সাগরতলে ধ্বংসাবশেষের সন্ধান, ‘টাইটান’ কি না চলছে যাচাই



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছয় দিন ধরে সাগরতলে নিখোঁজ ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’। ছবি: সংগৃহীত

ছয় দিন ধরে সাগরতলে নিখোঁজ ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে কিছু ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের কর্মীরা। তবে এর সঙ্গে নিখোঁজ হওয়া ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’র সম্পর্ক আছে কি না তা যাচাই চলছে।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আগ্রহী পাঁচ পর্যটক নিয়ে গত ১৮ জুন সাগরতলে যাওয়া টাইটান ছয় দিন ধরে নিখোঁজ। সেটির সন্ধানে চলছে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা। বৃহস্পতিবার সারা দিনে যোগ হয়েছে আরও উন্নত সন্ধান সরঞ্জাম।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, যেটির তত্ত্বাবধানে টাইটান সাগরতলে যায়, সেই পোলার প্রিন্সের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এর মজুত অক্সিজেনের সরবরাহ দ্রুত ফুরিয়ে আসা নিয়ে উদ্বেগ-আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই অবস্থায় উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে কানাডার নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড ও বিমান বাহিনী।

জানা গেছে, গভীর সাগরে দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চালিত দুটি যান বা আরওভি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ফরাসি গবেষণা সংস্থা ইফ্রেমের ভিক্টর ৬০০০ নামে একটি আরওভি সমুদ্রের তলদেশে নেমেছে। এটি ফরাসি নৌযান আতালান্তি থেকে এটি পরিচালিত হচ্ছে।

ভিক্টর ৬০০০এর দুটি যান্ত্রিক হাত আছে যেগুলো মূল জাহাজ আতালান্তি থেকে খুবই সূক্ষ্ম ও সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করা যাবে, যেমন কাটার কাজে বা আশপাশের জঞ্জাল পরিষ্কার করে এগিয়ে যাওয়ার কাজে।

দুজন পাইলট আতালান্তি জাহাজের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে চব্বিশ ঘণ্টা শিফটে কাজ করবেন। ভিক্টর ৬০০০ ডুবোযানটিতে বিশেষ আলো এবং ক্যামেরা আছে যা তারা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে দেখতে পাবেন।

ব্রিটেনের জার্সি থেকে জুলিয়েট নামে দ্বিতীয় একটি শক্তিশালী আরওভি ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। তবে সেটি পৌঁছাতে সময় লাগবে। এই ডুবোযানটি এর আগে আটলান্টিকের তলদেশে ঐতিহাসিক জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে প্রায় ২০০ ঘণ্টা কাজ করেছে।

আমেরিকান কোস্ট গার্ড জানাচ্ছে, কানাডার হরাইজন আর্কটিক জাহাজের সঙ্গে লাগোয়া একটি ডুবোযান সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছেছে।

ব্রিটেনের সরকার রাজকীয় নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিন, আরও কিছু অনুসন্ধান সরঞ্জাম এবং সাবমেরিন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ ও সমুদ্রের নিচে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের উদ্ধার অভিযানে সাহায্যের জন্য পাঠাচ্ছে।

আটলান্টিক মহাসাগরে ১০ হাজার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে সন্ধান কাজ চালানো হচ্ছে। সমুদ্রের নিচ থেকে ধাক্কার শব্দ পাওয়া গেলেও সন্ধান অভিযানের এলাকা এতটাই বিশাল যে আওয়াজ ঠিক কোন জায়গা থেকে আসছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ বেশ কঠিন বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।

যাদের নিয়ে গেল টাইটান
আটলান্টিক মহাসাগরের তিন হাজার ৮০০ মিটার বা সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আট দিনের এই ভ্রমণের জন্য আড়াই লাখ ডলার খরচ করতে হয়।

টাইটানের এই যাত্রায় গেছেন ব্রিটিশ ধনকুবের ৫৮ বছর বয়সী হামিশ হার্ডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ৪৮ বছর বয়সী শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে ১৯ বছর বয়সী ছাত্র সুলেমান দাউদ, ৭৭ বছর বয়সী ফরাসি অভিযাত্রী পল-হেনরি নারজিওলেট এবং ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী ৬১ বছর বয়সী স্টকটন রাশ।

১৯১২ সালে উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বৃহৎ, আধুনিক ও বিলাসবহুল জাহাজটি। দুর্ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

বহু বছর জাহাজটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে ১৯৮৫ সালে কানাডার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলের প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় । এরপর থেকে জাহাজটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। হয়েছে কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘টাইটানিক’। দুর্ঘটনার শতাব্দী পরেও এই জাহাজ নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমেনি।

   

উদ্বেগের কারণে ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ আক্রমণের পরিকল্পনার বিষয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ নিরসনে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। ফলস্বরূপ, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৭ মে) রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করেছি। ওই চালানে ২,০০০ পাউন্ড ওজনের ১,৮০০টি এবং ৫০০-পাউন্ড ওজনের ১,৭০০টি বোমা রয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা কীভাবে এই চালান নিয়ে এগিয়ে যাবো সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।’

উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরায়েল যখন রাফাহতে একটি বড় স্থল অভিযানের দ্বারপ্রান্তে তখন বাইডেন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিল।

ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তবে ওই আলোচনা এখনো চলছে এবং আমাদের উদ্বেগগুলো পুরোপুরি সমাধান করেনি কেল আবিব।’

তিনি বলেন,‘যেহেতু ইসরায়েলি নেতারা এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, সে কারণে আমরা বিশেষ অস্ত্রের প্রস্তাবিত চালান স্থানান্তরের বিষয়টি সাবধানে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছি। এসব অস্ত্র ইসরায়েল রাফাহতে ব্যবহার করতে পারে।’

মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে ভারী ২,০০০-পাউন্ডের এসব বোমা ব্যবহারের উপর বিশেষভাবে সতর্ক ওয়াশিংটন এবং ব্যাপক জনঘনত্বের এই শহরে এসব বোমা ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমনটি আমরা গাজার অন্যান্য অংশে দেখেছি।’

তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এখনও ‘জেডিএএম’ নামে পরিচিত নির্ভুল বোমা কিট ব্যবহারসহ অন্যান্য অস্ত্র হস্তান্তর পর্যালোচনা করছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (৭ মে) রাফাহ শহরে ট্যাংক পাঠিয়ে মিশরের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে হোয়াইট হাউস এর আগে বলেছিল, ‘ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, এটি হবে একটি সীমিত অভিযান।’

;

প্রচারণা বিভাগের সাবেক প্রধানের মৃত্যুতে কিমের শোক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়ার প্রচারণা বিভাগের সাবেক প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন।

রয়টার্স জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় সাবেক কর্মকর্তা কিম কি নাম মঙ্গলবার (৭ মে) ৯৪ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ২০২২ সাল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে আরো বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বুধবার (৮ মে) ভোরে কিম কি নাম-এর মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দেশের প্রতি অপরিসীম আনুগত্য দেখানো এ প্রবীণ বিপ্লবীর মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত বলে জানা গেছে।

উত্তর কোরিয়ায় তিন প্রজন্ম ধরে শাসন ক্ষমতায় থাকা নেতাদের সবার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই কিম কি নাম। কিম পরিবারের শাসন টিকিয়ে রাখতে যেসব কর্মকর্তা অনুগত থেকে কাজ করে গেছেন তিনি তাদেরই একজন।

তিনি উত্তর কোরিয়া সরকারের প্রচার বিভাগের প্রধান ছিলেন। উত্তর কোরিয়ার শাসকদের গুণগান গাওয়াই এ প্রচার বিভাগের কাজ বলে জানিয়েছে এএফপি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্য বলছে, ১৯৬৬ সালে কিম কি নাম উত্তর কোরিয়ার প্রচারণাবিষয়ক উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৮৫ সালে কিম ইল সাংয়ের শাসনের সময়ে তিনি এই বিভাগের প্রধান হন। ২০১৭ সালে তিনি অবসর নেন।

তবে তার আগে ২০১০ সালেই কিম জং উনের ক্ষমতাশালী বোন কিম ইউ জংয়ের হাতে চলে আসে দেশটির প্রচারণা বিভাগের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে কিম ইউ জং প্রচারণা বিভাগে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।

;

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল বাহামা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ বাহামা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার এ তালিকায় আরও একটি দেশের নাম যুক্ত হলো। মঙ্গলবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে বাহামার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।

বুধবার (৮ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদএন এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহামার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাহামা সরকার বিশ্বাস করে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি জাতিসংঘের সনদে প্রদত্ত নীতির প্রতি, বেসামরিক এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিতে বর্ণিত রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার ও জনগণের স্ব-নিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি দৃঢ়ভাবে প্রদর্শন করে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাহামা ফিলিস্তিনি জনগণের অবাধে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ ও স্বাধীনভাবে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য অবাধে অনুসরণ করার আইনি অধিকারকে সমর্থন করে।’

এর আগে গত সপ্তাহে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সরকার ঘোষণা করে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এছাড়া চলতি মাসের শেষের দিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশের ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা রয়েছে।

;

নেদারল্যান্ডে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ, আটক ১৬৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সংহতি জানিয়ে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে নেদার‌ল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম।

মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার মিছিল করার সময় ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে ১৬৯ জনকে আটক করেছে আমস্টারডাম পুলিশ।

বুধবার (৮ মে) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আমস্টারডাম শহরের কেন্দ্রে যাওয়ার পথে নিকটবর্তী হলোকাস্ট মনুমেন্ট থেকে মিছিল করতে বাধা দিলে পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। আর এখান থেকেই পরিস্থিতি উত্তাল হতে শুরু করে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাক্ষরিত সব চুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের প্রধান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডাম (ইউভিএ) ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। সারাক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার জন্য মার্কিন শিক্ষার্থীদের মতো তারাও ক্যাম্পাস চত্বরে অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে বুলডোজার দিয়ে ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের অস্থায়ী আবাস ভেঙে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি বিক্ষোভ বন্ধ করতে আন্দোলনকারীদের আহ্বান জানায়। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা মঙ্গলবার বিকেলে আরেকটি বিক্ষোভের ডাক দেন। পুলিশ তখন আবারও বাধা দিলে সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ সময় ধরপাকড়ে পুলিশ ১৬৯ জনকে আটক করে।

পুলিশের অভিযানের পর ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামের ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের মঞ্চ ডাচ স্কলার্স ফর প্যালেস্টাইন এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর ব্যাপক মাত্রায় লাঠি, পিপার স্প্রে এবং টিয়ার শেল ব্যবহার করেছে পুলিশ। এতে অনেকে আহতও হয়েছে।

তবে এই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় আমস্টারডাম পুলিশ বলেছে, বার বার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা শান্ত না হওয়ায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশকে কঠোর হতে হয়েছে। আটকদের মধ্যে ৪ জন ব্যতীত বাকি সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বার্তায়।

;