বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৭ কোটি মানুষ
সারাবিশ্বে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি ছড়িয়েছে ২২০টি দেশে। সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি ৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সবশেষ তথ্য বলছে, আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৭।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, একই সময় বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৯৭ জন। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ২৭০ জন।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৩ জন। করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯২ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৯৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯২ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ২২২ জন। সুস্থের সংখ্যা ৯২ লাখ ৯০ হাজার ১৮৮।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৩ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০১ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ, ফ্রান্স পঞ্চম, যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, ইতালি সপ্তম, উচ্চ সংক্রমণ নিয়ে তুরস্ক অষ্টম, স্পেন নবম, আর্জেন্টিনা দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।