তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩,৮০০ ছাড়িয়েছে
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশ দুটিতে ৩ হাজার ৮২৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছেন দুই হাজার ৩৭৯ জন। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪৪ জনে। খবর বিবিসির।
ভূমিকম্পের পর তুরস্কের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৭টি দেশের ২০টি উদ্ধার দল দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করে। পরবর্তীতে জরুরি চিকিৎসক দল পাঠানোর কথাও ভাবছেন ইইউ কর্মকর্তারা।
এদিকে ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতা চলার মধ্যেই আরও কয়েক দফায় কম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৭.৫৷
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দেশটিতে দুই হাজার ৩৭৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮৩ জন। দেশটিতে অন্তত পাঁচ হাজার ৬০৬টি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে।
অন্যদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত এক হাজার ৪৪৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশটিতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল- জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরে।
ভূমিকম্পের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যে ভূমিকম্পে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভূমিকম্পে হতাহতদের খবর আসার শুরুতে সতর্ক করে জানিয়েছিল, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু আটগুণ বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে সাতদিনে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক টুইটবার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমাচ্ছিলেন।