অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করবে রাশিয়া
ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সিমোনা হ্যালপেরিনকে একটি সাক্ষাত্কারে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করার জন্য তলব করবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়টির বরাত দিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খবরটি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার বাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।
মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, রবিবার প্রকাশিত রাশিয়ার কমার্স্যান্ট দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্র নীতির অবস্থানকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন হ্যালপেরিন।
কূটনৈতিক হিসাবে গত ডিসেম্বরে যোগ দেওয়া হ্যালপেরিনের প্রথম মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত ব্যর্থ শুরু’ বলে বর্ণনা করেছে মন্ত্রণালয়টি।
সাক্ষাত্কারে হ্যালপেরিন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে হলোকাস্টের গুরুত্ব কমানোর জন্য সমালোচনা করে বলেছেন, রাশিয়া ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী দল হামাসের সঙ্গে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে।
এদিকে, সেনা ও ট্যাঙ্ক দ্বারা গাজা দখলের কয়েক সপ্তাহ পরে উপত্যকার দুটি প্রধান শহরে রবিবার (৪ জানুয়ারি) ইসরায়েলি বাহিনীর উপর আক্রমণ চালিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই হামলা প্রতীক বহন করে যে, হামাস এখনও গাজায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের মারাত্মক আন্তঃসীমান্ত তাণ্ডবের ফলে শুরু হওয়া যুদ্ধের প্রায় চার মাস অতিবাহিত হলেও ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলের উত্তরে গাজা শহরে এবং দক্ষিণে খান ইউনিসে অবিরাম লড়াই চলার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হামাসের ২৪টি যুদ্ধ ব্যাটালিয়নের মধ্যে ১৭টি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাকিরা বেশিরভাগই রয়েছে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহসহ মিশরীয় সীমান্তে।’
হামাস অবশ্য ১৭টি যুদ্ধ ব্যাটালিয়ন ধ্বংসের ইসরায়েলের দাবি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, তাদের সামরিক বাহিনী মিশরের সঙ্গে সমন্বয় করবে এবং উত্তর দিকে বাস্তুচ্যুত বেশিরভাগ লোককে সরিয়ে নেওয়ার উপায় খুঁজবে।
ফিলিস্তিনিরা সেখানে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলার খবর দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ কালুব বলেছেন, বিমান হামলাটি রাফাহ-এর আল-সালাম পাড়ায় নারী ও শিশুদের থাকার একটি ঘরে হামলা করে।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘গাজায় উত্তর থেকে দক্ষিণের সীমানা পর্যন্ত কোনও নিরাপদ স্থান নেই।’
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলের পৃথক বিমান হামলায় ৮ জন নিহত হয়েছেন।
দেইর আল-বালাহ হলো গাজার দ্বিতীয় শহর, যেখানে ইসরায়েল এখনও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেনি।
রবিবার ভোর হওয়ার আগেই বিমান হামলায় মিশরীয় অর্থায়নে পরিচালিত আবাসন প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ধ্বংস হয়ে যায়।
সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা উত্তর গাজায় ৭ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং অস্ত্র উদ্ধার করেছে। ইসরায়েলের আর্মি রেডিও জানিয়েছে, এলাকার সেনারা হামাসের দুটি বাংকারে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা রয়টার্সকে বলেন, ‘গাজা শহরকে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে।’