হাঙ্গেরির কাছে ‘আনুগত্য’ দাবি করছে জার্মানি : পলিটিকো
ন্যাটো সদস্য পদের জন্য সুইডেনের আবেদন অনুমোদনের জন্য হাঙ্গেরি সরকারকে চাপ দিচ্ছে জার্মানি।
জার্মানির এক সিনিয়র কর্মকর্তা পলিটিকোকে বলেছেন, ‘সুইডেনের অনুমোদন জোটের প্রতি আনুগত্যের বিষয়।’
এদিকে, সুইডেনের সদস্য পদ সমর্থন বিষয়ক একটি ভোটাভুটি সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বয়কট করেছে হাঙ্গেরির ক্ষমতাসীন দল।
হাঙ্গেরি একমাত্র ন্যাটো সদস্য যারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক ব্লকে যোগদানের জন্য সুইডেনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
পলিটিকো জানিয়েছে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বার্লিনে একজন সিনিয়র জার্মান কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, এটি জোটের প্রতি আনুগত্যের বিষয় এবং আরও সাধারণভাবে ইইউ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের বিষয়। এটি খুব দ্রুত হওয়া উচিত।’
তবে, বার্লিন পর্দার আড়ালে বুদাপেস্টকে চাপ দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি এই কর্মকর্তা।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান কর্তৃক জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজসহ তার সহযোগী ইইউ নেতাদেরকে ইউক্রেনের জন্য ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্যাকেজ সমর্থন না করলে হাঙ্গেরির অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ করার এক সপ্তাহ পরে প্রতিবেদনটি আসলো।
হাঙ্গেরির নেতা ইউক্রেনের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি নিয়ে বার বার ব্রাসেলসের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যুক্তি দিয়েছেন যে, মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার চেয়ে ইইউ ব্লকের অর্থনীতির জন্য বেশি ক্ষতিকর।
অরবান জোর দিয়ে আরও বলেছেন, মস্কোকে সামরিকভাবে পরাজিত করতে সক্ষম হবে না কিয়েভ এবং বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে ইউক্রেন ইইউতে যোগদানের কোনও অবস্থানে নেই।
সুইডেন অরবানের কট্টর অভিবাসন নীতি এবং এলজিবিটিকিউ ইস্যুতে রক্ষণশীল অবস্থানের জন্য হাঙ্গেরি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল আটকে দেওয়া সমর্থন করেছে।
এ ছাড়াও স্টকহোম গত বছর হাঙ্গেরির শিশু সুরক্ষা আইনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় কমিশনের আইনি মামলায় যোগ দিয়েছিল।