ইউরোপে ১৪ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন : ডাব্লিউএইচও

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডব্লিউএইচওর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগ। ছবি : সংগৃহীত

ডব্লিউএইচওর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগ। ছবি : সংগৃহীত

কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে ইউরোপে অন্তত ১৪ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর ঝড় তুলেছিল কোভিড-১৯। মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে ভ্যাকসিন তৈরিতে হিমশিম খেয়েছেন বিজ্ঞানিরা। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরে তার কার্যকারিতা নিয়েও বহু প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে বহু দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।

বিজ্ঞাপন

সংস্থাটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে মধ্য এশিয়াসহ ৫৩টি দেশে ২৭ কোটি ৭৭ লাখের বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্তের মধ্যে ২২ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগ সাংবাদিকদের জানান, ‘বর্তমানে ইউরোপে ১৪ লাখ মানুষ রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই প্রবীণ এবং কোভিডের পরেও তারা সুস্থ ভাবে বেঁচে রয়েছেন। শুধুমাত্র প্রথম বুস্টার ডোজই আনুমানিক ৭ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘শীতের সময় মানুষের নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে, বিশেষ করে যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচতে শিখছি, তাই কোমর্বিডিটি পেশেন্টদের জন্য কোভিড-১৯ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নিতে হবে এবং সব সময় নিজেদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। ইউরোপকে অবশ্যই তার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।'

ক্লুগ বলেন, ‘আমরা হয়তো অস্বাভাবিক কোনও কিছুর জন্য প্রস্তুত নই। যেমন ধরুন, কোভিড-১৯ এর নতুন আরও মারাত্মক কোনও ধরন কিংবা অজানা কোনও প্যাথোজেনের উত্থান। তাই স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং মৌলিক ওষুধের ঘাটতি মেটাতে আরও তহবিলের ব্যবস্থা করতে হবে।’

ক্লুগ জানান, 'আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে রাজনৈতিক এজেন্ডা থেকে স্বাস্থ্য সরে যাচ্ছে এবং আমরা আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিক দেখভালে ব্যর্থ হচ্ছি।