ইউক্রেনকে সমর্থনের জন্য মিত্রদের প্রতি বাইডেনের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কট্টরপন্থীরা ইউক্রেনের জন্য মার্কিন তহবিল বরাদ্দ বন্ধ করার কারণে পশ্চিমাদের উদ্বেগের মধ্যে হোয়াইট হাউস বলেছে, ইউক্রেনের জন্য সমর্থন সমন্বয় করার জন্য মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) তার মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন মঙ্গলবার মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য আমাদের চলমান সমর্থন সমন্বয় করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।’
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার (২ অক্টোবর) কিয়েভে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সমাবেশে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের দৈর্ঘ্য ইউক্রেন মিত্রদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমর্থনের উপর নির্ভর করবে।
জেলেনস্কির অফিস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ওই বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিজয় সরাসরি আমাদের সহযোগিতার উপর নির্ভর করে। আমরা একসঙ্গে যতো তাড়াতাড়ি আরও শক্তিশালী এবং নীতিগত পদক্ষেপ নেব, ততো তাড়াতাড়ি এই যুদ্ধ শেষ হবে।’
জেলেনস্কি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের রূপরেখা দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া এবং ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা সম্প্রসারণসহ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সাহায্য করা উচিত।
তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনরুদ্ধারে অর্থায়নের জন্য রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদকে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল ইতিমধ্যে ইউক্রেনের নেতাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে, ইইউ যতোদিন সময় লাগে ততোদিন ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার ব্লকটির সীমানার বাইরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঐতিহাসিক সম্মেলনের জন্য জড়ো হয়েছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ২০তম মাসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
জোসেপ বোরেল সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনে প্রার্থী দেশ এবং ইইউর ভবিষ্যত সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি ঐতিহাসিক বৈঠকে আহ্বান করছি। আমরা এখানে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আমাদের সংহতি ও সমর্থন জানাতে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ইইউ-এর মধ্যেই নিহিত।’ এদিকে, ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ওই শীর্ষ সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ, প্রথমবারের মতো ইইউয়ের পররাষ্ট্র বিষয়ক পরিষদ ব্লকের বর্তমান সীমানার বাইরে, কিন্তু এর ভবিষ্যতের সীমানার মধ্যে বৈঠকে বসতে চলেছে।’
ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাঙ্কে ব্রুইনস স্লট বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শনের জন্য আজ আমাদের এখানে দেখা করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউক্রেনের জনগণ ২০১৪ সালে মস্কোপন্থী শাসনকে উৎখাত করে ইইউপন্থী বিদ্রোহ করেছিল।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ আগ্রাসনের কারণে ইইউয়ের ফাস্ট ট্র্যাক সদস্য হওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন।