এশিয়া দেখতে ভারতে গিয়ে স্প্যানিশ নারী ধর্ষণের শিকার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভ্রমণ প্রিয় এক স্প্যানিশ দম্পতি মোটরসাইকেলে সমগ্র এশিয়া ঘুরতে বের হন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই স্প্যানিশ নারী।

শনিবার (২ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। বাকি চার আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।

দুমকার পুলিশ সুপার পিতাম্বর সিং খয়েরওয়ার ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ড দিয়ে পর্যটক দম্পতি বাইকে নেপালের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে সন্ধ্যা নামলে দম্পতি বিশ্রাম নিতে থামেন এবং দুমকার কুঞ্জি গ্রামে একটি অস্থায়ী তাঁবু টানান। এসময় ৮–১০ জন যুবক এসে তাদের ওপর হামলা করে। পরে রাতে টহলরত পুলিশ ওই নারী ও তার স্বামীকে প্রধান সড়কে বেপরোয়া অবস্থায় দেখতে পায়।

তিনি বলেন, ওই স্প্যানিশ নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল দল গঠন করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও নিয়োগ করা হয়েছে।

ওই নারী ও তার স্বামী ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। তারা মূলত বাইকে করে এশিয়া ভ্রমণে বের হয়েছেন। প্রথমে পাকিস্তানে, এরপর বাংলাদেশ হয়ে দুমকায় পৌঁছান এই দম্পতি। বিহার হয়ে তাদের নেপালে যাওয়ার কথা।

স্পেনের ওই নারী বর্তমানে সরিয়াহাট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের (সিএইচসি) একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

   

ইউক্রেনের ১৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া পশ্চিমের বিভিন্ন অঞ্চলে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে ১৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ কথা জানানো হয়। মন্ত্রণালয় টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছে, ‘বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৭টি ইউক্রেনীয় ইউএভি প্রতিরোধ ও ধ্বংস করেছে।’

বার্তাসংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বেশিরভাগ ড্রোন ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়, যার মধ্যে নয়টি ব্রায়ানস্কে, তিনটি কুরস্কে ও দুটি বেলগোরোদে ভূপাতিত করা হয়। কালুগার অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে আরও তিনটি ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ান শোধনাগার ও তেল মজুত স্থাপনাগুলোয় ধারাবাহিক হামলার দাবি করেছে। মস্কো ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোয় কয়েকটি বড় ধরণের হামলা চালিয়েছে।
এসব হামলায় ব্যাপকভাবে উৎপাদন ব্যহত হয়েছে, ইউক্রেন জুড়ে ব্ল্যাকআউট এবং উল্লেখযোগ্য জ্বালানি রেশনিং বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

;

লাভলির পদত্যাগে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই বড় ধাক্কা খেল ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। দলীয় নেতাদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলি পদত্যাগ করেছেন। তবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে লাভলি লিখেছেন, যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট বাধার।

তিনি আরও বলেন, তাকে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। দিল্লির কংগ্রেস প্রধান হিসেবে তার নেওয়া একাধিক সিদ্ধান্ত দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বাতিল বা খারিজ করে দিতেন। কংগ্রেসের দিল্লি ইউনিটে কাউকে নিয়োগ করতেও দেওয়া হয়নি।

কানাইয়া কুমার ও উদিত রাজের উদাহরণ টেনে তার আরও অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে এমন প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছে, যারা দিল্লির কংগ্রেস ইউনিটের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্ট মাসে অরবিন্দর সিং লাভলিকে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

দিল্লিতে মোট ৭টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি প্রথমে ৭টি আসনে একাই লড়াই করার কথা বললেও, শেষ অবধি ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে ৪:৩ আসন ভাগাভাগির ফর্মূলায় রাজি হয়। কেজরিওয়ালের এএপি লড়ছে ৪টি আসনে এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে লড়ছে।

;

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

নিহতদের একজনের নাম বাবুল এবং অন্যজন ইউসুফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় স্পেশাল ফোর্স সোয়াট। নিহত বাবুল কিছুদিন আগেই ভার্জিনিয়া থেকে এসেছিলেন বাফেলোতে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে আসেন ইউসুফ। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি কানাইঘাট এবং অন্য জনের বাড়ি কুমিল্লাতে ।

ঘটনার পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় আশপাশের রাস্তা। ধারণা করা হচ্ছে, সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কিছু নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে আশপাশের সবাইকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার অনুরোধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অঞ্চলটিতে বসবাসকারী প্রবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে ক্ষোভ। ডাক দেয়া হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশের।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তারা দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।

 



;

আমিরাতে প্রথম নারী কৃষক হিসেবে জিতলেন পুরস্কার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতির পিতা প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের বাড়ির উঠোনে কয়েক দশক আগে কৃষিকাজের যাত্রা শুরু করেছিলেন আমনা খলিফা আল কেমজি। তিনি বাড়ির উঠোনে চাষ করতে থাকেন বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলমুল; হয়ে উঠেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম নারী কৃষক।

তার কৃষি প্রচেষ্টা, আবেগ এবং প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিতে আবুধাবির সাবেক প্রধান তাকে খামারটি উপহার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ প্রদান করেন পুরস্কার। তাকে জৈব কৃষিতে অগ্রগামী সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরিবেশগত স্থায়িত্ব রক্ষায় অবদান এবং সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদেরও কৃষিকাজে আগ্রহী করে তোলার জন্য আল কেমজিকে সম্মানিত করা হয়।

জানা যায়, আমনা খলিফা আল কেমজি কয়েক বছর ধরে টমেটো, আঙ্গুর, ডুমুর, তরমুজ, লাল মরিচসহ আরও বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রোপণ করতেন। আল কেমজি শীতকালীন সবজির পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ফসলও চাষ করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী শেখ শাখবুত বলেন, ‘আমনা খলিফা আল কেমজি চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। বাড়ির উঠানের এক কোণে প্রথমে কৃষি প্রকল্প শুরু করলেও আল কেমজির অধ্যবসায় এবং আবেগ তার কৃষি উদ্যোগকে প্রসারিত করতে সক্ষম করেছে। তার উৎপাদন দেখে আমরা মুগ্ধ।

শেখ জায়েদ কেমজির জন্য একটি খামার নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যেখানে তিনি ডুমুর, আঙ্গুর এবং ৭০ টিরও বেশি জাতের শাকসবজি এবং ফলমুল চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন।

;