ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পরিচয়পত্র পেশ
![ছবি প্রতীকী।](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2020/Sep/10/1599710098839.jpg)
ছবি প্রতীকী।
ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটিতে (আইএসএ) বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। কোভিড-১৯ জনিত কারণে ভ্রমণ বিধি-নিষেধের ফলে ভার্চুয়াল আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে গত ৭ সেপ্টেম্বর এই পরিচয়পত্র পেশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে।
পরিচয়পত্র পেশের সময় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ও মহাসচিব লজের মধ্যে বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির ভূমিকা বিশেষ করে গভীর সমুদ্র তলদেশে অবস্থিত খনির সুফলের যথাযথ অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে আইএসএ-এর যে ভূমিকা তা গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসেবে সক্ষমতা বিনির্মাণ এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আইএসএ এর মধ্যে আরও বেশি সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। মহাসচিব লজ আইএসএ এর ম্যান্ডেট পূরণে বাংলাদেশের অবদানের প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ভবিষ্যতে কারিগরি ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটিতে বাংলাদেশ আরও নিবিড়ভাবে অংশগ্রহণ করবে মর্মে মহাসচিবকে নিশ্চয়তা দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
বাংলাদেশসহ ১৬৭টি রাষ্ট্র নিয়ে জাতিসংঘের সমুদ্র বিষয়ক আইন সংক্রান্ত কনভেনশনের আওতায় গঠিত ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটি অপরিহার্য একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। আইএসএ সমগ্র মানব জাতির কল্যাণ ও সুবিধার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক গভীর সমুদ্র তলদেশে খনিজ সংক্রান্ত সমুদয় কর্মকাণ্ড সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো বিনির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে। জ্যামাইকার কিংস্টোনে এর সদরদপ্তর অবস্থিত।