আইসল্যান্ডে ভূমিকম্পের পর শক্তিশালী অগ্নুৎপাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপের নর্ডিক রাষ্ট্র আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকাভিকের দক্ষিণে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভূমিকম্পের পর আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে  আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস (আইএমও)।

রেইকাভিক এর চারপাশ ঘিরে থাকা ওই অঞ্চলে গত অক্টোবর থেকে ঘন ঘন ভূমিকম্প শুরু হয়। তখনই বোঝা যাচ্ছিল যেকোনো সময় শুরু হবে লাভা উদ্‌গীরণ।
আইএমও বলেছে, ‘গত রাত ১০টা ১৭ মিনিটে রিকজেনেস উপদ্বীপের গ্রিন্ডাভিকের উত্তরে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে। অগ্নুৎপাতের লাইভ-স্ট্রিম করা ফুটেজে দেখা গেছে, উজ্জ্বল কমলা লাভার বড় জেটগুলো রাতের আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। চারপাশে লাল ধোঁয়ায় ঘেরা।’
অগ্নুৎপাতের সঠিক অবস্থান এবং আকার নিশ্চিত করার জন্য একটি কোস্টগার্ড হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় আইএমও। এর আগে রাজধানী থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি মৎস্য বন্দর গ্রিন্ডাভিকের প্রায় ৪,০০০ বাসিন্দাকে ১১ নভেম্বর সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

বাসিন্দারা এএফপিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কারণে রাস্তা ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপর থেকে তাদের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দিনের আলোতে তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যাদের বাড়িঘর সবচেয়ে বিপজ্জনক অংশে রয়েছে তাদের পোষা প্রাণী থেকে শুরু করে ফটো অ্যালবাম, আসবাবপত্র এবং পোশাক সবকিছু উদ্ধার করার জন্য কর্তৃপক্ষ তাদের মাঝে মাঝে গ্রামে ভ্রমণের আয়োজন করেছেন।

উল্লেখ্য, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত আইসল্যান্ডে অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। সেখানে ৩৩টি সক্রিয় আগ্নেয়েগিরি সিস্টেম রয়েছে, যা ইউরোপে সর্বোচ্চ সংখ্যা। কয়েক সপ্তাহ ধরে নর্ডিক দেশটি দক্ষিণ-পশ্চিম উপদ্বীপে তীব্র  ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের পর যে কোনো মুহূর্তে সম্ভাব্য অগ্নুৎপাতের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। পরে গত মাসে লোকদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করেছিল।

   

ভারতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে মেঘালয়ের পূর্বাঞ্চলে পশ্চিম খাসি হিলস জেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ বাড়িতে থাকার সময় দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর। দুজন প্রথম ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের বাড়ি থেকে অনেকে এসে দুজনকে আটক করেন।

এরপর প্রায় দেড় হাজার গ্রামবাসী মিলে দুজনকে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে বেঁধে ফেলে। শুরু হয় নির্যাতন। এর মধ্যেই খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও ছিল। 

দুজনকে তাদের হেফাজতে দেওয়ার জন্য বলা হলেও এলাকাবাসী রাজি হয়নি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আরও পিটুনিতে গুরুতর আহত হয় দুজন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মেঘালয় মনিটর বলছে, তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনেই মারা যায়। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দুজন ওই গ্রামে শ্রমিকের কাজ করতেন।

;

আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহু সরকারের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন।

রোববার (৫ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার কার্যক্রম ইসরায়েলে বন্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করার জন্য ইসরায়েল সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন পাসের এক মাস পর আলজাজিরার বন্ধের এই সিদ্ধান্ত আসল।

এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আল–জাজিরার আঞ্চলিক কার্যালয় বন্ধে তিনি ‘দ্রুত ব্যবস্থা’ নেবেন।

অবরুদ্ধ ও নরকপুরীতে পরিণত হওয়া এ উপত্যকা থেকে হাতে গোনা যে কয়েকজন সাংবাদিক যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে পারছেন, আল–জাজিরার স্থানীয় কর্মীরা তাদের কয়েকজন।

;

‘রাফাহ হামলা’ না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাফাহ অঞ্চলে চলমান স্থল হামলা বন্ধ এবং ফের হামলা না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস। 

হামাসের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে হলে ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ এলাকায় স্থল হামলা চালাবে না-যুক্তরাষ্ট্রকে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আমরা এখন যে মূল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছি তা হলো- গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতানিয়াহু তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, কোনো যুদ্ধবিরতি হোক বা না হোক, তিনি রাফাহর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবেন। যার অর্থ কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

হামদান আরও বলেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আমাদের বোঝাপড়ার অর্থ হচ্ছে রাফাহসহ গাজার কোথাও আর কোনো হামলা হবে না।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাত মাসের বোমা হামলায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার ২২ লাখ মানুষের অর্ধেক অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলের নাগরিক।

শনিবার (০৪ মে) যখন মিশরের কায়রোতে হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন বিক্ষোভে নামে ইসরায়েলিরা। 

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে ফিরিয়ে আনতে এজন্য ইসরায়েলকে সম্ভব্য সবকিছুই করতে হবে। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাতালি এলদোর বলেন, ‘চুক্তির সমর্থনে আমি এখানে এসেছি। আমরা চাই সকল জিম্মি ফিরে আসুক। যারা বেঁচে আছে তাদের সহ যারা মারা গেছে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদেরকে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা তার শেষ চাই। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েরি নিহত হয়। জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৫৩ জনকে। 

এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বলছে, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে জিম্মিদের কারণে এ যুদ্ধ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়েছে পড়েছে। কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দিকে হাঁটতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সরকারকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না যেতে চাপ দিচ্ছে দেশটির ন্যাশনালিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি। একই সঙ্গে তারা দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে অভিযানের কথা বলছে। 

;