করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা এখনও বিবেচনাধীন
করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতার প্রমাণ খুবই কম ও এটি কতটুকু কার্যকর তা এখনও বিবেচনাধীন বলে জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ডব্লিউএইচও এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জোর দিয়ে বলেন, প্লাজমা চিকিৎসার কার্যকারিতা এখনো প্রমাণিত নয়। এখনও পর্যন্ত খুব কম প্রমাণ পেয়েছি যেখানে এটি নিরাপদ ও কার্যকর ছিল।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে প্লাজমা চিকিৎসা দেখার জন্য বেশ কয়েকটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি মাত্র ফলাফলের রিপোর্ট এসেছে। ফলাফল চূড়ান্ত হয় নয় এখনও। বিচারগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল কিছু ভলোর দিকে গেছে তবে তা চূড়ান্ত হয়নি। আমরা এখনও ট্র্যাক করছি পর্যালোচনাগুলো কোথায় স্থানান্তরিত হচ্ছে বা দেখানো হচ্ছে তা দেখার জন্য। বলতে গেলে এই মুহূর্তে খুব কম প্রমাণ রয়েছে।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালকের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. ব্রুস এলওয়ার্ড সতর্ক করে বলেন, প্লাজমা পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হালকা ঠাণ্ডা এবং মলদ্বার থেকে শুরু করে আরও মারাত্মক ফুসফুসের সমস্যা এবং রক্তসঞ্চালন ওভারলোড পর্যন্ত হতে পারে।
এর আগে রোববার কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে প্লাজমা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। এফডিএ জানায়, তাদের প্রাথমিক পরীক্ষায় এ চিকিৎসা পদ্ধতি নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। যদিও এর কার্যকারিতার প্রমাণ পেতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
প্লাজমা চিকিৎসায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে ওঠা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়া ব্যক্তিদের রক্তরস বা প্লাজমা ব্যবহার করা হয়। সুস্থ হওয়া ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা নিয়ে অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে দেওয়া হলে তার শরীরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করেছে। যদিও এ চিকিৎসা পদ্ধতির সফলতার বিষয়ে এখনও সুনিশ্চিত কোনও প্রমাণ গবেষকরা পাননি। তবে বিশ্বের অনেক দেশে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।