ভারত সরকারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করলেন বাইডেন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গণমাধ্যম, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা ইস্যুতে বৈষম্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

স্থানীয় সময় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাইডেন বলেন, মানবাধিকারকে সম্মান করা এবং শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সুশীল সমাজ ও মুক্ত সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার কথা যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই বলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারত সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদির কাছে তুলে ধরেছি।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের এবং এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংস আক্রমণের জন্য পদ্ধতিগত বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার রক্ষা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং তাকে তিনি মানবাধিকার রক্ষা করার গুরুত্বের বিষয়ে বলেছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষিত সমাজের ভূমিকা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রযোজনীয়তার কথাও বলেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের সমালোচিত হচ্ছে ভারতে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ভারত বর্তমানে অধিকার নিশ্চিতকরণ ও অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছে। ভারত সরকারের উচিত হবে উন্নয়ন বিষয়ে সম্মানজনক সংলাপ বজায় রাখা এবং আমরা মানবাধিকার বিষয়ক যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি তার সুষ্ঠু সমাধানে মনোযোগী হওয়া।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচ আর ডব্লিউ ) এর তথ্যমতে, ভারত সরকারের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী আদর্শ বিচার ব্যবস্থায় পক্ষপাতিত্ব প্রতিফলিত হয় এবং কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের মাধ্যমে কর্মী ও সাংবাদিকদের চুপ করার প্রচেষ্টা জোরদার চালায়। এমন চলমান পরিস্থিতিতে ভারতে মানবাধিকার বৈষম্য প্রকট রয়েছে।

উল্লেখ্য, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে বাইডেন ভারত সফর করেন। এসময়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সফররত মার্কিন সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মোদি-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর কোনো প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না। রীতি অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একা কোনো সংবাদ সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করতে পারবেননা।তাই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল ভিয়েতনামে পৌঁছানোর পর সংবাদ সম্মেলন করবেন বাইডেন। তাই সম্মেলন শেষে রোববার তিনি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছালে সেখানকার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।