ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছর উদযাপন করলো তালেবান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
কাবুলে তালেবানের পতাকা নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে সমর্থকরা। ছবি : সংগৃহীত

কাবুলে তালেবানের পতাকা নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে সমর্থকরা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছর উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাজধানী কাবুলে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, এক বিবৃতিতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিয়ুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘কাবুল জয়ের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে আমরা আফগানিস্তানের যোদ্ধাদের স্বাগত জানাচ্ছি। তাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে বলেছি।’

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতাগ্রহণের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি করে জাবিয়ুল্লাহ বলেন, ‘এখন সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সারাদেশ একক নেতৃত্বে এসেছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইসলামিক ব্যবস্থা।’

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলার অভিযোগে ৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে। অল্পদিনের মধ্যে তারা তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু, তালেবান গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে। ২০ বছরের যুদ্ধ অমীমাংসিত রেখে ২০২১ সালের আগস্টে পশ্চিমারা আফগানিস্তান ত্যাগ করে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্র সেনাদের নিয়ে ১৫ আগস্ট সর্বশেষ উড়োজাহাজটি কাবুল ত্যাগের আগেই রাজধানী দখলে নেয় তালেবান। তার আগে তারা প্রায় সারাদেশ দখল করে নেয়। ইতোমধ্যে পশ্চিমাদের অনুগত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বিশেষ উড়োজাহাজে করে আফগানিস্তান ত্যাগ করেন।

তালেবান নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করলেও দেশটিতে দুই বছরে অনেকগুলো আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। অধিকাংশ হামলার দায় স্বীকার করেছে স্থানীয় ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আইএসের সঙ্গে তালেবানের চরম বিরোধ রয়েছে।

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে নারীদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। দেশটিতে এখন ১২ বছরের বেশি বয়সি নারীরা পড়াশোনা করতে পারে না। নারীদের প্রায় সব সরকারি চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এনজিওতেও তাদের কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নারীদের একা চলাফেরায় আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

ক্ষমতায় আসার দুই বছর পার হয়ে গেলেও তালেবান এখনও বিশ্বের কোনও দেশের স্বীকৃতি পায়নি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ চীন, রাশিয়া, কাতার, ইরান, ভারত প্রভৃতি দেশ অনানুষ্ঠানিকভাবে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। অধিকাংশ দেশের দাবি, স্বীকৃতির জন্য তালেবানকে নারী অধিকার স্বীকার করতে হবে।

তালেবানের হাতে নারী অধিকার চরম লঙ্ঘিত হওয়া, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোণঠাসা অবস্থায় থাকলেও দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। তাছাড়া আফিম চাষও কমছে।

তবে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ নাজুক। বলতে গেলে তেমন কোনও বিদেশি বিনিয়োগ নেই। ফলে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সংকট। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

   

ইউক্রেনের ৬৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ক্রাসনোদর অঞ্চলে এবং অধিকৃত ক্রিমিয়ার আকাশে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ইউক্রেনের ৬৮টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে রাশিয়া। রয়টার্সকে খবরটি নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, ড্রোনগুলোর মধ্যে ৬৬টি ক্রাসনোদারে এবং বাকি দুটি ক্রিমীয় উপদ্বীপে ভূপাতিত করা হয়।

এদিকে, গোলাবারুদ, অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধের সরবরাহ দ্রুত ইউক্রেনে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিকে সমর্থন করার জন্য অনেক বিলম্বিত বিলে স্বাক্ষর করার পর গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মোট ৯৫ বিলিয়ন তহবিলের চূড়ান্ত অনুমোদিত বিলের মধ্যে কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের সম্মুখীন ইউক্রেনের জন্য কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক বিতর্কের পর এই অনুমোদন দেওয়া হলো।

জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই সপ্তাহান্তে প্রতিনিধি পরিষদে এবং সিনেটে অনুমোদিত জাতীয় সুরক্ষা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছি।’

আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে শিপমেন্টগুলো শুরু হবে বলে নিশ্চিত করছেন তিনি।

বাইডেনের বক্তব্যের কয়েক মিনিট পর পেন্টাগন নতুন তহবিল ব্যবহার করে কিয়েভের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, আর্টিলারি রাউন্ড, হাইমার্স রকেট লঞ্চারের জন্য গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক-বিরোধী অস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিল পাসের পরপরই দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বিল অনুমোদনের জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কংগ্রেস এবং সমস্ত আমেরিকানদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের দীর্ঘস্থায়ী অনুরোধ পূরণ করে মার্চের সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের অনুরোধে তাদের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য শুরুতে এটি ঘোষণা করিনি।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চলতি মাসে ইউক্রেন হাতে পেয়েছে।’

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

;

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার খান ইউনিসের নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং রাফায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী, শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এবং ওয়াফা নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজার রাফায় ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার মধ্যে "স্বাস্থ্য সঙ্কটে" এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তারা নাসের হাসপাতাল কমপ্লেক্সের গণকবর থেকে শত শত মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৩৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৪৩৭ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলের এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন।

;

চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বে লাভবান তাইওয়ান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ান এবং অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদারদের প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত ব্যয়ের জন্য সম্প্রতি প্রায় ১৯০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অঞ্চলটিতে মার্কিন সামরিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে ব্যয় করা হবে ৫৪ কোটি ডলার।

কয়েক মাসের বিলম্ব ও বিতর্কের পরে তিন দেশের জন্য সহায়তা সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের প্রভাব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও পড়তে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীনের আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে এসব দেশ বা অঞ্চলকে সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, অর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় মিত্রদেশকে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে নিবন্ধন, পরিষেবা এবং প্রশিক্ষণ ক্রয়ের অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ৮০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সহায়তা প্যাকেজের দুই বিলিয়ন ডলার তহবিল তাইওয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্য অংশীদারদের জন্য বিদেশি সামরিক অর্থায়ন কর্মসূচির প্রতি নজর রেখে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, কমিউনিস্ট চীনকে মোকাবিলা করার পাশাপাশি অঞ্চলটিতে শক্তিশালী প্রতিবন্ধকতা নিশ্চিতের প্রচেষ্টা হিসেবে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করা হয়েছে অঞ্চলটির জন্য। 

ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনর ফিডলারের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ করা প্রায় অর্ধেক অর্থই সরাসরি সাবমেরিন শিল্পকে শক্তিশালী করতে ব্যয় হবে। এ বিনিয়োগ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিবন্ধকতা বাড়াবে। তবে এর তাৎক্ষণিক প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ফিডলারের মতে, এই অর্থের সিংহভাগ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয় করা হবে। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১৬ হাজার সাবমেরিন সরবরাহকারী উপকৃত হবেন।

তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র মূলত চীনকে মোকাবিলায় তাইওয়ানের জন্য মোটা অঙ্কের বৈদেশিক সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে। প্যাকেজটির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সহায়তা পেতে যাচ্ছে তাইওয়ান। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন।  

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার এসব প্যাকেজের সমালোচনা করে চীন বলছে, এ ধরনের তহবিল তাইওয়ানকে ‘বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ ঠেলে দিচ্ছে। বেইজিংয়ের তাইওয়ানবিষয়ক কার্যালয় জানায়, এই সাহায্য চীনের প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতি ‘গুরুতরভাবে লঙ্ঘন’ করে এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কাছে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিষয়ে ভুল সংকেত পাঠায়। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে। বেইজিং তাইওয়ানে সরাসরি আক্রমণ না করলেও নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করছে সবসময়।

;

২০০ আফগান শরণার্থী পরিবারকে পুশব্যাক পাকিস্তান ও ইরানের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই শতাধিক আফগান শরণার্থী পরিবারকে নিজ দেশে পুশব্যাক করেছে পাকিস্তান ও ইরান। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তাদের পুশব্যাক করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আমু টিভি তালেবান পরিচালিত বার্তাসংস্থা বখতিয়ার নিউজের বরাত দিয়ে এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, পাকিস্তান ও ইরানে অবস্থানকারী ২শ ৩৩টি আফগান শরণার্থী পরিবারকে তাদের নিজ দেশ আফগানিস্তানে পুশব্যাক করেছে দেশ দুটি। তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তারা পালিয়ে পাকিস্তান ও ইরানের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।

প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শুক্রবার পাকিস্তান ৯৭টি পরিবারকে তোরখাম, ডানড-ই পাতান ও স্পিন বোলডক সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানে পুশব্যাক করে।
অন্যদিকে, ইরান ১শ ৩৬টি পরিবারকে নিমরোজি ও ইসলাম কাল সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে পুশব্যাক করে।

আড়াই বছর আগে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর ভয়ে এবং আর্থিক অনিশ্চয়তায় এই সব পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তান ও ইরানে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

এর আগে ২১ এপ্রিল ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম খামা প্রেসের বরাত দিয়ে জানায়, পাকিস্তান ৮০০ আফগান শরণার্থীকে নিজ দেশে পুশব্যাক করে। ৪৮ ঘণ্টায় ৮শ ৩৭ শরণার্থীকে জোর করে নিজ দেশ আফগানিস্তানে পুশব্যাক করানো হয়। এর মধ্যে ৯০টি পরিবারের ৪শ ৬৮ জন এবং ৬৭টি পরিবারের ৩শ ৬৯ জন আফগান শরণার্থী ছিলেন।

;