করোনার নতুন ধরন প্রতিরোধে কার্যকর ফাইজারের টিকা
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে বায়োএনটেক-ফাইজারের ভ্যাকসিন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বায়োএনটেকের প্রধান গবেষক ও স্বত্বাধিকারী উগুর শাহীন। তবে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) জার্মানির স্থানীয় এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তা গোটা যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এটির মারাত্মক অসুস্থতার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে বায়োএনটেক-ফাইজারের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হওয়ার পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে উগুর শাহীন বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন বৈজ্ঞানিকভাবে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ মোকাবিলা করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, করোনার আগের ধরণ আর নতুন ধরনের (স্টেইন) সংক্রমণ ৯৯ শতাংশ একইরকম, তাই বায়োএনটেকের ‘বৈজ্ঞানিক আস্থা’ রয়েছে যে এই ভ্যাকসিন কার্যকর হবে। তবে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
আমরা ইতিমধ্যে অন্য ২০টি রূপান্তরিত ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের তৈরি ভ্যাকসিনের সক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা করেছি। গবেষণা ও পরীক্ষার সময় সর্বদাই টিকাটি অন্য রূপান্তরিত ভাইরাসগুলোকে নিষ্ক্রিয় করেছে বলে তিনি জানান।
বায়োএনটেকের প্রধান গবেষক ও স্বত্বাধিকারী বলেছেন, ভাইরাসটি হয়তো এখন আরও খানিকটা পরিবর্তিত হয়েছে। তাই আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষামূলক গবেষণায় আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
বায়োএনটেক-ফাইজারের ভ্যাকসিন ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউসহ ৪৫টিরও বেশি দেশে এটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করেছেন।