সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক নষ্ট করতেই হামাসের আক্রমণ!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলের উপর হামাসের সর্বশেষ হামলাটি ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্কের সম্ভাব্য স্বাভাবিককরণকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে হয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

রয়টার্স জানিয়েছে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন রবিবার (৮ অক্টোবর) ইসরায়েলের জন্য নতুন সহায়তা ঘোষণা করবে।

বিজ্ঞাপন

ব্লিঙ্কেন রবিবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘এটি অবাক হওয়ার কিছু হবে না যে, হামাসের ওই হামলার অনুপ্রেরণার একটি অংশ হতে পারে সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলকে একত্রিত করার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করা, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী।’

ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিক নিহত ও নিখোঁজ হওয়ার খবরও নোট করেছে। নিখোঁজ হওয়া ওই মার্কিন নাগরিকদের বিশদ পরিসংখ্যান যাচাই করতে চাইছে ওয়াশিংটন।

বিজ্ঞাপন

সেক্রেটারি অফ স্টেট বলেন, ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সহায়তার বিশদ বিবরণ পরে প্রকাশ করা হবে। তিনি ইসরায়েলের বিপরীতে ওই হামলাকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সন্ত্রাসী হামলা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

ব্লিঙ্কেন সিএনএনকে বলেন, ‘ইসরায়েলিরা যে সুনির্দিষ্ট অনুরোধগুলো করেছে, আমরা তা দেখছি। আমি মনে করি আপনি পরে এটি সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলে সর্বশেষ ওই হামলার পেছনে ইরানের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ এখনও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই। তবে গাজা শাসনকারী হামাস এবং ইরানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে।

৫০ বছর আগে ইয়োম কিপপুর যুদ্ধে হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় মিশর এবং সিরিয়া আকস্মিক আক্রমণের ঘটনার পর শনিবার ভোরবেলা হামাসের আক্রমণটি ছিল ইসরায়েলে জন্য সবচেয়ে বড়, মারাত্মক এবং অপ্রত্যাশিত।