শতাব্দীর ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে মাউই দ্বীপ, নিহত বেড়ে ৮৯
শতাব্দীর ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউই দ্বীপ। গত কয়েকদিনের দাবানলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে দ্বীপের অধিকাংশ এলাকা। ইতিমধ্যে ২ হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর পুড়ে ছাই। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত পুড়ে মারা গেছেন অন্তত ৮৯ জন।
রোববার (১৩ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। দাবানল এখন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ঐতিহাসিক শহর লাহাইনারের চারপাশসহ দ্বীপের কিছু অংশে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
মাউই কাউন্টি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুসারে ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে, আজ থেকে এক শ বছরেরও বেশি সময় আগে সংঘটিত এক ভয়াবহ দাবানলে ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ওই দাবানল সংঘটিত হয়েছিল।
এদিকে মাউই দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে হাওয়াইয়ের গভর্নর জশ গ্রিন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, ২ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছে গতকাল (স্থানীয় সময় বুধবার)। ১১ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগহীন অবস্থায় আছে। মাউইয়ের পশ্চিমাংশে কোনো ধরনের বিদ্যুৎসংযোগই নেই।
জশ গ্রিন জানান, দাবানলের ফলে ২ হাজারেরও বেশি ভবন পুরোপুরি জ্বলে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া তিনি বলেছেন, বিপর্যয় শুরুর পর থেকেই এখন পর্যন্ত এই আমাদের মূল্যায়ন। আপনাদের নিশ্চিত করছি যে, কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে এবং কয়েক বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থা বিভাগের (ফেমা) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জেরেমি গ্রিনবার্গ বিবিসিকে বলেছেন, অতিরিক্ত সহায়তা পাঠানো হয়েছে দুর্যোগকবলিত এলাকায়। শহরে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল কাজ করে যাচ্ছে।
লাহাইনায় ধ্বংসস্তূপে মৃতদেহ শনাক্ত করতে প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় মৃতদেহের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দাবানল তাণ্ডব কমে এলে শনিবার এখানকার প্রধান সড়কটি খুলে দেওয়া হলে আবারও বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।