বৈষম্যের কারণে মার্কিন সেনাবাহিনী ছেড়েছেন ট্র্যাভিস কিং : উত্তর কোরিয়া

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং। ছবি : সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়া বলেছে, মার্কিন সেনাবাহিনীতে চলমান জাতিগত বৈষম্য এবং অমানবিক আচরণের কারণে গত মাসে তার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল মার্কিন সেনা ট্র্যাভিস কিং।

২৩ বছর বয়সি ট্রাভিস কিং গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।

বিজ্ঞাপন

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএরের বরাত দিয়ে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাভিস অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন এবং উত্তর কোরিয়ায় আশ্রয় নিতে চেয়েছেন।

কেসিএনএ বলেছে, ‘তদন্তের সময়, ট্র্যাভিস কিং স্বীকার করেছেন যে, মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে অমানবিক আচরণ এবং জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে খারাপ অনুভূতি পোষণ করায় তিনি উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

কেসিএনএ আরও জানিয়েছে, ‘ট্রাভিস উত্তর কোরিয়া বা তৃতীয় কোনও দেশে শরণার্থী হিসাবে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কারণ, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেষম্যপূর্ন সমাজে মোহভঙ্গ হয়েছিলেন।’

তবে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পিয়ংইয়ংয়ের দাবিগুলো যাচাই করতে পারেনি।

পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ট্রাভিসের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করছি। সামরিক বিভাগের অগ্রাধিকার হলো তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আমরা সেই ফলাফল অর্জনের জন্য সমস্ত সম্ভাব্য চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করছি।’

ট্রাভিস উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করার আগে হামলার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার কারাগারে দুই মাস আটক ছিলেন।

শাস্তিমূলক কার্যক্রমের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি সিউলের বিমানবন্দর ছেড়ে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে পৃথককারী ডিমিলিটারাইজড জোন সফরে যোগদান করতে সক্ষম হন এবং সুযোগ বুঝে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়েন।