নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে ১৮ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৭০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

  • Font increase
  • Font Decrease

ফের নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে নাইজেরিয়ায়। দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলের একটি নদীতে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিজিটিএন।

ওই নৌকাডুবির ঘটনায় ৭০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন এবং এদের মধ্যে নারীসহ বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে।

এই ঘটনার পরেই ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। তাদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির তারাবা প্রদেশে। সেখানকার লামিডো এলাকা থেকে নদীপথে মায়ো রানেওয়া গ্রামের একটি বাজারে যাওয়ার জন্য ওই নৌকায় চড়েছিলেন যাত্রীরা।

স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, ১০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলেন ওই নৌকায়। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাঝনদীতে ডুবে যায় নৌকাটি।

প্রসঙ্গত, নাইজেরিয়াতে নদীপথে পরিবহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশটিতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ নদী পথে পরিবহণের উপর নির্ভরশীল। তার ফলে নাইজেরিয়াতে নৌকাডুবির ঘটনাও প্রায়ই ঘটে।

সাধারণত অতিরিক্ত ভিড় এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের ফলে নাইজেরিয়ায় প্রায়ই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

নাইজেরিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান লাদান আইয়ুবা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭৩ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং নদী থেকে ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজে ১০৪ জন যাত্রী ছিলেন বলে তিনি জানান।

তারাবা স্টেট ইমার্জেন্সি এজেন্সির মুখপাত্র ব্রাইসন বেন জানিয়েছেন, সোমবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে পৌঁছেছে। বাকিদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী দল এখনও নদীতে সন্ধান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, অক্টোবরের শুরুতে নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল দেশটির উত্তর পশ্চিমের একটি প্রদেশে। নৌকাটি ৫০ জন যাত্রী বহন করছিল। ওই সময় মাঝনদীতে নৌকা ডুবে যায় ঘটনায় ২০ জনকে উদ্ধার করে গেলেও ৪০ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

   

কেনিয়ার সংসদ ভবনে বিক্ষোকারীদের আগুন, গুলিতে নিহত অন্তত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: কেনিয়ায় পার্লামেন্টের ভেতর বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব

ছবি: কেনিয়ায় পার্লামেন্টের ভেতর বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব

  • Font increase
  • Font Decrease

কেনিয়ায় কর বৃদ্ধি বিষয়ক আইন পাস নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষোভ এতটাই শক্তি ধারণ করে যে অসংখ্য বিক্ষোভকারী দেশটির সংসদের ভেতর ঢুকে পড়েছেন। বিক্ষোভকারীরা সংসদে ঢুকে পড়ার পর এমপিরা বেজমেন্টে গিয়ে লুকান। বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং পুলিশের গোলাগুলির কারণে তারা সেখান থেকে বের হতে পারছেন না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সংসদে আগুন দিয়েছেন। এতে ভবনটির একটি অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব বিক্ষোভকারী সংসদে ঢুকে পড়তে সমর্থ হয়েছেন তাদের বের করে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু ইতিমধ্যেই সংসদের ভেতর থাকা চেয়ার টেবিল ভেঙে ফেলেছেন তারা।

বিক্ষোভ দমনে সরাসরি গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্যারামেডিক। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিবিসি তাদের সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা এখনো সংসদের ভেতর অবস্থান করছেন।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, কর বৃদ্ধি আইন পাসের বিরোধীতা করে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সারাদিন সংসদের বাইরে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের সরিয়ে দিতে অসংখ্য কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা একটা সময় রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত সংসদে ঢুকে পড়তে সমর্থ হন।

গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ-সমাবেশ দেশটির সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো গত সপ্তাহের শেষের দিকে বলেছিলেন, তিনি বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত।

কিন্তু মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে নাইরোবিতে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেসময় আইনপ্রণেতারা কর বৃদ্ধির প্রস্তাবের একটি বিতর্ক করছিলেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে হামলার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ সংসদ ভবনের বাইরে জনতার ওপর গুলি চালায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশন (কেএইচআরসি) বলেছে, ‘‘পুলিশ চারজন বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে এবং একজনকে হত্যা করেছে।’’

কিন্তু ইতোমধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটে জর্জরিত দেশটির নাগরিক নতুন এই কর বৃদ্ধি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে উন্নয়নশীল অর্থনীতির একটি দেশ কেনিয়া। দেশটির ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশই দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেন।

;

দক্ষিণ কোরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ কোরিয়ায় লিথিয়াম ব্যাটারি কারখানায় সোমবারের (২৪ জুন) ভয়াকহ অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলেছে, অগ্নিকাণ্ডে ১৭ জন চীনা নাগরিকসহ ২৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ফায়ার ফাইটার কিম জিন-ইয়ং সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা নিহতদের দেহ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেছি।’

দেশটির সরকার মঙ্গলবার (২৫ জুন) অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে আনুষ্ঠানিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এরপর আগুন লাগার সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে তদন্তকারীরা ভবনটিতে প্রবেশ করেছে।

কারখানায় ১০০ জনেরও বেশি লোক কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। তখন শ্রমিকরা দ্বিতীয় তলা থেকে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। সেখানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলোর প্যাকেজিং হচ্ছিল।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারখানা ভবনের প্রবেশপথের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ২০ সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে সাদা ধোঁয়ায় এলাকাটি ভরে যায় এবং লোকজন দৌঁড়ে বেরিয়ে যেতে থাকে।

লিথিয়াম ব্যাটারি প্লান্ট অ্যারিসেলের মালিক ও সিইও পার্ক সুন-কোয়ান মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে সব রকমের সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, পুরো ভবনটিজুড়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে এবং তারা কর্মীদের জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ মহড়া পরিচালনা করেছেন।

সিউলে চীনের রাষ্ট্রদূত জিং হাইমিং সোমবার গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি এটিকে একটি দুর্ভাগ্যজনক এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।

;

বিশ্বের কুৎসিত কুকুরের মুকুট ওয়াইল্ড থাংয়ের মাথায়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সবচেয়ে কুৎসিত কুকুরের মুকুট পাওয়া ওয়াইল্ড থাং ও তার মালিক অ্যান লুইস

ছবি: সবচেয়ে কুৎসিত কুকুরের মুকুট পাওয়া ওয়াইল্ড থাং ও তার মালিক অ্যান লুইস

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের একটি কুকুরকে বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুরের মুকুট দেওয়া হয়েছে। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াইল্ড থাং নামে আট বছর বয়সী কুকুরটি গত শুক্রবার (২১ জুন) ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০২৪ সালের বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুর প্রতিযোগিতায় জিতেছে।

প্রাণীটি পাঁচবার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে, শেষ পর্যন্ত এই বছরের শীর্ষ পুরস্কার নেওয়ার আগে তিনবার দ্বিতীয় হয়েছে।

ওয়াইল্ড থাং তার জীবনী অনুসারে কুকুরছানা হিসাবে ভাইরাল রোগ ক্যানাইন ডিস্টেম্পার সংক্রামিত হয়েছিল। বেঁচে থাকলেও সংক্রমনে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়।

ছবি: সবচেয়ে কুৎসিত কুকুরের মুকুট পাওয়া ওয়াইল্ড থাং

এর ফলে কুকুরটির দাঁতের বৃদ্ধি হয়নি, এতে তার জিহ্বা বাইরে থাকে এবং তার সামনের পা ডান বাকানো। শারীরিক সমস্যা ছাড়াও কুকুরটি দেখতে কুশ্রী।

কুকুরের মালিক অ্যান লুইস পুরষ্কার হিসেবে ৫ হাজার ডলারের চেক পেয়েছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুর প্রতিযোগিতা প্রায় ৫০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং ইভেন্টের ওয়েবসাইট অনুসারে সমস্ত কুকুরকে বিশেষ এবং অনন্য করে তোলে এমন অপূর্ণতাগুলি তুলে ধরা হয়।

কুকুরকে অবহেলা নয় বরং কুকুরগুলি সত্যিই সুন্দর যা বিশ্বকে দেখানো উচিৎ-এ জন্যই ইভেন্টটি আয়োজন করা হয়।

প্রতিযোগীতায় রোম নামে একটি ১৪ বছর বয়সী পাগ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, এবং ডেইজি মে নামে ১৪ বছর বয়সী উদ্ধারকারী কুকুর তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

;

মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের মূর্তি পুনঃস্থাপন করবে পাকিস্তান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের করতারপুর সাহিবে শিখ সাম্রাজ্যের প্রথম শাসক মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের পুনরুদ্ধার করা মূর্তিটি পুনঃস্থাপন করবে পাঞ্জাব সরকার।

পাঞ্জাব সরকার মঙ্গলবার (২৫ জুন) বলেছে, তারা বুধবার (২৬ জুন) মূর্তিটি স্থাপন করবে, যাতে ভারত থেকে আসা শিখরাও এটি দর্শণ করতে পারে।

করতারপুর সাহিব, গুরুদ্বার দরবার সাহিব নামেও পরিচিত এবং এটি লাহোর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভারতীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত।

মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের নয়-ফুট লম্বা ব্রোঞ্জ মূর্তিটি প্রথম ২০১৯ সালে লাহোর ফোর্টে তার সমাধির কাছে স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর পাকিস্তানের অতি-ডানপন্থী ইসলামী রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) কর্মীরা এটি দুইবার ভাংচুর করে।

পাঞ্জাবের প্রথম শিখ মন্ত্রী এবং পাকিস্তান শিখ গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির (পিএসজিপিসি) সভাপতি সরদার রমেশ সিং অরোরা পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা বুধবার বিকালে করতারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিবে মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের মূর্তি স্থানীয় ও ভারতীয় শিখদের উপস্থিতিতে স্থাপন করতে যাচ্ছি।’

তিনি পুনরুদ্ধার করা মূর্তি রক্ষার জন্য আরও ভাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাসও দিয়েছেন। শিখ মন্ত্রী বলেন, মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের মূর্তিটি সংষ্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মহারাজা রঞ্জিত সিং ছিলেন শিখ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯ শতকের প্রথমার্ধে লাহোরে সদরদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করেছিলেন।

;