বাড়ছে মাঙ্কিপক্স রোগী, আক্রান্ত হাজার ছাড়িয়েছে
বিশ্বের ২৯ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে ধনী পশ্চিমা দেশগুলোতে বাড়ছে এ রোগ। ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের শরীরে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া কানাডায় ৭৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২১ জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। তবে, এই রোগে কারাও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স স্থানীয় রোগ না—এমন দেশগুলোতে এক হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।-এএফপির
ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক টিকা দেওয়ার সুপারিশ করছে না জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা। যেহেতু প্রাদুর্ভাব থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মাঙ্কিপক্স স্থানীয় রোগ না এমন দেশগুলোতেও ভাইরাসটি স্থায়ী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আফ্রিকার ৯টি দেশে পশুপাখিবাহী ভাইরাসটি স্থানীয় রোগের আখ্যা পেয়েছে। কিন্তু এবার তা বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও ছড়াচ্ছে। গেল মাস থেকে ব্রিটেন, স্পেন, পর্তুগালসহ ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ ও আমেরিকায় মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ঘটছে।
ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, আফ্রিকায় চলতি বছর মাঙ্কিপক্সের ১৪০০টিরও বেশি সন্দেহভাজন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৬৬ জন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব কিছু দেশে সম্প্রদায় সংক্রমণের লক্ষণ দেখাচ্ছে। ডব্লিউএইচও পরামর্শ দেয় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে আইসোলেট করার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের শঙ্কা বিশেষভাবে উদ্বেগ তৈরি করছে। উদ্ভূত দেশগুলোর বাইরে চলে এসেছে রোগটি। হঠাৎ করে বিভিন্ন দেশে এই প্রাদুর্ভাব বলে দিচ্ছে, কখনো-কখনো রোগটির সংক্রমণ অশনাক্ত রয়ে গেছে। কিন্তু কতদিন রোগটি শনাক্ত না থেকেই অবাধে ছড়িয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি।
টেড্রোস আধানম বলেন, যেসব দেশ থেকে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের খবর আসে, সেখানে ভাইরাসটি কোনো স্থানীয় রোগ না। পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকারী পুরুষরাই ভাইরাসটিতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর সিনিয়র কর্মকর্তা সিলভি ব্রায়ান্ড বলেছেন, তারা গুটিবসন্তের বিরুদ্ধে মজুদকৃত ভ্যাকসিনের ক্ষমতা মূল্যায়ন করছে এবং প্রস্তুতকারক দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ করছে যারা আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।