সরাসরি মস্তিষ্কেও আক্রমণ করতে পারে করোনা!
সরাসরি মস্তিষ্ককেও আক্রমণ করতে পারে করোনাভাইরাস। আর এতে করে রোগীরা মাথার যন্ত্রণা, বিস্মৃতি বা বিভ্রান্তির মতো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীদের। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত গবেষণা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এস অ্যান্ড্রু জোসেফসন বলেন, 'মস্তিষ্কে এই ভাইরাস সরাসরি কোনো প্রভাব ফেলে কিনা, বর্তমান সময়ে তা জানা বিশেষ জরুরী। তিনি জানান, এটা অসম্ভব নয় যে, করোনা সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ-টু ভাইরাসটি মস্তিষ্কের রক্তনালী ও কোষের মধ্যে থাকা দেওয়াল ভেঙে দিতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, করোনায় আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন সময়ে স্মৃতিনাশ ও নানাবিধ স্নায়বিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট আকিকো ইওয়াসাকি তার এক গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, সার্স-কোভ-টু ভাইরাসটি মস্তিষ্কের ভিতরে বিভাজিত হয়ে প্রতিলিপি তৈরি করতে পারছে। এবং মস্তিষ্কের কোষে এটি অক্সিজেন পৌঁছাতে দিচ্ছে না। ফলে সেই কোষ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এই দেওয়াল বা আবরণ অর্থাৎ ব্লাড-ব্রেন বেরিয়ার রক্তে উপস্থিত কোনও অপরিচিত পদার্থকে কোষে আঘাত করতে বাধা দেয়। যে কাজটি করে থাকে জ়িকা ভাইরাস। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে এখনো আরো গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অ্যান্ড্রু।
বিশ্বজুড়ে এখনো চলছে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা। এখন পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে আছে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি টিকাটি। এমনকি এর নাকি ভালো ফলাফলও আসছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাধারণ জনগণের জন্য টিকাটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে রাশিয়ান সরকার। এদিকে অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল চলাকালীন এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু করোনায় মোকাবিলায় এই টিকাটিই বেশ আশা জাগিয়েছিলো বিজ্ঞানীদের।
বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৮ তে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ জন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে ৯ লাখ ১১ হাজার ৫৩৮ জনের।