শুল্ক বাধায় ১০ লাখ টন চাল আটকেছে ভারতীয় বন্দরে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। নতুন আরোপ করা শুল্ক দিতে রাজি না হওয়ায় ভারতীয় বন্দরগুলোতে প্রায় ১০ লাখ টন চাল আটকে আছে।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পাঁচজন রফতানিকারক জানিয়েছেন ক্রেতারা চুক্তিতে নির্ধারিত দামের বাইরে কোনো মাশুল দিতে না চাওয়ায় বন্দর থেকে জাহাজে কোনো চাল বোঝাই হচ্ছে না। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

বিজ্ঞাপন

বাজারে চালের যোগান বাড়াতে ভারত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন ধরনের চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি ভাঙা চাল বা খুদ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে, রফতানি শুল্কের তালিকা থেকে সিদ্ধ ও বাসমতি চাল বাদ রাখা হয়।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকেই এটা কার্যকর হয়েছে বলে দেশটির ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইআরইএ) সভাপতি বিভি কৃষ্ণ রাও বলেন, মধ্যরাত থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হয়, কিন্তু ক্রেতারা তা দিতে রাজি নয়। আমরা জাহাজে চাল ওঠানো বন্ধ রেখেছি।

ভারত প্রতি মাসে প্রায় ২০ লাখ টন চাল রফতানি করে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চালান যায় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদা ও বিশাখাপত্তমের মতো পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরগুলো থেকে।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি এর আগে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে বলে জানান, ভারতের সবচেয়ে বড় চাল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সত্যম বালাজির নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু আগারওয়াল।

তিনি বলেন, নতুন শুল্ক আরোপের আগে যেসব ঋণপত্র (এলসি) খোলা রয়েছে সেগুলো রফতানির অনুমতি দেওয়া উচিত। কিন্তু সেটি তারা করছে না।

হিমাংশু আগারওয়াল বলেন, চালের ব্যবসায় লাভ খুবই সামান্য এবং রফতানিকারকদের বাড়তি ২০ শতাংশ শুল্ক দেওয়ার সামর্থ্য নেই।

তিনি আরও বলেন. এ বছরের শুরুতে গম রফতানিতে যখন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, তখন আগে থেকে যেসব এলসি ইস্যু করা হয়েছিল তাদের রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল নয়াদিল্লি।

নতুন ২০ শুল্ক আরোপে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টন চাল বন্দরে আটকে আছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।