তাইওয়ানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক সহায়তা অনুমোদন
কোনও বিদেশী দেশ হিসাবে তাইওয়ানের জন্য এই প্রথম সরাসরি মার্কিন সামরিক সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সামরিক সহায়তার খবরটি নিশ্চিত করেছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। তারা বুধবার (৩০ আগস্ট) বলেছেন, চীন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) কংগ্রেসকে তাইওয়ানের জন্য ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের কথা জানিয়েছে।
এই পদক্ষেপ চীনকে ক্ষুব্ধ করবে সে কথা বলা যায় নিশ্চিতভাবেই। পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে শুধুমাত্র বেইজিংকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস বলেছে, স্বশাসিত তাইওয়ানে গণতন্ত্রের প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র সরবরাহের প্রয়োজন।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট জোর দিয়ে বলেছে, ওই সহায়তা তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি বহন করে না।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘তাইওয়ান সম্পর্ক আইন আমাদের দীর্ঘদিনের এক চীন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা পরিবর্তিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা নিবন্ধ এবং পরিষেবাগুলোকে পর্যাপ্ত আত্মরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহ করবে।’
তিনি আরও বলেন, তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্থায়ী আগ্রহ রয়েছে, যা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই সামরিক সহায়তার ঘোষণায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এটি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, ওই সহায়তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সহায়তা করবে।
হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান এবং বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির কট্টর সমালোচক মাইক ম্যাককল ওয়াশিংটনের ওই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।
তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে উল্লেখ করে বলেন, ‘ওই অস্ত্রগুলো শুধুমাত্র তাইওয়ানকে সাহায্য করবে না, বরং ওই অঞ্চলের অন্যান্য গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে। এটি মার্কিন প্রতিরোধ ভঙ্গিকে শক্তিশালী করবে এবং একটি ক্রমবর্ধমান আক্রমনাত্মক সিসিপি থেকে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’