ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে সফল অভিযানের দাবি ইউক্রেনের
ইউক্রেনের মেরিন কর্প শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দাবি করেছে যে, তাদের বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন শহরের কাছে ডিনিপ্রো নদীর রাশিয়া অধিকৃত পূর্ব তীরে একের পর এক সফল হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের মেরিন সেনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী খেরসন ফ্রন্ট বরাবর ডিনিপ্রো নদীর বাম তীরে একাধিক সফল অভিযান পরিচালনা করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি ব্রিজহেডের উপর পা রাখতে সক্ষম হয়েছে কিয়েভ বাহিনী।’
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে খেরসন অঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চল থেকে মস্কো প্রত্যাহার করার পর থেকে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী ডিনিপ্রো নদীর বিপরীত দিকে অবস্থান করছে।
দখলকৃত খেরসনের জন্য দায়ী রাশিয়ার নিয়োগ করা কর্মকর্তা চলতি সপ্তাহে স্বীকার করেছেন যে, কিছু ইউক্রেনীয় সেনা ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে একটি ছোট গ্রাম ক্রিঙ্কিতে অবরুদ্ধ ছিল এবং তারা রাশিয়ার গোলা এবং রকেট হামলার কারণে নরকের মুখোমুখি হয়েছিল।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বলেছেন, গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার দেশে কামানের গোলা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
গত মাসে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণে হামলা চালানোর পর মার্কিন সাহায্যপুষ্ট ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেনের আর্টিলারি বাহিনী গোলার অভাবে ভুগছে। আমাদের সরবরাহ কমে গেছে। বিশেষ করে, ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণ ফ্রন্টলাইনে ব্যাপক ব্যবহৃত ১৫৫-মিলিমিটার গোলার সরবরাহ সত্যিই স্তিমিত হয়ে পড়েছে।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা এমন নয় যে, ইউক্রেনকে কিছু দিতে চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটা ঠিক যে সবাই নিজেদের মজুদের জন্য লড়াই করছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই প্রায় দুই বছরের দ্বন্দ্বের পরে শেল মজুদ রাখতে ও সুরক্ষিত করতে লড়াই করছে।’
রয়টার্স জানিয়েছে জার্মানি চলতি সপ্তাহে বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বছরের মধ্যে ইউক্রেনে এক মিলিয়ন রাউন্ড গোলা পাঠাবে। ব্লকটি কিয়েভের জন্য অস্ত্র সরবরাহ সুরক্ষিত করতে লড়াই করছে।
জেলেনস্কি কিয়েভে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমাদের গুদামগুলো খালি। একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্র ন্যূনতম সরবরাহও করতে পারছে না।’
জেলেনস্কি অবশ্য উৎপাদন বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া বা ইউক্রেন কেউই এক বছরের যুদ্ধে কোনও উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করতে পারেনি। কিয়েভের শীর্ষ সেনা কমান্ডার বলেছেন, ‘ওই যুদ্ধ একটি অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে।