খাসোগি হত্যা: সৌদি যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে মামলা
সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসহ দেশটির আরও চারজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছেন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ)।
মঙ্গলবার (০২ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির একটি আদালতে এই মামলা করা হয়।
খাসোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত ছিলেন বলে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের চার দিন পর এই মামলা হলো।
খাসোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খুন হন। তাঁর লাশ গুম করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ওয়াশিংটন পোস্ট-এ কলাম লিখতেন তিনি। খাসোগি হত্যার দায়ে সৌদির একটি আদালত দেশটির পাঁচজন নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তাঁদের সাজা কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড করা হয়।
জার্মানির আন্তর্জাতিক এখতিয়ার আইনের অধীনে প্রসিকিউটরদের তদন্তের দাবি করা এই অভিযোগটিতে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পাশাপাশি আরও কয়েক ডজন সাংবাদিককে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে।
আরএসএফের সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিস্টোফি দেলোইরে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা জার্মান প্রসিকিউটরদের একটি অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। কেউ আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে নয়, বিশেষত যখন মানবতার অপরাধ ঝুঁকির মধ্যে থাকে বলে তিনি জানান।
প্রতিবেদন প্রকাশের পরে, খাসোগির বাগদত্ত ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
খাসোগিকে হত্যার জন্য সৌদি যুবরাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাউডেনের প্রশাসন।
সোমবার (০১ মার্চ) জার্মানির কালসরুহের অন্যতম শীর্ষ কেন্দ্রীয় আদালতে মামলাটি করেছে আরএসএফ ৷ খাসোগিকে গুপ্তহত্যা এবং অন্য ৩৪ জন সাংবাদিকদের গ্রেফতারের পেছনে তার ভূমিকা রয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে ৷