ভূমিকম্পে তুরস্কে ৯ শতাধিক, সিরিয়ায় ৬ শতাধিক মৃত্যু
৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কে ৯১২ জন ও সিরিয়ায় ৬০০ জনের বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল- জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরে। প্রায় ৮৪ বছর পর এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। দুই দেশেই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধসে পড়া ভবনগুলোতে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়েছে। কর্মীরা ধ্বসংস্তূপের মধ্য থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা জোড়ালো করেছে।
ভূমিকম্পের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, এখন পর্যন্ত তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১২ হয়েছে। এ ছাড়া ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে কত হতে পারে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারছেন না তিনি।
এদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির সরকারনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভূমিকম্পে অন্তত ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬৪৮ জন। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া ও তারতুসের মতো শহরগুলো।
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হতাহতের খবর দিয়েছে এসব অঞ্চলে উদ্ধারকাজ চালানো দল হোয়াইট হেলমেট। এক টুইট বার্তায় তারা বলছে, ভূমিকম্পে সেখানে অন্তত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এখনো অনেক পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। তাই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে তুষারে ঢাকা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়। ভূমিকম্পে বহু ভবন ধসে পড়েছে, এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপে বহু মানুষ আটকা পড়েছে বলেও খবর আসছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের বেশ কয়েকটি শহরের ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাস, হতাই, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাটিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।