জার্মানিতে ছুরি হামলাকারী সিরীয় তরুণের বিচার শুরু
নয় দিনের মধ্যে দুটি ভয়ঙ্কর হামলার ছয় মাস পর সোমবার ডুইসবুর্গ শহরের আদালতে ২৭ বছর বয়সি সিরীয় তরুণের বিচারের শুনানি শুরু হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল এই শহরেই এক পথচারির তলপেট, মাথা ও ঘাড়ে কমপক্ষে ২৮ বার ছুরি চালানো হয়।
হামলায় গুরুতর আহত ৩৭ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি পরে হাসপাতালে মারা যান।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ঘটনার পর হামলাকারী গা-ঢাকা দেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা করেও হামলাকারীকে খুঁজে বের করতে পারেনি তখন।
নয়দিন পর জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টফা্লিয়ার ডুইসবুর্গ শহরেরই এক জিমে ফের ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয়।
হামলাকারী প্রথমে শাওয়ারের নীচে স্নানরত তিন ব্যক্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে থামাতে এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে তার উরুতে কয়েকবার ছুরি চালিয়ে হামলাকারী পালিয়ে যায়।
ওই হামলার পর ঘটনাস্থলে জুতার ছাপ ও সিরীয় ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করে তাকে চিহ্নিত করে পুলিশ। এর পর গত ২৪ এপ্রিল আটক করা হয় তাকে।
২০১৬ সালে জার্মানিতে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে সিরীয় এ তরুণ। এক সময় তাকে রেসিডেন্স পারমিট দেওয়া হয়।
ডুইসবুর্গের আদালতে সোমবার (২৩ অক্টোবর) হত্যা ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগের মামলার শুনানিতে অংশ নিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে প্রবেশ করেই বিশেষ কায়দায় হাত তুলে আইএসের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
বিচারক আদালত কক্ষে প্রবেশ করলে অন্য সবাই রীতি মেনে উঠে দাঁড়ালেও অভিযুক্ত ব্যক্তি দাঁড়াতে রাজি হননি।
বাদিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যক্তির সার্বিক আচরণ জার্মানির উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি মনে করেন, জার্মানিতে যারা শরিয়া আইন মানে না, তারা সবাই ‘অবিশ্বাসী' এবং তাদের মৃত্যুই প্রাপ্য।