‘জিটিএ-৬’ হ্যাককারী কিশোর এখন হাসপাতালে
বর্তমান যুব সমাজে অবসর সময় কাটানোর একটি অন্যতম মাধ্যম হলো ভিডিও গেইম। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গেইমগুলোর মধ্যে অন্যতম- ‘জিটিএ’ সিরিজ। এর নতুন কোনো ভার্সন এলে ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। নতুন কী ফিচার থাকবে- তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে দিন গুণতে থাকে সবাই। ২০২৫ সালে আসবে এই গেইমের ৬ষ্ঠ কিস্তি। তবে ট্রেইলার প্রকাশের আগেই হ্যাক হয়েছে ‘জিটিএ-৬’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিখ্যাত গেইম জিটিএ-৬ হ্যাক করে “ল্যাপসাস$” নামের একটি দল। চলতি বছর ডিসেম্বরে গেইমের ট্রেইলার প্রকাশ করার কথা ছিল। তবে তার আগেই তারা অপ্রকাশিত এই গেইম থেকে ৯০ টি ক্লিপ লিক করে দেয়। এরপর তাদের লক্ষ্য ছিল ‘উবার’ এবং ‘এনভিডিয়া’। তারা উদ্দেশ্যে সফল হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
এই দলের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কিছু কিশোরেরও। তাদের মধ্যে অন্যতম অক্সফোর্ডে বসবাসকারী ব্রিটিশ কিশোর আরিয়ন কুর্তাজ। সম্প্রতি সে আবার আলোচনায় এসেছে।
বিবিসির তথ্যমতে, কুর্তাজ একজন অটিজম আক্রান্ত রোগী। তার প্রতিভা এবং অপরাধমূলক কাজ বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। তাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় কুর্তাজ আক্রমণাত্মক আচরণ করে। এতে সে নিজেও আঘাত পেয়েছে এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
ডাক্তার বলেছে, অটিজমের কারণে কুর্তাজের এখন ট্রায়ালে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা নেই। ‘গার্ডিয়ান’-এর রিপোর্ট থেকে জানা যায়, কুর্তাজের ল্যাপটপ সিজ করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও সে তার সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে। সে একটি অ্যামাজন ফায়ারস্টিক, তার হোটেলের টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। কোম্পানির ম্যাসেজিং সিস্টেম হ্যাক করে সে ঘোষণা করে,“রকস্টার যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার সাথে যোগাযোগ না করে, আমি সোর্স কোড প্রকাশ করা শুরু করবো।”
“ল্যাপসাস$” এর আরেক জন ১৭ বছর বয়সী সদস্যকে ট্রায়ালে নেওয়া হয়েছে। তাকে এখন আইনের আওতায় রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২টি প্রতারণা, ২টি কম্পিউটারের অপব্যবহার ও ১টি ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ রয়েছে। তাকে বর্তমানে ‘সারে’র গিল্ডফোর্ড ক্রাউন কোর্ট থেকে একটি যুব সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।