চীনের ৪২ কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করার অভিযোগে চীনের ৪২ কোম্পানির ওপর নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের অভিযোগ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা চীনা কোম্পানিগুলো ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বস্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পকে সরবরাহ করছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ অক্টোবর) মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকা দীর্ঘ করার ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ভারত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি করে প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল যখন হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈঠক আয়োজনের তোড়জোড় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তা অ্যালান এস্তেভেজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে যেভাবেই সহায়তা করা হোক না কেন আমরা তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দ্বিধা করব না, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানেই অবস্থিত হোক না কেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রচেষ্টা মূলত দেশটিতে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্য যেন কোনোভাবেই রাশিয়ার সামরিক ঠিকাদারদের হাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। বিশেষ করে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের লক্ষ্যকে নির্ভুল করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ম্যাথিউ এক্সেলরড জানিয়েছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্য রাশিয়ার কাছে বিক্রি করার অন্যতম মাধ্যম। তিনি বলেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা একটি স্পষ্ট বার্তা হলো আপনি যদি রাশিয়ান প্রতিরক্ষা খাতকে মার্কিন-মূল প্রযুক্তি সরবরাহ করেন, আমরা খুঁজে বের করব এবং ব্যবস্থা নেব।