খেরসনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১, আহত ৪

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ক্লাইমেনকো মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বলেছেন, দেশটির খেরসন নগরীতে পালিয়ে আসা বেসামরিক লোকে পরিপূর্ণ একটি স্টেশনে রাশিয়ার হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।

ইগর ক্লাইমেনকো বলেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এ নগরীতে মস্কো ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। এদিকে রেল স্টেশনে ভয়াবহ হামলার পর অব্যাহত ড্রোন হামলার সতর্ক বার্তা জারি করেন খেরসনের সামরিক প্রশাসনের প্রধান।

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন শুরুর পরপরই রুশ বাহিনী খেরসন দখল করে।

তারা শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের বাহিনীর চাপের মুখে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও ডিনিপ্রো নদীর অপরপ্রান্ত থেকে শহরটিতে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

বিজ্ঞাপন

টেলিগ্রামে ক্লাইমেনকো বলেন, ‘সন্ধার দিকে খেরসনে প্রায় ১৪০ জন বেসামরিক নাগরিক তাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা একটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে শত্রু পক্ষ সেখানে ব্যাপক বোমা বর্ষণ শুরু করে।’

তিনি বলেন, এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত ও আরো চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুইজন বেসামরিক এবং দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ওই স্টেশনে হামলা চালানোর সময় বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’

এদিকে, কৃষ্ণসাগরের বন্দরে ইউক্রেনের হামলায় যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়ার ফিওডোসিয়ায় এ বিমান হামলা চালায় ইউক্রেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, নভোচেরকাস্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী বৃহৎ অবতরণকারী জাহাজে ইউক্রেনীয় বিমান আঘাত হানে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে যুদ্ধবিমান হামলায় জাহাজটি ধ্বংস করার দাবি করেন ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর প্রধান।

ক্রিমিয়ার রাশিয়ান স্থাপিত প্রধান সের্গেই আকসিওনভের মতে, হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ হামলায় ছয়টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অল্প সংখ্যক লোককে অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আকসিওনভ।

বিবিসি জানায়, এলাকাটি ঘেরাও করার পর বন্দরের পরিবহন কার্যক্রম স্বাভাবিক হিসাবে কাজ করছে। হামলার ফলে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেশচুক বন্দরে একটি বিশাল বিস্ফোরণ দেখানোর ফুটেজ শেয়ার করেছেন।

নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন ন্যাটো বিশ্লেষক প্যাট্রিক বুরি বিবিসি নিউজ চ্যানেলকে তিনি বলেন, জাহাজটি ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন বহন করছিল, যেটি রাশিয়া ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণে ব্যবহার করছে।

ইউক্রেনীয় টিভিতে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রেস সেন্টারের প্রধান নাটালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, এত বড় বিস্ফোরণ শুধু জাহাজের জ্বালানি বা গোলাবারুদের কারণেই হয়েছিল এটা পরিষ্কার।