কানাডার তদন্তে ভারতকে সহযোগিতা করতে বললেন ব্লিঙ্কেন
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৈঠকের সময় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কানাডাকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
ওই বৈঠকের আগে নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় ভূমিকার অভিযোগ তোলা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বৃহস্পতিবার কুইবেকে বক্তৃতাকালে বলেছিলেন, তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, ব্লিঙ্কেন জয়শঙ্করের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে, কানাডার অভিযোগগুলোকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত এবং উভয় সরকারই একে অপরের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ব্লিঙ্কেন তার বৈঠকে কানাডার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং কানাডার তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানান।’
যদিও স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি বিবৃতিতে এই বিষয়টির উল্লেখ করা হয়নি।
ট্রুডো চলতি মাসের শুরুর দিকে পার্লামেন্টে বলেছিলেন, কানাডা সন্দেহ করছে যে, গত জুন মাসে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে ভারতীয় সরকারের এজেন্টরা জড়িত ছিল।
প্রসঙ্গত, নিজ্জার কানাডার নাগরিক ছিলেন। কিন্তু, ভারত তাকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করেছিল। তিনি খালিস্তানকে সমর্থন করে শিখদের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমির দাবি জানিয়েছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়াশিংটনে জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন ব্লিঙ্কেন। জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিঙ্কেন নিজ্জারের ঘটনা উত্থাপন করবেন কিনা সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রুডো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই ভারত সরকারের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করবে।’
ব্লিঙ্কেন তার ভারতীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নিজ্জার হত্যা বা সামগ্রিক বিষয়ে কোনও কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
ব্লিঙ্কেন এবং জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনায় ভারতের জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডোর তৈরি এবং প্রতিরক্ষার মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট৷
জয়শঙ্কর গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘কানাডা যদি নিজ্জার হত্যার বিষয়ে যেকোনও নির্দিষ্ট বা প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করে, তবে তা খতিয়ে দেখতে উন্মুক্ত নয়াদিল্লি।’
এদিকে, ব্লিঙ্কেন এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘ট্রুডোর উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
কানাডায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত কানাডিয়ান টেলিভিশনকে বলেছেন,
‘মামলার কিছু তথ্য ফাইভ আই গোয়েন্দা জোট দ্বারা সংগ্রহ করা হয়েছে, যে জোটের মধ্যে মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা।’