প্রথম সংবাদ সম্মেলনে যা যা বললেন বাইডেন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসলেন জো বাইডেন।

বৃহস্পতিবারের (২৫ মার্চ) ওই সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনকে করোনা থেকে শুরু করে অভিবাসী নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিজ্ঞাপন

টিকাদান প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চার করতে চান বাইডেন । তাই তিনি প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে দশ কোটির পরিবর্তে ২০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে জানান। তবে সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরেই আসতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের অভিবাসন পরিস্থিতি।

প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে বাড়তে থাকা অভিবাসীদের চাপ কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তার ওপরেই জোর দেন। এছাড়া বৃহস্পতিবারের ঘণ্টাব্যাপী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বন্দুক এবং পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলেন। সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আটক কেন্দ্রে বর্তমানে ১৭ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। বাইডেনের নীতির কারণে অভিবাসী শিশুদের যুক্তরাষ্ট্রে আগমন বাড়বে কিনা সেই চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তবে দক্ষিণ সীমান্তে মানবিক সংকট বাড়তে থাকার জন্য পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, শীতের মাসগুলোতে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বেড়ে যাওয়া সাধারণ ঘটনা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, সত্যি বিষয়টা হলো কোনও কিছু বদলায়নি। এই সময়ে তাদের আসার কারণ মরুভূমির গরমে এই সময়ে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা কম। এছাড়া অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশের পরিস্থিতি যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অপরাধ এবং অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবকেও দায়ী করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আটক কেন্দ্রগুলোতে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করিয়ে দেন, স্বচ্ছ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। কোনও সময়সীমা না নিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবকিছুতেই প্রবেশের সুযোগ পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে আগের প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১ মে’র মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনাসহ নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন বাইডেন। তিনি স্বীকার করেন, এই সময় সীমা বাস্তবায়ন কঠিন হবে। বন্দুক নিয়ন্ত্রণকে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। এছাড়া ২০২৪ সালে পুনর্নির্বাচনে লড়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান বাইডেন।

পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ মে’র মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার কথা রয়েছে। তবে জো বাইডেন জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেনা সরানো কঠিন হয়ে যাবে। এমনকি আরও এক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এমনটা সম্ভব কিনা যে আগামী বছরও সেনারা আফগানিস্তানে থাকবে? জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমি ঠিক ছবি আঁকতে পারি না। এটি হচ্ছে ঘটনা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বর্তমানে ইউরোপ সফরে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে তিনি মিত্র রাষ্ট্রদের সঙ্গে আফগানিস্তানে সেনা উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও বৈঠক করছেন। যদি আমরা সেনা প্রত্যাহার করি তাহলে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল উপায়ে এটি করবো।

মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে বাইডেন বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে আশার আলো দেখতে শুরু করছি। বেশিরভাগ অর্থনৈতিক পূর্বাভাস এই বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে উল্লেখযোগ্যভাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের রিপাবলিকান সহকর্মীরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই কিনা তা নির্ধারণ করতে হবে, বা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা যেভাবে এগিয়ে যেতে চাইছে তা কেবল দেশকে বিভক্ত করা।

উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আমাদের সহযোগী এবং অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করে এর প্রতিক্রিয়া দিবে। তবে উত্তর কোরিয়া যদি আরও বাড়তে চায় আমরা সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাব।

চীন বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে বিনিয়োগ করছে। বাইডেন তার বিদেশনীতি সম্পর্কে বেলেন, আমরা কোন দ্বন্দ্ব চাইছি না। যদিও, আমরা জানি প্রতিযোগিতা হবে ... তবে আমরা জোর দিয়ে বলব যে চীন আন্তর্জাতিক নিয়ম, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা, ন্যায্য অনুশীলন, ন্যায্য বাণিজ্য দ্বারা খুলবে।

দ্বিতীয় জিনিসটি হলো আমরা আমাদের জোটগুলি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি । এটি চীনা বিরোধী নয়।

তিনি বলেন, আমরা নিয়ম মেনে চীনকে জবাবদিহি করতে চায়, দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ানসহ অন্যান্য ইস্যুতে। তৃতীয়ত কার্যকরভাবে প্রতিযোগিতা করার জন্য।