ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ : নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলছে। ছবি : সংগৃহীত

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলছে। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি রেজুলেশনে বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবে ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে মানবিক বিরতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

খবরটি নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার কারণ ওই প্রস্তাবটি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সম্মান করে না।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন সদস্য ব্রাজিলের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া এবং যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত ছিল।

জাতিসংঘের ওই ভোটের বিপক্ষে ছিল একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র। তাই সংস্থাটির পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের একটি হিসাবে দেশটির বিরুদ্ধাচারণ ভেটো হিসাবে গণনা করা হয়।

ভোটের পর জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হতাশ, কারণ ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়নি।’

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সমস্ত সহিংসতা এবং শত্রুতা এবং সমস্ত সন্ত্রাসবাদের দৃঢ়ভাবে নিন্দা করে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সংস্থাটি হামাসের জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা এবং জিম্মি করাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা করে।

প্রস্তাবটিতে উভয় পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাগুলো সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

নিরাপত্তা পরিষদ গত সোমবার মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে রাশিয়ার একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ভোটটি আসলো।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজার হাসপাতালে মারাত্মক বিস্ফোরণটি ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের দ্বারা সৃষ্ট বলে মনে হচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার (১৮ অক্টোবর) তেল-আবিবে পা রাখার পর বাইডেন বলেছেন, তিনি ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই বিস্ফোরণে প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আল-আহলি আরব হাসপাতালে বিস্ফোরণ বাইডেনের সফরের খবরকে ছাপিয়ে গেছে। ওই বিস্ফোরণ উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং অঞ্চলজুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

বুধবার তেল-আবিবে দুই নেতার যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আগে জো বাইডেনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘গতকাল গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণে আমি গভীরভাবে শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছি।’

তিরি আরও বলেন, ‘আমি যা দেখেছি তার উপর ভিত্তি করে মনে হচ্ছে বিস্ফোরণটি অন্য কোনও দল ঘটিয়েছে।’

তেল-আবিব সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের নিন্দা করেছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, গাজায় প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে।

বাইডেন বাদশাহ আবদুল্লাহ, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে দেখা করার জন্য ইসরায়েল থেকে জর্ডানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু, মঙ্গলবার হাসপাতালের বিস্ফোরণের পর সেই সফর বাতিল করা হয়েছে।

বৈঠক বাতিল করে গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনাকে একটি মহা বিপর্যয় এবং একটি জঘন্য যুদ্ধাপরাধ বলে নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুধবার পরে ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভালোভাবে বোঝার জন্য তিনি কঠিন প্রশ্ন করবেন।

তিনি বলেন, তিনি তাদের বন্ধু হিসাবে ইসরায়েলকে কিছু কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন।

কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় প্রবেশের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা এবং বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে বাধ্যবাধকতার উপর জোর দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

হামাস ইসরায়েলকে দোষারোপ করে এটিকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে। অধিকৃত পশ্চিমতীরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র ইসরায়েলকে জঘন্য অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, তাদের বাহিনী ওই বিস্ফোরণের পেছনে ছিল না।

   

যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান ঘিরে রণক্ষেত্র হতে পারে ক্যাম্পাসগুলো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। গত শনিবার (৪ মে) ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্যাম্পাসগুলো থেকে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হলো। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের সময় ঘনিয়ে আসছে।

আগামী দিনগুলোয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ এপ্রিল থেকে চলছে এই বিক্ষোভ। শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ দমনে শুরু থেকেই পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে এসেছে।

এভাবে বিক্ষোভ দমন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অধিকারকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিক্ষোভে উত্তাল চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি সপ্তাহের শেষে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি মাসে অথবা আগামী জুনে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বাধা দিতে পারেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। এ কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হুমকি দিয়েছেন, তাদের দাবি মানা না হলে এসব আয়োজন বর্জন ও অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে আসাসহ বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে ভাবছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে এসব অনুষ্ঠান বাতিল করেছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। কোনো কোনোটি পিছিয়ে দিচ্ছে।

গত শনিবার সকাল পর্যন্ত ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল। ওই সময় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্যাম্পাসের লন থেকে কয়েক বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে আটক করছে।

এ ছাড়া বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করছে। এর পরই বিক্ষোভ একরকম দাঙ্গায় রূপ নেয়।

এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জিম রায়ান বলেন, গত শুক্রবার রাতে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ করবে-এমন খবরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়। তবে আটকদের মধ্যে ঠিক কতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তা স্পষ্ট নয়।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানস্থলে মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। ক্যাম্পাস পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে স্টেডিয়ামের পেছনের অংশে নিয়ে যায়। তবে পতাকা, কাফিয়াহ এবং গ্র্যাজুয়েশন ক্যাপ পরে কয়েক ডজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্নাতক অনুষ্ঠান পণ্ড করেন।

এর এক দিন পর গতকাল রোববার নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও সূচনা অনুষ্ঠান ব্যাহত হয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এই বিক্ষোভ এখন নতুন নতুন দেশে ছড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে নেমেছেন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, লেবানন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকোর শিক্ষার্থীরা।

;

ব্রুনাইয়ের আদালতে বাংলাদেশীকে ৫১ লাখ টাকা জরিমানা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ সিগারেট চোরাচালানের অপরাধে এক বাংলাদেশী অভিবাসীকে ৬২ হাজার ব্রুনাই ডলার বা প্রায় ৫১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ব্রুনাইয়ের আদালত।

৬৩ কার্টন সিগারেট চোরাচালানের অভিযোগে গত শুক্রবার (৩ মে) এই রায় দিয়েছেন আদালত।

নির্বাহী বিচারক আজিম বিন ওসমান এই জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অনাদায়ে বাংলাদেশি নাগরিক হাদিউল ইসলামকে (৪৩) ১৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

কাস্টমস প্রসিকিউটর আদালতে প্রকাশ করেন যে, আসামীর কাছ থেকে ৬৩ কার্টন চোরাচালান করা সিগারেট, একটি মোবাইল ফোন, ২ হাজার ২৪৩ ব্রুনাই ডলার এবং ৫৩ সিঙ্গাপুর ডলার নগদ পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় কাম্পং পাঞ্চোর মেংকুবাউ এলাকায় দেশটির কাস্টমস বিভাগের অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে হাদিউলের কোয়ার্টার থেকে এই চোরাচালানের সিগারেট উদ্ধার করা জয়।

আদালত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন এবং সিগারেটগুলো ধ্বংসের আদেশ দিয়েছেন।

;

ইনস্টাগ্রামে ছবি দেখে অবস্থান শনাক্ত, আততায়ীর হাতে ইনফ্লুয়েন্সার খুন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ল্যান্ডি প্যারাগা গয়বুরোর

ল্যান্ডি প্যারাগা গয়বুরোর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া একটি ছবিই কাল হয়ে দাঁড়াল ইকুয়েডরের বিখ্যাত ইনফ্লুয়েন্সার ল্যান্ডি প্যারাগা গয়বুরোর (২৩) জীবনে। পোস্ট দেওয়া ওই অবস্থানের সূত্র ধরেই তাকে খুন হতে হয় দুজন বন্দুকধারীর হাতে। ইনস্টাগ্রামে তার প্রায় পৌনে ২ লাখ অনুসারী। খবর এনডিটিভি। 

তার মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ জানায়, খুন হওয়ার আগে ল্যান্ডি দুপুরের খাবারের জন্য একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি ওই খাবারের ছবি পোস্ট করেন তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে। ওই ছবি দেখে ল্যান্ডির অবস্থান চিহ্নিত করেছিলেন খুনিরা। এরপর সেখানে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেন জনপ্রিয় এ ইনফ্লুয়েন্সারকে।

তারা আরও জানায়, ল্যান্ডিকে খুন করতে ওই রেস্তোরাঁয় দুজন বন্দুকধারী গিয়েছিলেন। তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুরো ঘটনা সেখানে থাকা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, ল্যান্ডি ওই রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় একজনের সাথে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ওই স্থানে অজ্ঞাত দুই বন্দুকধারী প্রবেশ করে গুলি ছোড়েন।

এ ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যেই রেস্তোরাঁর পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন ল্যান্ডি। এরপর পালিয়ে যান বন্দুকধারীরা। দেখা যায়, সাবেক বিউটি কুইন (সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী) ল্যান্ডির রক্তাক্ত দেহ রেস্তোরাঁর ভেতর পড়ে আছে।

তদন্তকারীরা বলছে, তার খাবারের ছবির সূত্র ধরেই বন্দুকধারীরা রেস্তোরাঁয় পৌঁছায়। তারপর তারা সেখানে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

তবে এখন পর্যন্ত এই খুনের পিছনের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। এ নিয়ে কিছু গুঞ্জন ছড়িয়েছে। যেমন কেউ বলছেন, স্থানীয় একজন কুখ্যাত গ্যাং লিডারের সঙ্গে ল্যান্ডির সম্পর্ক ছিল। কেউ বলছেন, সংগঠিত অপরাধে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতিসংশ্লিষ্ট একটি তদন্তের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ায় খুন হতে হয়েছে তাকে।

এমন গুঞ্জনও রয়েছে যে একজন মাদক সম্রাটের সঙ্গে ল্যান্ডির সম্পর্ক ছিল। তাই ওই ব্যবসায়ীর বিধবা স্ত্রী ল্যান্ডিকে খুন করিয়ে থাকতে পারেন।

;

লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক পরিবারের ৪ সদস্য নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা মেইস আল জাবালে গ্রামে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে এক পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন।

রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় ওই চার লেবানিজ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে নিয়মিত গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। এতে মেই আল জাবালের গ্রামসে বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে, হিজবুল্লাহ জানায়, তারা প্রতিশোধ হিসেবে লেবাননের সীমান্তের নিকটবর্তী ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরিয়াত শমোনা শহরে দশটি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে।

অক্টোবর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। তবে উভয়পক্ষ সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত রয়েছে।

অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ সদস্য এবং ৭৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের একাধিক সূত্র বলেছে, লেবানন থেকে ছোড়া হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি অন্তত এক ডজন সৈন্য নিহত ও বেশ কয়েকজন বেসামরিক আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২৫২ জন হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছেন বলেও জানায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

;