গাজার আল-আমাল ও আল-নাসর হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলা
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Mar/25/1711359091969.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
গাজা উপত্যকার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফায় হামলার মধ্যেই আল-আমাল ও আল-নাসর নামের হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানায়, হাসপাতাল ঘিরে রেখে গুলি চালানো হচ্ছে। ফলে ভেতরে আটকা পড়েছেন রোগী ও চিকিৎসকেরা। এর আশপাশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। আল-আমাল হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
গত সপ্তাহ থেকে গাজার আল-শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখান থেকে ৪৮০ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে আইডিএফ। গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাস যোদ্ধারা অস্ত্র রাখার ও হামলা চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে দাবি আইডিএফের। কিন্তু তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে হামাস ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকজন রোগী ও চিকিৎসাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা। যুদ্ধের মধ্যেও এ হাসপাতালে সীমিতভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছিল।
রোববার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মিশর সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফাহ শহরে ১৫ লাখের বেশি বাস্তুচ্যূত মানুষ অবস্থান করছে।
এর আগে শনিবার গাজা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লাইনের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার আল নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ত্রাণের লাইনের ওপর হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন সাড়ে ৭৪ হাজার মানুষ।