জাতি, বর্ণের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নয়: মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট যুগান্তকারী এক রায় দিয়েছেন। এখন থেকে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জাতি ও বর্ণের ভিত্তিতে ভর্তি নয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) এক রায়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের ফলে সংখ্যালঘু এবং আফ্রিকান-আমেরিকানদের শিক্ষালাভের সুযোগ ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নারীদের গর্ভপাতের অধিকার আইন বাতিল করে দেওয়ার এক বছরে মধ্যেই ফের একটি আইন বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৬০ সালের উদারনীতি বাতিলের পক্ষে বহু নিদর্শন কোর্টে পেশ করা হয়েছিল। অবশেষে এই আইন বাতিলের পক্ষে ছয়জন রক্ষণশীল ও বিপক্ষে তিনজন উদারপন্থী ভোট দেন।

প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসও আইন বাতিলের পক্ষে ভোট দেন। প্রধান বিচারপতি তার মতামতে লিখেছেন, সেই সময় এই পদক্ষেপ সঠিক উদ্দেশে নেওয়া হলেও তা চিরকাল স্থায়ী হতে পারে না। অন্যদের জন্য এই সংরক্ষণ অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক।

তিনি আরও লিখেছেন, ছাত্রছাত্রীদের বিচার পড়াশোনা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে করা দরকার, জাতি-বর্ণের ভিত্তিতে নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এত দিন এর উল্টোটাই করে এসেছে। এর ফলে তারা এক জনের পরিচয়কে মেধার ভিত্তিতে নয়, শরীরের রং বা জাতি হিসেবে দেখে এসেছে। এ সবই আমাদের সংবিধানের পরিপন্থী।

বিপক্ষের বিচারপতি সনিয়া সতমায়র সংখ্যাগরিষ্ঠকে ‘একটি স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্ন সমাজ’-এর বাস্তবতার প্রতি বর্ণান্ধতা বলে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, জাতিকে উপেক্ষা করলেই সমাজে জাতিগত অসাম্য দূর হবে না। ১৮৬০ সালে যা সত্য ছিল, ১৯৫৪ সালেও তা সত্য এবং আজও তা সত্যই রয়েছে। সাম্যের জন্য বৈষম্যের স্বীকৃতি প্রয়োজন।

শীর্ষ আদালতের এই রায়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি আমেরিকার প্রেসি়ডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, এই রায় গত কয়েক দশকের ইতিহাস ভুলে গিয়েছে। আমেরিকায় এখনও বৈষম্য রয়েছে। আজকের এই সিদ্ধান্ত তা পাল্টাতে পারবে না। এটি একটি সহজ সত্য যে, যদি একজন শিক্ষার্থীকে তাদের শিক্ষার পথে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে চায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উচিত সেই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া।

আদালতের রায়ের পর এ বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, বৈচিত্র্য এবং স্বতন্ত্রতা শিক্ষাগত শ্রেষ্ঠত্বের জন্য অপরিহার্য।

   

মিথ্যার মহামারি ছড়াচ্ছেন মোদি : কংগ্রেস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস অভিযোগ করে বলেছে, তাদের দলকে আক্রমণ করে রামমন্দির নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার তারই জবাব দিতে চায় দলটি।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কংগ্রেসের পক্ষে দলটির কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (‌কমিউনিকেশন)‌ জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করার কোনও পরিকল্পনা নেই কংগ্রেসের। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে কংগ্রেস।’

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় রামমন্দির ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদি। মধ্যপ্রদেশের ধার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির নির্বাচনী সভায় মোদি বলেন, ‘কংগ্রেসের লক্ষ্য বাবরি মসজিদের খোলা তালা এনে রামমন্দিরে ঝুলিয়ে দেওয়া।’

মোদি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন।’

জয়রাম রমেশ বলেন, ‘আশির দশকে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে ফৈজাবাদ জেলা আদালতের নির্দেশ মেনে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের তালা খুলে রামলালার পুজোর ব্যবস্থা করেছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। পরবর্তী সময়ে রামমন্দির আন্দোলন ওই ঘটনারই রেশ বলে মনে করেন সবাই। এখন এই রামমন্দির লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেটাকে লালন-পালন করেছে বিজেপি।’

এখন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে রামমন্দির নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করেছেন মোদি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘বিজেপি-ই প্রথম আদালতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। আর পরে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা মেনে নেয়। ১৯৯২ সালে করসেবকদের হামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরেও আদালতের নির্দেশে চালু ছিল ক্যানভাসের ছাউনির অস্থায়ী কাঠামোতে রামলালার পুজা পাঠ।’

কংগ্রেস আরও জানিয়েছে, এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করার পরে অযোধ্যার সেই বিতর্কিত জমিতে নির্মিত হয় রামমন্দির। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি হয়েছে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা।

আর মধ্যপ্রদেশের ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস যাতে বাবরি মসজিদের তালা এনে রামমন্দিরে ঝোলাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতেই বিজেপিকে ৪০০ আসনে জেতাতে হবে।’‌

পাল্টা জবাবে জয়রাম রমেশ কটাক্ষ করে বলেন, ‘‌মিথ্যার মহামারি ছড়াচ্ছেন মোদি। তার সমগ্র রাজনৈতিক জীবন অসত্যে নিহিত।’‌

;

ইউক্রেনে 'ফ্রান্সের সেনাদের' লক্ষ্য করে হামলার হুমকি রাশিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যদি তাদের সৈন্য ইউক্রেনে পাঠান, তাহলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তাদেরকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।

বুধবার (৮ মে) মস্কোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিং-এ তিনি এ হুশিয়ারি দেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে তাদের স্থল সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতলে সেটা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গা শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে। 

তার এমন বক্তব্যের পর মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ হুশিয়ারির ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ম্যাক্রোঁ নিজেই রাশিয়ার জন্য একধরনের ‘কৌশলগত অনিশ্চয়তা’ তৈরি করার ইচ্ছা থেকেই এই ধরনের হঠকারী মন্তব্যের ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের তাকে হতাশ করতে হবে। কারণ আমাদের জন্য সেই পরিস্থিতি আরও বেশি নিশ্চিত।

রুশ কর্মকর্তা আরও বলেন, যদি ফরাসিরা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে উপস্থিত হয় তবে তারা অবশ্যম্ভাবীভাবে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

এর প্রমাণ প্যারিসের কাছে ইতোমধ্যেই রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

জাখারোভা বলেন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে নিহতদের মধ্যে ফরাসি নাগরিকদের সংখ্যা বাড়ছে।

এর আগে গত সোমবার ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পরে রাশিয়া তাদের সামরিক মহড়ার অংশ হিসাবে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের মহড়া চালাবে বলেও জানান।

;

‘রূপকথার গল্প তৈরি করে সম্পর্ক নষ্ট করছে জার্মানি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়ার হ্যাকারদের সম্পর্কে ভিত্তিহীন রূপকথা তৈরির অভিযোগ করে বুধবার (৮ মে) মস্কো বলেছে, ‘বার্লিনের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, তার প্রতিরক্ষা বাহিনী, মহাকাশ সংস্থা এবং ক্ষমতাসীন দলের উপর সাইবার আক্রমণ শুরু করার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করার পরে রাশিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শের জন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্লিন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘জার্মানি নিয়মিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হ্যাকারদের কার্যকলাপ সম্পর্কিত রূপকথার গল্পকে কাজে লাগায়। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি র্জামানি।’

এদিকে বার্লিন বলেছে, দুই বছর আগে শুরু হওয়া মস্কোর সাইবার আক্রমণগুলো জার্মানির শাসক সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি লজিস্টিক, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং আইটি সেক্টরের কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

বার্লিন বলেছে, নিরাপত্তার কারণে ক্ষয়-ক্ষতির বিশদ বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।

জাখারোভা বলেন, ‘পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি তথ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার কাল্পনিক এবং মিথ্যা গল্প। তাদের মিথ্যা দাবিগুলোর লক্ষ্য, রাশিয়া সম্পর্কে ভীতি ছড়ানো।’

জাখারোভা বলেন, ‘মস্কো থেকে জার্মান রাষ্ট্রদূতের প্রত্যাহার জার্মানিতে রাশিয়া বিরোধী মনোভাব উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে আরেকটি অন্যায্য পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে। এর পুরো দায় জার্মানির উপর বর্তায়।’

;

কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিয়েছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে বুধবার (৮ মে) কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করেছে ইসরায়েল।

এএফপি জানিয়েছে, হামাসের রকেট হামলায় চার সেনা নিহত হওয়ায় এটি বন্ধ করার চার দিন পর তা ফের খুলে দেওয়া হলো।

ফিলিস্তিনের বেসামরিক বিষয় দেখভাল করা সংস্থা সিওজিএটি’র যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাঠানো খাদ্য, খাবার পানি, আশ্রয়ের সরঞ্জাম, ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক সাহায্য বহনকারী ট্রাকগুলো মিশর থেকে ইতিমধ্যেই ক্রসিংয়ে পৌঁছেছে।’

বিবৃতিতে ইসরায়েল আরো জানিয়েছে, ‘পরিদর্শন শেষে এসব সাহায্য গাজায় ঢোকানো হবে।’

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ও উত্তর গাজার মধ্যে ইরেজ সীমান্ত ক্রসিং ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ত্রাণ সরবরাহে জন্যও উন্মুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার হামাসের রকেট হামলায় চার সেনা নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পর কেরেম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

ইসরাইলি সেনারা মঙ্গলবার গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ নগরীর পূর্বাঞ্চলে আগ্রাসন শুরু করার পর তারা সেটি দখল করে।

এর আগে দুটি ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছিল। জাতিসংঘ বলেছিল, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদেরকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দেবে।

;