‘জলবায়ুর জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা জারির আহ্বান জাতিসংঘের
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বিশ্বের সকল দেশকে ‘জলবায়ুর জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা জারির আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকীতে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ ও ফ্রান্স আয়োজিত ভার্চুয়াল এই সভায় ৭০টিরও বেশি দেশের বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিবর্তে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করায় ধনী দেশগুলোর সমালোচনা করেন তিনি।
ইতিমধ্যে ৩৮টি দেশ জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে এ প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব।
তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নেমে এলেই জরুরি অবস্থা শেষ হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব সেই সব দেশের প্রশংসা করেছেন যারা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নতুন লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে সভায় এসেছেন।
করোনা মোকাবিলায় ব্যয়কে আগামী প্রজন্মের ভাগের অর্থ খরচ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভার্চুয়াল এই সভায় অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, রাশিয়া এবং মেক্সিকোসহ বেশ কয়েকটি দেশ অংশ নিচ্ছেন না, কারণ তাদের জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলি যথেষ্ট উচ্চাভিলাষী বলে মনে হয়েছে।
যুক্তরাজ্য জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে এবং জাতিসংঘের কাছে একটি নতুন জলবায়ু পরিকল্পনা জমা দিয়েছে।
এ বছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় বসার কথা ছিল জলবায়ু সম্মেলন বা ক্লাইমেট সামিট কপ-২৬। কিন্তু করোনার কারণে এই সম্মেলন স্থগিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন এই সময়ের অন্যতম বৃহৎ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, এটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে জীবন ও জীবিকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তিনি বলেন, আমাদের ক্রিয়াকলাপ অবশ্যই ভীতি বা সাবধানতার দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৬৮ শতাংশ কার্বন নির্গমন হ্রাস করার কথা জানিয়েছে।