চীনের নতুন কোস্ট গার্ড আইন কার্যকর করার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, চীনের নতুন কোস্ট গার্ড আইন কার্যকরের ফলে সামুদ্রিক বিরোধ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
নতুন আইনে বিদেশি সংস্থা বা কোনো ব্যক্তি চীনের সমুদ্রে সার্বভৌম ও আইনগত অধিকারকে লঙ্ঘন করলে দেশটির কোস্ট গার্ড বাহিনীকে অস্ত্র ব্যবহারসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে পূর্ব চীন সাগরে জাপানের সঙ্গে এবং দক্ষিণ চীন সাগরের বেশ কয়েকটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বেইজিংয়ের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন এই আইনের ভাষায় চিন্তিত। চীনের উপকূল রক্ষী দ্বারা তাদের দাবিকৃত সমুদ্রসীমার বাস্তবায়ন এবং চলমান আঞ্চলিক ও সামুদ্রিক বিরোধের সাথে সশস্ত্র বাহিনীর সম্ভাব্য ব্যবহার গভীর উদ্বেগের বিষয়।
তিনি বলেন, চীনের নতুন কোস্ট গার্ড আইনটি তার সামুদ্রিক প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। আমরা আরও উদ্বিগ্ন যে চীনের এই নতুন আইনটির ফলে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের বেআইনি দাবিকৃত সমুদ্রসীমার প্রতি সমর্থন জানাতে পারে। যেগুলি ২০১৬ সালের সালিসি ট্রাইব্যুনালের রায় দ্বারা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
তিনি আরও যোগ করে বলেন, জাপান এবং ফিলিপাইন উভয়ের সাথে আমেরিকা জোটবদ্ধ অঙ্গীকারের প্রতি দৃঢ় সংকল্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম ফোনালাপে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাতে জর্জরিত এবং রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল রাখাইন রাজ্য। শিগগিরই রাজ্যের ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
‘নজিরবিহীন বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে রাখাইন’ শিরোনামে প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে, যা পশ্চিম রাখাইনকে ‘অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের কিনারায়’ ঠেলে দিতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ রাখাইনের অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন সেখানকার চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে।
জাতিসংঘ বলছে, বীজ ও সারের সংকট, বৈরী আবহাওয়া ও চাষাবাদের অভাবে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং চলমান সংঘাতের কারণে চাল উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় সম্পূর্ণই স্থবির হয়ে পড়া ২০ লাখের বেশি মানুষকে অনাহারের ঝুঁকিতে ফেলবে।
রাখাইনে পণ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ, ত্রাণের কর্মীদের অবাধ প্রবেশাধিকার, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি খাত পুনরুদ্ধারে জরুরি অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে ইউএনডিপি।
ইউএনডিপি সতর্ক করে বলেছে, জরুরি ব্যবস্থা না নিলে ৯৫ শতাংশ জনগণ বেঁচে থাকার সংগ্রামে পিছিয়ে পড়বে। তারা দেশীয় উৎপাদনে ব্যাপক হ্রাস, চরম মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাপক বেকারত্ব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নিজেদের মতো করে টিকে থাকতে বাধ্য হবে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, বাণিজ্য রুট বন্ধ ও ত্রাণ কার্যক্রমে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে রাখাইন গভীর মানবিক সংকটাপন্ন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাখাইনে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এতে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এখন সম্পূর্ণভাবে সাহায্যের ওপর নির্ভর হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকার অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন সশস্ত্র দলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার।
ইউএনডিপি আরও জানিয়েছে, জান্তার ক্ষমতা দখলের পর থেকে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দেশটির বেশিরভাগ অংশ বিশৃঙ্খলার মধ্যে থাকায় মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে রাখাইনে বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের একটি নতুন তরঙ্গের সূচনা করেছে বলেও ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইরানকে মোকাবিলায় আমেরিকার এফ-১৫ যুদ্ধবিমান মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছেছে। মূলত ইরানকে সতর্ক করে এই অঞ্চলে অতিরিক্ত শক্তি মোতায়েনের ওয়াশিংটনের ঘোষণার পর এসব যুদ্ধবিমান সেখানে পাঠানো হলো। মার্কিন সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ কথা জানায়।
মধ্যপ্রাচ্যে নিয়োজিত সামরিক কমান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা বার্তায় বলেছেন, 'বৃহস্পতিবার ‘ইউএস এয়ার ফোর্স এফ-১৫ই স্ট্রাইক ঈগলস যুদ্ধবিমান ইংল্যান্ডের আরএএফ লেকেনহেথের ৪৯২তম ফাইটার স্কোয়াড্রন থেকে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের দায়িত্বে থাকা এলাকায় পৌঁছেছে।'
যুক্তরাষ্ট্র ১ নভেম্বর মধ্যপ্রাচ্যে বোমারু বিমান, যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্কার বিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল।
এসব বিমান পাঠানোর বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার এক বিবৃতিতে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন উপস্থিতি বজায় রাখতে আরও যুদ্ধবিমান এবং নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ধ্বংসকারী এবং দূরপাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান রয়েছে। যা ইরানকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ (THAAD) ইসরায়েলে মোতায়েন করার কথা জানান। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে ‘থাড’ সরবরাহ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর আল জাজিরা।
সংস্থাটি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উল্লেখ করে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে গাজার মানুষের "ভয়াবহ বাস্তবতা" উন্মোচিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের এমন হত্যাকাণ্ডকে "গণহত্যা" হিসেবে উল্লেখ করে এমন ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘ বলছে, প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নারী ও শিশু নিহত হচ্ছে। পুরুষও বাদ যাচ্ছে না। শুধু তাই নয় তারা ত্রাণ কার্যক্রম চালাতেও সেখানে বাধা দিচ্ছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহেও বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অঞ্চটির মানুষ চরম হুমকির মুখে পড়বে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণের কারণে অনাহার, অসুস্থতা এবং বিভিন্ন রোগের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। যা পরবর্তীতে শিশু ও নারীদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজার অবরুদ্ধ উত্তরেই নিহত হয়েছেন ৪২ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৪৬৯ জনে পৌঁছেছে। এই সময় আহত হয়েছেন আরও ১ লাখের বেশি মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরতি দিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি শপথ নিবেন তিনি। এরইমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনকে ঠিকঠাক মতো সাজাতে কাজ শুরু হরেছে দলটি। ট্রাম্পের সহযাত্রী হিসেবে কে কে থাকবেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
এদিকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের অধীনে কাজ করা অনেকেই জায়গা পাবেন না এবারের প্রশাসনে। তবে মুষ্টিমেয় অনুগতদের প্রশাসনে প্রত্যাবর্তন হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মন্ত্রিসভা, হোয়াইট হাউজ ও সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা থাকতে পারেন তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডির ভাগ্নে গত দুই বছর ধরে বেশ ভালো সময় পার করছেন।
পেশায় পরিবেশবাদী আইনজীবী কেনেডি জুনিয়র ডেমোক্রেটিক পার্টির রাষ্ট্রপতির প্রার্থীর মনোনয়নের দৌঁড়ে বেশ এগিয়ে ছিলেন। তার পরিবারের বেশিরভাগই সদস্য তার ভ্যাকসিন-বিরোধী মতামত এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে নানা বিতর্কের মধ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান।
২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দুই মাসে তিনি "মেক আমেরিকা হেলদি এগেইন" নামে একটি ট্রাম্প প্রচারাভিযানের উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন।
ট্রাম্প সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কেনেডি জুনিয়র রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এবং ফুড অ্যান্ড ড্রাগ সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর মতো জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র সম্প্রতি জোর দিয়েছিলেন যে তিনি কোমল পানীয় থেকে ফ্লোরাইড অপসারণের জন্য চাপ দেবেন কারণ। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এটি মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।
সুসি উইলস
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। এটিই এবারে ৪৭তম প্রেসিডন্টের দেয়া প্রথম নিয়োগ।
ট্রাম্পের ভাষ্য, উইলস সবসময় পর্দার পেছনে থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। তাকে দেশের অন্যতম ভয়ংকর ও সম্মানীয় রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
রাজনীতিতে কাজ শুরু করার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি ১৯৮০ সালে রোনাল্ড রেগানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানে ছিলেন। পরে তিনি হোয়াইট হাউজের ‘শিডিউলার’ হয়েছিলেন।
ইলন মাস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এই বছরের শুরুর দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন। যদিও ২০২২ সালে তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্পের টুপি ঝুলিয়ে রাখার এবং সূর্যাস্তে যাওয়ার সময় এসেছে।
ট্রাম্পকে সমর্থন জানানোর পর এ প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ার শক্ত অবস্থান ধরে রাখে। ভোটে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আমেরিকা পিএসিকে তিনি ১১৯ মিলিয়নের বেশি ডলার অনুদান দিয়েছেন।
মাস্ক, টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর মালিক। তিনি একটি ভোটার রেজিস্ট্রেশন ড্রাইভও চালু করেছিলেন, যার মধ্যে সুইং-স্টেটগুলোর ভোটারদের প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন।
মাইক পম্পেও
কানসাসের সাবেক কংগ্রেসম্যান ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনের সময় সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এর পরিচালক এবং তৎকালীন সেক্রেটারি অফ স্টেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তাকে বৈদেশিক নীতির বাজপাখি বলা হয়। তিনি ইসরায়েলের উগ্র সমর্থক। তিনি ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দৃশ্যমান ভূমিকা পালন করেছিলেন। আব্রাহাম অ্যাকর্ডস বাস্তবায়নের মূল কুশিলবদের মধ্যে একজন। যা ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল।
রিচার্ড গ্রেনেল
রিচার্ড গ্রেনেল জার্মানিতে ট্রাম্পের রাষ্ট্রদূত, বলকানে বিশেষ দূত এবং তার জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নেভাদার সুইং স্টেটে ২০২০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকানের পরাজয়ের ফলাফল উল্টে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।
আনুগত্যের কারণে ট্রাম্প তাকে পুরস্কৃত করেছেন। তাকে "আমার দূত" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি কার্যভার গ্রহণের "২৪ ঘণ্টার মধ্যে" ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন। গ্রেনেল সেই লক্ষ্যের উপায় হিসাবে পূর্ব ইউক্রেনে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল স্থাপনের পক্ষে কথা বলেছেন। এ ধারণাকে কিয়েভ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হিসাবে উল্লেখ করেছে।
ক্যারোলিন লেভিট
ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারণায় জাতীয় প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন ক্যারোলিন লেভিট। এর আগে হোয়াইট হাউস প্রেস অফিসে সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
২৭ বছর বয়সী এই তরুণী ২০২২ সালে কংগ্রেসে সর্বকনিষ্ঠ নারী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। তবে তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি।
ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি হতে যাচ্ছেন।
টম হোমান
টম হোম্যান ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদের সময় ইউএস ইমিগ্রেশনস অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে অভিবাসী শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে আলাদা করার প্রবক্তা হিসেবে ধরা হয় তাকে। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির মাঝামাঝি সময়ে তিনি তার আইসিইর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।