ারদোহা টরেন্টো তে অগ্রসর হয়েছেন l টরেন্টো সংক্ষিপ্ত সফর এবং আনোয়ার দোহা ভাইয়ের দোকানে যখনই গিয়েছি তিনি উষ্ণআন্তরিকতায় ও পারিবারিক আতিথ্য আমাদের ভরিয়ে রেখেছেন l আমি লিখি তা অবগত হয়ে গুরুত্বপূর্ন বইয়েরপাঠ ও কেনার নির্দেশনা ও বই উপহার দিয়েছেন l আমাদের আলাপচারিতায় অমায়িক সদালাপী এবং দেশপ্রেমিকএই প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব অনর্গল বলেছিলেন বাংলাদেশের অশ্রুত ইতিহাসের মূল্যবান বিভিন্ন দিক l কানাডায় বাংলা ভাষা ইতিহাস এবং ঐতিহ্য কে হৃদয়ে ধারন করে শ্রদ্ধাভাজন আত্মপ্রত্যয় দীপ্ত এই ব্যক্তিত্বের উদ্যোগ সুদীর্ঘ সফলতা লাভকরুক l আনোয়ার দোহা ভাইয়ের কানাডার মূলধারায় বাংলা বইয়ের দীর্ঘ পথযাত্রায় মাঝে মধ্যেই 'এ টি এন মেগাস্টোর গ্রন্থনীড়ে কানাডায় বসবাসরত এবং কানাডায় সফর কারী বাংলা ভাষা সাহিত্যের অনেক কালজয়ী সাহিত্যকসাংষ্কৃতিক গুণীজনের মিলন মেলায় পরিণত হয় l আর কানাডার বাংলা সাহিত্য ইতিহাস অনুরাগী পরবাসী পাঠকলেখক সহ অভিবাসী পাঠকের খুঁজে পায় দেশের স্বকীয় আত্মপরিচয়সমৃদ্ধ চিন্তার আনন্দেলোক l কোভিড মহামারীকালিন সময়ে কানাডায় বাংলাবইয়ের ক্রেতা সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেলেও আনোয়ার দোহা দমে জাননি l

কানাডা ও উত্তরআমেরিকার প্রবাসী বাঙালিরা তাঁর প্রতিষ্ঠান হতে বই কিনে বাংলা ভাষী ও বাংলাদেশি রা তাঁদের জাতিগত আত্মপরিচয়জাত চিন্তার উত্তরণ ঘটিয়ে আনোয়ার দোহা ভাইযের অনন্য উদ্যোগের পাশে আছেন।

;

দুবাই আমিরিকান ইউনিভার্সিটিতে রুমকির চিত্রকর্ম প্রদর্শনী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমিরাত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন ঘিরে দুবাই আমিরিকান ইউনিভার্সিটিতে এ চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট। যেখানে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের গুণী শিল্পী হাসুরা আক্তার রুমকির চিত্রকর্ম। দুই দেশের ১৬ জন শিল্পীর ৮০টি চিত্রকর্ম। এতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের ১১ ও আমিরাতের পাঁচ জন চিত্রশিল্পী।

শনিবার (২০ মে) রাতে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। রবিবার থেকে বুধবার প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ও আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধনী দিনে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ের ব্যক্তিরা ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এসেছেন এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশের নাগরিক। তারা দেখছেন ভিন্ন এক বাংলাদেশ।জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী কনকচাঁপা চাকমা উপস্থিত ছিলেন ।

দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল জানান, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সফর ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। কূটনৈতিক সম্পর্কের এ ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ মিশন। তারই অংশ হিসেবে দুই দেশের চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয়েছে এ চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর।

আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী মাস থেকে যৌথভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি হচ্ছে এ দেশে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি। কূটনৈতিক সম্পর্কের অনেক দিকের মধ্যে একটি হচ্ছে সংস্কৃতি। এ আয়োজনের মধ্য ‍দিয়ে দুই দেশের সেই সংস্কৃতির মেলবন্ধন আরও জোরদার হবে।

;

বাংলাদেশি অভিবাসীদের আইনগত সহায়তায় ফ্রান্স আইনজীবীর আগ্রহ প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম এর সাথে ফ্রান্সের ফৌজদারী আইনজীবী ক্লেমেন্স উইট এর এক আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার ০৯ মে প্যারিসের সেইরো তে অবস্থিত আইনী সংস্থা ছ্যাভান এন্ড উইট অ্যাডভোকেটস এ ঘন্টাব্যাপী উক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে অন্যান্যদের পাশাপাশি পারিসে বসবাসরত বাংলাদেশী মানবাধিকার কর্মী মঈনুদ্দীন খান এবং আইনী সংস্থা ছ্যাভান এন্ড উইট অ্যাডভোকেটস এ কর্মরত আইনজীবী থিও বেরেবি অংশগ্রহণ করেন।

ক্লেমেন্স উইট প্যারিস বারের একজন বিখ্যাত ফৌজদারি আইনজীবী এবং আইনি সংস্থা ছ্যাভান ও উইট অ্যাডভোকেটস এর অংশীদার।

অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং বর্তমানে মারিয়েন ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারের বিজয়ী হিসেবে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন।

বৈঠকে অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সাংবাদিক, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা ও নিপীড়নসহ বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

তিনি বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবত ঘটে আসা জাতিগত, ধর্মীয়, সামাজিক ও যৌন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতাসহ নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের মতো মানবাধিকার লংঘনজনিত বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের অভাব, পারিবারিক পুনর্মিলন ও পূনেকত্রীকরণ, আশ্রয় প্রক্রিয়া ও ভাষাগত সমস্যা সহ ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী ও অভিবাসীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা করেন।

তাছাড়া, অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম ফ্রান্সে জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স নামক একটি অলাভজনক মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে বৈঠকে উপস্থাপন করেন।

জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স এর ব্যানারে তথ্য প্রচার ও একটি শক্তিশালী রেফারেন্স ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী শরণার্থী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের জন্য ফ্রান্স সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সহায়তা ও পরিষেবাসমূহ সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম বৈঠকে সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে, উভয়পক্ষ ফ্রান্সে বসবাসকারী বাংলাদেশী শরণার্থী, রাজনৈনিক আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের জন্য সহায়তা পরিষেবাসমুহ সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে এক্ত্রে কাজ করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।

জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স তথ্য প্রচারাভিযান, আইনি ও অনুবাদ পরিষেবা, হেল্পলাইন বা হটলাইন স্থাপন, স্থানীয় এনজিও ও সহায়তা সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতা, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা, অনলাইন তথ্য হাব তৈরি, আউটরিচ ও বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা এবং নীতি নির্ধারনী অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছে বলে বৈঠকে জানান।

ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী শরণার্থী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের জন্য সহায়তা পরিষেবাসমূহ সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য একটি পথ খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৈঠকটি শেষ হয়।

;

ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সামনে আ.লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৫



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য প্রদানের সময় বিশ্বব্যাংকের সদরদফতরের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। পরে দলের নেতাদের হস্তক্ষেপে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সময় সোমবার (১ মে) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওয়াশিংটন ডিসির বিশ্বব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

উভয় দলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সোমবার সকালে বিশ্বব্যাংকের সামনে জয়বাংলা সমাবেশের আহবান করেন এবং একই সময়ে একই স্থানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিও প্রতিরোধ সমাবেশের ডাক দেন। দু'দলের অনুষ্ঠান সকাল নয়টার সময় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল পৌনে ৮টার দিকে অশোভনীয় ভাষায় স্লোগান শুরু হলে উভয় দলের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। উভয়ের মধ্যে ব্যানার নিয়ে টানা হ্যাচড়াসহ সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী আ.লীগের সদস্য শাহানারা রহমান, খোরশেদ খন্দকার ও আলী গজনবী এবং বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন সবুজ আহত হয় বলে দলের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান। সকালের এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও ১০টার দিকে উভয় দলের সমর্থকদের মাঝে পানির বোতল ছোঁড়াছুঁড়ির ঘটনা ঘটলে পুলিশ ছাত্রলীগের হৃদয় মিয়া ও আরিফুর রহমান এবং বিএনপির জাতীয়তাবাদী ফোরামের আজাদ মিয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে উভয় দলের নেতারদের হস্তক্ষেপে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

;