বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৬ কোটি ৩০ লাখ ছাড়াল
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য বলছে, সোমবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার ৯০৬। একই সময়ে বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫৭ জন। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৭ জন।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮৪। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৯। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৭ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৩ জন।
তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান চতুর্থ। রাশিয়া পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য সপ্তম। ইতালি অষ্টম। আর্জেন্টিনা নবম। কলম্বিয়া দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল রোববারের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪০৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৬০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’। গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।