সংখ্যালঘু প্রশ্নে ওবামার মন্তব্যে ভারতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বারাক ওবামা ও নরেন্দ্র মোদী

বারাক ওবামা ও নরেন্দ্র মোদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের মধ্যেই তার দেশে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের উপস্থাপিকা ক্রিশ্চিয়ান আমানপুরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা জানান, মোদীর সঙ্গে দেখা হলে তিনি কোন প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেন।

বিজ্ঞাপন

ওবামা বলছিলেন, ‘হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে মুসলমানদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। আমার সঙ্গে যদি মোদীর কথা হতো তাহলে আমি বলতাম যে, আপনি যদি সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত না রাখতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে বিভাজন আরও বাড়বে। এটা ভারতের স্বার্থের বিপরীতেই যাবে।’

মোদী যখন রাষ্ট্রীয় অতিথির সম্মান পেয়ে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন বা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নানা চুক্তি চূড়ান্ত করছেন, সেই সময়েই ওবামার এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন

কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেৎ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ টুইট করে মন্তব্য করেছেন, ‘মোদীর বন্ধু বারাক ওবামা একটা বার্তা দিয়েছেন। মনে হচ্ছে তিনিও বোধহয় মোদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অন্তত ভক্তরা তো সেই দাবি করতেই পারে।’

অর্পিত মারওয়াহ নামে এক টুইট ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানো হচ্ছে, ওবামা জেনে শুনেই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওপরে পুরোপুরি ভরসা করা যায় না। তারা একই সঙ্গে দুটো পক্ষের (দক্ষিণপন্থী এবং বামপন্থী) মানুষদেরই খুশি করছে।’

সিনহা নামে আরেক টু্ইট ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বারাক হুসেইন ওবামার শাসনকালে যুক্তরাষ্ট্র লাখো মুসলমানকে হত্যা করিয়েছে, ডজনখানেক ইসলামী দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে.. সবই জ্বালানি তেলের প্রয়োজনে.. আর এখন তিনি ভারতের মুসলমানদের নিয়ে কথা বলার সাহস দেখাচ্ছেন।’

যদিও নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ বা সংবাদমাধ্যম করছে, তা নয়।

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, মোদীর শাসনকালে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে। এর মধ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরে সহিংসতার ঘটনাও রয়েছে।