রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১০০: হামাস
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Feb/12/1707714150567.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতা চালানো হয় বলে জানিয়েছে গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হামাস সরকার জানিয়েছে, রাফাহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ১৪ টি বাড়ি ও তিনটি মসজিদে বিমান হামলা চালোনো হয়েছে।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগে বলেছিল, মিসরের সীমান্তবর্তী শহরটিতে ইসরায়েলি হামলায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন। এখন তারা আগের তথ্য সংশোধন করে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার কথা জানাল।
ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরএস) জানিয়েছে, বর্তমানে রাফাহতে গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অবস্থান করছে। সেখানে সোমবার রাতে বিমান বিমান হামলার স্বীকার হয়েছেন তারা। এতে প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার শাবোরা এলাকায় সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে একের পর এক হামলা চালিয়েছে তারা।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজার জনবহুল এলাকা রাফায় স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর ইসরায়েলি সেনারা এখনও সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর রাফাহ বাদে গাজার সব অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এসব হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ মানুষ রাফাহতে চলে যান। এমনকি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীই গাজাবাসীকে নির্দেশনা দিয়েছিল; তারা যেন রাফাহতে চলে যান। এছাড়া রাফাহকে নিরাপদস্থান হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। তাদের কথা শুনে ও জীবন বাঁচাতে তখন লাখ লাখ মানুষ দলে দলে গাজার অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখানে চলে আসেন। এখন এখানেও হামলা চালানো হচ্ছে।