ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন পাভলিউক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সান্ডার পাভলিউককে ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর নতুন কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভ কর্তৃক প্রকাশিত এক ডিক্রি অনুসারে খবরটি জানিয়েছে রয়টার্স। লেফটেন্যান্ট-জেনারেল পাভলিউক গত এক বছর ধরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
কর্নেল জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হলেন পাভলিউক।
গত শনিবার জেলেনস্কি রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য পাঁচটি সিনিয়র সামরিক পদে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিতর্কিত ডানপন্থী সাংবাদিক টুকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘পশ্চিমা বিশ্বের বোঝা উচিত ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করা অসম্ভব।’
পুতিনের এই সাক্ষাতকারটি বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ফক্স নিউজের সাবেক মালিক টুকার কার্লসনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার এক সাক্ষাতকারে পুতিন আরো বলেন, ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কারাবন্দি রিপোর্টার ইভান গারশকোভিচের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তির প্রাক্কালে তিনি এই সাক্ষাতকার দেন।
তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলীর আওতায় বিশেষ সার্ভিস চ্যানেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হচ্ছে।’
সাক্ষাতকারের সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইভান গারশকোভিচ হচ্ছেন একজন গুপ্তচর।’
এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুতিনের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং মার্কিন সরকার।
২০১৯ সালের পর পশ্চিমা গণমাধ্যমের কোনও সাংবাদিককে দেওয়া এটি ছিল পুতিনের প্রথম সাক্ষাতকার।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হোয়াইট হাউসের প্রার্থী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কার্লসন কিছু কঠিন প্রশ্ন জানতে চাইলে তিনি বেশিরভাগই মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
এই সময় ক্রেমলিনের নেতা তাকে রাশিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গির উপর বক্তব্য দেন। পুতিন বক্তৃতায় বলেন, ‘রাশিয়া বার বার পশ্চিমা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে।’
পুতিন তার বক্তব্যে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘এখন পশ্চিমারা বুঝতে পেরেছে যে, ইউক্রেনে মার্কিন, ইউরোপীয় এবং ন্যাটোর সহায়তা সত্ত্বেও সেখানে রাশিয়া পরাজিত হবে না।’