গোলার অভাবে ভুগছে ইউক্রেনের আর্টিলারি বাহিনী : জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বলেছেন, গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার দেশে কামানের গোলা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
গত মাসে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণে হামলা চালানোর পর মার্কিন সাহায্যপুষ্ট ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেনের আর্টিলারি বাহিনী গোলার অভাবে ভুগছে। আমাদের সরবরাহ কমে গেছে। বিশেষ করে, ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণ ফ্রন্টলাইনে ব্যাপক ব্যবহৃত ১৫৫-মিলিমিটার গোলার সরবরাহ সত্যিই স্তিমিত হয়ে পড়েছে।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা এমন নয় যে, ইউক্রেনকে কিছু দিতে চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটা ঠিক যে সবাই নিজেদের মজুদের জন্য লড়াই করছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই প্রায় দুই বছরের দ্বন্দ্বের পরে শেল মজুদ রাখতে ও সুরক্ষিত করতে লড়াই করছে।’
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে, রাশিয়ার মিত্র উত্তর কোরিয়া স্যাটেলাইট প্রযুক্তির বিষয়ে পরামর্শের বিনিময়ে ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধকে শক্তিশালী করতে এক মিলিয়ন রাউন্ড গোলা পাঠিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে জার্মানি চলতি সপ্তাহে বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বছরের মধ্যে ইউক্রেনে এক মিলিয়ন রাউন্ড গোলা পাঠাবে। ব্লকটি কিয়েভের জন্য অস্ত্র সরবরাহ সুরক্ষিত করতে লড়াই করছে।
জেলেনস্কি কিয়েভে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমাদের গুদামগুলো খালি। একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্র ন্যূনতম সরবরাহও করতে পারছে না।’
জেলেনস্কি অবশ্য উৎপাদন বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া বা ইউক্রেন কেউই এক বছরের যুদ্ধে কোনও উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করতে পারেনি। কিয়েভের শীর্ষ সেনা কমান্ডার বলেছেন, ‘ওই যুদ্ধ একটি অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে।