বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা

বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হাইকমিশন নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও আন্তর্জাতিকতাবাদ’ বিষয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে।

আলোচনায় পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করা হয়।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল-রাশিদ নাল্লাহ এবং প্রথম সচিব ও ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মন।

উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল-রাশিদ নাল্লাহ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু শুধু তার দেশের স্বাধীনতার জন্যই সংগ্রাম করেননি, তিনি বিশ্ব মানবতার জন্যও নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। উপাচার্য আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন মহান ব্যক্তিত্ব এবং নেতা। তিনি বলেন, আফ্রিকাসহ বর্তমান বিশ্বে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আজও প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গক্রমে তিনি ঔপনিবেশিক শাসনকালে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মন তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব শান্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন ও আদর্শের মূলমন্ত্র। পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর মূলনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’-এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সকল মানুষের জন্য তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বদা বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অপরিহার্য। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মানবতার বিকাশের জন্য শান্তির প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে তিনি বিশ্বের সকল অঞ্চলের ঔপনিবেশিকতাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণকামী মানুষের সংগ্রাম সমর্থন করেছেন এবং এক্ষেত্রে সমর্থন দিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকেও উৎসাহ জুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তার শান্তিবাদী দর্শনের জন্য উত্তর-ঔপনিবেশিক বিশ্বে অনুপ্রেরণার এক উৎস হয়ে রয়েছেন।

জাতিসংঘ, জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন, কমনওয়েলথ এবং ওআইসি-তে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও অবদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু অব্যাহত অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার পাশপাশি বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি স্বরূপ আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, দুরূহ বাধা অতিক্রমে মানব জাতির অমিত সম্ভাবনার কথা বঙ্গবন্ধু তুলে ধরেছেন এবং বিশ্ব নেতাদেরকে মানব জাতির দুর্ভোগের কারণ না হয়ে মানব জাতির প্রগতির জন্য ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধুর নীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মি. বর্মন বলেন, সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া ও বহিঃবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু তার সমর্থন অব্যাহত রেখেছিলেন। বর্মন, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, বঙ্গবন্ধুর বাল্য জীবন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের কথাও সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরেন।

আলোচনা শেষে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে নাইজেরিয়ার সরকার কর্তৃক অবমুক্ত স্মারক ডাকটিকেট হস্তান্তর করেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ও আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে- অধ্যাপক ক্লিমেন্ট আলাওয়া, উপ-উপাচার্য, অধ্যাপক মালাম রেফুই আহমেদ বাবা, অধ্যাপক ইওয়েমা একেজোনা, অধ্যাপক উবোম বাসে, অধ্যাপক এম এ কাচা এবং অধ্যাপক স্টিফেন গার্বা উপস্থিত ছিলেন।

এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুসা ওলাওফে সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

   

ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা হুথিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সীমানার মধ্যে থাকা ইসরায়েলগামী যেকোন জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার (৩ মে) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ইয়েমেনের হুথিরা তাদের সীমার মধ্যে থাকা যেকোনো এলাকায় ইসরায়েলি বন্দরগামী জাহাজগুলোর ওপর হামলা করবে। 

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারব সেখানেই ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজে আমার হামলা চালাব।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য ইরানপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের জাহাজগুলোতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে অনেক শিপিং কোম্পানি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়ার বদলে এখন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে জাহাজগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে পরিবহন খবর আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

;

সারাবিশ্বে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশের ৪৪ জন পরিবেশ সাংবাদিক সহিংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন; আর বেঁচে ফিরতে পেরেছেন ২৪ জন।

শুক্রবার (৩ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের জন্য ১২৯টি দেশের ৯০৫ জন পরিবেশ সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধিরা।

সাক্ষাৎকারে ৯০৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৭৪৯ জনই (শতকরা হিসেবে ৭০ শতাংশেরও বেশি) জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদেরকে শারীরিক হামলা কিংবা ভয়ভীতি, হুমকি, চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেককে আটক-গ্রেপ্তার ও মানহানির মামলা আইনী সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়েছে।

হামলা-হয়রানির ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারীরিক হামলার ঘটনাগুলো পুরুষ সাংবাদিকদের বেলায় ঘটেছে বেশি। অন্যদিকে হয়রানির শিকার বেশি হয়েছেন নারী সাংবাদিকরা।

পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ইস্যুতে প্রতিবেদন করতে গিয়ে হামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এসব ইস্যুর মধ্যে খনি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ভূমির দখল সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, বন উজাড় হয়ে যাওয়া, চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ, দূষণ এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি, জীবাশ্ম জ্বালানি খাত এবং এর বাণিজ্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এসব হামলা ও হয়রানির সবই এসেছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও চাকরিজীবী, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের লোকজন এসব হামলা ও হয়রানির জন্য দায়ী।

;

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসেই চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে এই মাসেই দেশটিতে সফর করার পরিকল্পনা করছেন।

রাশিয়ার এই পরিকল্পনার সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সফরটির সূচি আগামী ১৫-১৬ মে নির্ধারিত করা হয়েছে।

;

‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই হামাসের’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি। গাজায় আগ্রাসনের এ সময়টায় অনেক কিছুই হতে পারে বা অনেক কিছুই ঘটতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করেনি হামাস।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে এ নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেনাদের গাজা ভূখণ্ডে পা রাখতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরাইল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল সবসময়ই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

;