ইউক্রেনের সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করছেন জেলেনস্কি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কয়েক দিনের মধ্যে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনিকে বরখাস্ত বরখাস্ত করার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন, কারণ হিসেবে সূত্র বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে অধিকাংশ যায়গাতেই ব্যার্থতার ঘটনা ঘটেছে এবং সেনাবাহিনীর পিছু হটার যে কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি। খুব দ্রুতই প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি জারির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

জেলেনস্কি এরা আগে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জেনারেল জালুঝনিকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে জালুঝনির সঙ্গে সংক্ষিপ্ত এক বৈঠক করে তাকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ওই বৈঠকে উপস্থিতি দু’জন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ওই বৈঠকে জালুঝনিকে প্রথমে কমান্ডিং শাখা থেকে সরিয়ে অন্য কোনো শাখায় বদলির প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এই প্রস্তাব তিনি মেনে না নেন, সেক্ষেত্রে তাকে চাকরিচ্যুত হতে হবে।

‘জালুঝনি এ প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এখন প্রেসিডেন্টের নির্দেশই কার্যকর হবে,’ সিএনএনকে বলেছেন এক কর্মকর্তা।

জালুঝনিকে বরখাস্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য জানতে জেলেনস্কির দপ্তরে সিএনএন এর পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ কোনো কথা বলতে চাননি।

এদিকে সোমবার, রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র সেরহি নাইকিফোরভ সিএনএন এবং অন্যান্যদের বলেছেন যে সেনাপ্রধানের বরখাস্তের গুজব অসত্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে একটি বার্তাও দিয়েছে যাতে লেখা ছিল, "প্রিয় সাংবাদিকরা, সবার কাছে একটি তাৎক্ষণিক উত্তর: না, এটি সত্য নয়।"

একজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডার সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পরবর্তী সেনাপ্রধান হিসেবে এই মুহূর্তে দু’জনকে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাদের একজন হলেন দেশটির সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টোরেটের প্রধান যার সাথে জেলেনস্কির সাথে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে ৩৮ বছর বয়সী জেনারেল কিরিলো বুদানভ এবং অপরজন দেশটির স্থলবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরিস্কি।

গত মঙ্গলবার সিএনএন জেনারেল কিরিলো বুদানভ ইউক্রেনের নতুন কমান্ডার-ইন-চীফ হতে চলেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। আমার মনে হয় না এখন এসব ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা আমাদের উচিত হবে।’

জেনারেল ওলেক্সান্দর সাইরিস্কির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল সিএনএন। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তি অনুযায়ী ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদ্বিরের অভিযোগে ইউক্রেনের সঙ্গে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন।

যুদ্ধের প্রথম দিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ক্ষয় পেতে থাকে। এর মধ্যে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজ্জিয়া প্রদেশ দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী এই চার প্রদেশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের ভূখণ্ডের এক পঞ্চমাংশ।

   

কোনকিছুতেই আত্মরক্ষার পথ থেকে সরবে না ইসরায়েল: নেতানিয়াহু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সমালোচনার নিন্দা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘কোন চাপই ইসরায়েলকে তার আত্মরক্ষার পথ থেকে সরাতে পারবে না। যদি ইসরায়েলকে একা দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়, তবে ইসরায়েল একাই দাঁড়াবে।’

তিনি রোববার (৫ মে) জেরুজালেমে ইয়াদ ভাশেম মেমোরিয়ালে ‘হলোকাস্ট রিমেমবারেন্স ডে’ উপলক্ষ্যে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গাজায় আটক জিম্মিদের সৌজন্যে একটি হলুদ চেয়ার খালি রাখা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যখন নাৎসীরা ষাট লাখ ইহুদিকে হত্যা করে আমাদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তখন আমরা অরক্ষিত ছিলাম। কোন জাতিই আমাদের রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। আজ আমরা আবার আমাদের ধ্বংস চাওয়া শত্রুদের মোকাবেলা করছি।’

নেতানিয়াহু আরো বলেন, আমি বিশ্বনেতৃবৃন্দকে বলছি, কোন আন্তর্জাতিক মহলের কোন চাপ, কোন সিদ্ধান্তই ইসরায়েলকে তার আত্মরক্ষার অধিকার থেকে সরাতে পারবে না।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে বিক্ষোভ চলছে তিনি তার সমালোচনা করে বলেন, আমাদের হাত শিকলবন্দি করতে পারবে না। জয় না আসা পর্যন্ত মানবরূপী শয়তানের বিরুদ্ধে (হামাস) ইসরায়েল লড়াই অব্যাহত রাখবে।

;

তিন সেনার মৃত্যুর জবাবে রাফাহতে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলার জবাবে রাফাহতে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্তের কাছে হামাসের একটি সশস্ত্র শাখার রকেট হামলায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, হামলাটি ক্রসিং এবং এর আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহতে ১০টি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, আহত ১২ জন সেনার মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। হামাসের সশস্ত্র শাখাটি রকেট হামলার দাবি করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। ওই ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছিল। মিশর সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফাহ শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে হামাসের হামলার পর রাফার একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তিনজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎকররা নিশ্চিত করেছেন।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র পিটার লার্নার বলেন, দ্রুত গতিতে হামাসের হামলার জবাব দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তারা ধেয়ে আসা রকেটগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এটি আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। সেখানে ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে বিমানবাহিনী। ওই এলাকায় অবস্থানরত ভারী যন্ত্রপাতি, ট্যাঙ্ক এবং বুলডোজার পাহারা দেওয়ার সময় সৈন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে রাফাহ ক্রসিং থেকে হামলা চালানোর ঘটনাকে উল্লেখ করে হামাস গাজায় বেসামরিক জনগণকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। তবে হামাস এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঠিক আগে রাফাহ শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

;

প্রতিবন্ধী সন্তানকে নদীতে ফেলে দিলেন মা; মরদেহ উদ্ধার 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কর্ণাটকে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিয়েছেন মা। ৬ বছর বয়সী ওই ছেলেকে ডান্ডেলি তালুক নদীতে ফেলা দেওয়া হলে পরদিন রোববার (৫ মে) তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

সোমবার (৬ মে) এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জন্মের পর থেকে ওই দম্পতির বড় ছেলে কোনো সাড়া শব্দ করেনি। এ নিয়ে এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কেন সে প্রতিবন্ধী ছেলে জন্ম দিয়েছে তার জন্য তাকে মারধরও করা হতো। কখনও কখনও তার স্বামী ছেলেকে ফেলে দিতে বলত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দুই বছরের আরও এক ছেলে রয়েছে। 

পুলিশ আরও জানায়, ছেলেকে নিয়ে শনিবার (৪ মে) বিকালে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে সাবিত্রী ছেলেকে বাধ্য হয়ে নদীতে পেলে দেন। 

প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে ঘটনা জানানোর পরই ছেলেটিকে খুঁজে পেতে স্থানীয় ডুবুরিদের নিয়ে ওই নদীতে তল্লাশি চালানো হয়। পরদিন রোববার সকালে পুলিশ ওই ছেলেটির ছিন্নভিন্ন দেহ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, এর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গ্রেফতার করেছে। 

;

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে তুরস্কসহ ৩ দেশে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম তুরস্ক। তুলনামূলক সস্তায় বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল ও পণ্য আমদানি করার জন্য তুরস্কই ইসরায়েলের প্রধান পছন্দ। সম্প্রতি তুরস্কের আরোপিত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় এসব বাণিজ্যিক সুবিধা হারাচ্ছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে ইসরায়েলি পর্যটকদের বিশাল সংখ্যা হারিয়ে পর্যটনখাতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তুরস্কও। অর্থনৈতিক বিপাকে পড়তে পারে ইসরায়েলে জ্বালানি তেলের অন্যতম সরবরাহকারী অপর দেশ আজারবাইজান।

তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার নানামাত্রিক প্রভাব নিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ক্যালকালিস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের মাধ্যমে আজারবাইজান থেকে ইসরায়েলে জ্বালানি তেল আসে। এখন তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এই তেল সরবরাহের বিষয়টি আসবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যদি এমন পরিস্থিতি ঘটে, তাহলে তা ইসরায়েলের জ্বালানি বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে তেল বিষয়ে এমন সিদ্ধান্তে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ অংশীদার আজারবাইজানেরও ক্ষতি হবে।

ইসরায়েলের ওপরেও তুরস্কের নির্ভরতা রয়েছে। যেমন ২০২৩ সালে ইসরায়েলি পর্যটকদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য ছিল তুরস্ক। গত বছর প্রায় ২৩ লাখ ইসরায়েলি পর্যটক তুরস্কে গেছেন। বর্তমানে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে একটিও সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু নেই।

তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের বছরে প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়। তুরস্ক থেকে বিভিন্ন ধরনের মৌলিক কাঁচামাল, পণ্য ও খাদ্য আমদানি করে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের বাসিন্দারা জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় নিয়ে চাপের মুখে রয়েছে এবং তা ত্বরান্বিত হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইসরায়েলে আমদানি করা খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এ ছাড়া আবাসন ও অটোমোবাইল খাতেও ব্যয় বাড়বে। এছাড়াও ইসরায়েলি শিল্প খাত ও ভোক্তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ইসরায়েলিদের জন্যও তুরস্ক প্রধান আমদানি গন্তব্য হয়ে উঠার অন্যতম কারণ- তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল থেকে মাত্র ১৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলে পণ্য পৌঁছানো যায়। এখন ইসরায়েলের জন্য আমদানির বিকল্প উৎস খুঁজে পেতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। নতুন আমদানি গন্তব্য তৈরির প্রক্রিয়াটি সহজ নয়; এ জন্য নানা ধরনের চুক্তি ও শর্তের বিষয় থাকে। এ ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে আনা পণ্যের দাম তুরস্কের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

গাজা যুদ্ধ ও ইয়েমেনের হুতিদের কারণে আরব অঞ্চলে পরিবহন খরচ ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বিকল্প উৎসগুলো ভৌগোলিকভাবে আরও দূরে অবস্থিত। ফলে তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার সরাসরি প্রভাব পড়বে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে।

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর ইতিমধ্যে তুরস্কের শুল্ক বিভাগ ইসরায়েলগামী বিভিন্ন পণ্য ছাড়ের অনুমতি বাতিল করেছে বা দিচ্ছে না। ফলে সেসব পণ্য সরবরাহ-শৃঙ্খলের মাঝে আটকে গেছে। কিছু জাহাজ যাত্রা করার পর ফিরেও গেছে। তুরস্ক থেকে নির্মাণ খাতের প্রয়োজনীয় অনেক কাঁচামাল আমদানি করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলের গাড়ি বা অটোমোবাইল খাতেও তুরস্কের অংশীদারিত্ব রয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার (৩ মে)  এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালু না হওয়া পর্যন্ত এ বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা হয়েছে। এতে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হলেও বাণিজ্যে প্রভাব পড়েনি। যেমন ২০১০ সালে গাজা উপকূলে তুরস্কের ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার কারণে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল। তবে এই দফায় অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। 

;