সুদানে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু, খাবারের বিনিময়ে নারীরা বেছে নিচ্ছেন যৌনতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সুদানে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর দুই গ্রুপের যুদ্ধের এক বছর পর তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে দেশটি। খাদ্যের অভাবে ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে শিশুরা, দেশটিতে অসুস্থ মানুষেরা অর্থ খরচ করে ওষুধ না কিনে সেই অর্থ দিয়ে খাবার কিনে খাচ্ছেন। এমতাবস্থায় দেশটিতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান "হেমেদতি" দাগালোর দ্বন্দ্বের জেরে প্রকাশে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে কৃষি উৎপাদন অনেক কমে যায়। গত এক বছরে দেশটিতে উল্লেখযোগ্য খাদ্যের দাম বেড়েছে এবং পর্যাপ্ত খাবারও পাওয়া যাচ্ছে না।

সারাদেশে বেসামরিক মানুষদের সাহায্য করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুম’র (ইআরআর) মুখপাত্র মুখতার আতিফ বলেছেন, যুদ্ধে বেসামরিকরা নীরবে মারা যাচ্ছেন।

আতিফের নেটওয়ার্ক সংগঠনটি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের তিনটি শহরের খার্তুম উত্তরের ৭০টি সম্প্রদায়ের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষকে খাবারসরবরাহ করে।

ইআরআর সুদান জুড়ে হাজার হাজার মানুষের ভরসাস্থল হয়ে ওঠেছে। কিন্তু মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছনো তাদের জন্য সীমিত করা হয়ে থাকে। সংগঠনটি অনুদানের উপর নির্ভর করে তাদের কর্যক্রম চালায়, যার বেশিরভাগই আসে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যোগাযোগ বিভ্রাট শুরু হওয়ার এটি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

এ সংগঠনের সহায়তা ছাড়া শত শত রান্নাঘরে আগুন জলে না। প্রতিদিন সাহায্যের জন্য দীর্ঘ সারি দেখা যায়। মানুষেরা জ্বালানীর জন্য পাত্র হাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে।

যদিও যুদ্ধটির বেশিরভাগই খার্তুমকে কেন্দ্র করে চলছে। যুদ্ধ শুরুর পর এ অঞ্চলের মানুষেরা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধের ফলে খাদ্য ও ত্রাণবাহী যানবাহনের নিয়মিত চলাচলকে মারাত্মকভাবে সীমিত করা হয়েছে এবং সুদানে ক্ষুধার সংকট আরও গভীর হয়েছে।

জাতিসংঘ অনুমান করেছে, প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষের জন্য সাহায্যের প্রয়োজন যা সুদানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। সংঘাতে ৮ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, যুদ্ধরত উভয় পক্ষই খাদ্য সহায়তায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় খাবার পৌঁছাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

সুদানে সহায়তার খাবারের জন্য অপেক্ষা 

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সুদানের এক পোর্ট দিয়ে আধাসামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার বেসামরিক মানুষদের জন্য পাঠানো সহায়তা বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। আল জাজিরার সূত্র বলছে, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পাঁচটি ভিন্ন স্ট্যাম্পের প্রয়োজন। এতে কয়েক দিন থেকে সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিতে পারে। গত জানুয়ারি মাসে ৭০টিরও বেশি ট্রাক ছাড়পত্রের জন্য দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ বন্দরে অপেক্ষায় ছিল।

আধাসামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সাহায্য পৌঁছাতে বাধা দেয় কিনা জানতে চাইলে আল জাজিরাকে কোনো উত্তর দেয়নি সেনাবাহিনী।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, অক্টোবর থেকে উত্তর কর্ডোফান রাজ্যে ৭০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। একটি এলাকায় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে তবে আরএসএফ দ্বারা বেষ্টিত। এ এলাকায় সহায়তার ট্রাক নিরাপদে যেতে হলে ট্যাক্স দিয়ে যেতে হয়। তা অর্থ, পণ্য বা জ্বালানিই হোক না কেন।

আরএসএফের মুখপাত্র আবদেল রহমান আল-জালি ত্রাণবাহী গাড়ি থেকে অর্থ নিয়ে লাভবান হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে লিখিত প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি।

প্রায় দুই মাস মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের কারণে খাদ্য সংকট আরও জটিল হয়েছে। এ সময় মানুষের বিদেশে থাকা আত্মীয়দের পাঠানো রেমিট্যান্সও সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। মোবাইল নেটওয়ার্ক অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করার জন্য ব্যবহার করে।

গত তিন সপ্তাহে ধরে এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট যোগাযোগ পরিষেবা সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু ঐ এলাকায় এটি একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। কিছু এলাকায় মানুষকে ১০ মিনিটের জন্য সংযোগ পেতে হলে ৪ হাজার সুদানিজ পাউন্ড (৬.৬ ডলার) পর্যন্ত দিতে হবে।

ডাব্লুএফপি কর্মকর্তা এবং কর্মীরা জানিয়েছেন, পিতামাতারা তাদের সন্তানদের কম খাবার খাওয়াচ্ছেন। তাদের শেষ সম্বল বিক্রি করছেন, অর্থের জন্য ভিক্ষা করছেন বা ওষুধ থেকে খাবারের জন্য অর্থ সরিয়ে নিচ্ছেন।

সুদানিজ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফিকরার নীতি ও ওকালতিতে কর্মরত একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ডালিয়া আবদেলমোনিয়েম জানিয়েছেন, পরিবারের নিরাপত্তা এবং খাবারের নিশ্চয়তা পাবার জন্য মহিলারা যৌন বিনিময় এবং আরএসএয় যোদ্ধাদের উপপত্নী হতে বাধ্য হচ্ছেন।

সুদানে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারীদের সাথে কাজ করা একজন কর্মী বলেছেন, এখানে বেঁচে থাকার জন্য যৌনতা একটি "সাধারণ প্রবণতা" হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

গত ১৬ মার্চ একটি ল্যানসেট রিপোর্টে বলা হয়, ক্ষুধার সংকটের সাথে সাথে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার পতন হয়েছে। রাজধানী খার্তুমের একমাত্র অবশিষ্ট শিশু স্বাস্থ্য সুবিধা বেষ্টিত আল-বালুক হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে দুই বা তিনটি শিশু ক্ষুধায় মারা যায়।

যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, আগামী মাসে ক্ষুধার কারণে ২ লাখ ৩০ হাজার শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং নতুন মা মারা যেতে পারে।

ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে সুদানের শস্য উৎপাদন প্রায় অর্ধেক হয়। সবচেয়ে বেশি খাদ্য শস্য উৎপাদন কমে যেখানে সংঘাত সবচেয়ে তীব্র ছিল। এফএও জানায়, বৃহত্তর কর্ডোফান রাজ্য এবং দারফুরের অঞ্চলগুলিতে গড়ে ৮০ শতাংশ উৎপাদন কম হয়।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯১৭৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ১৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই)) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজা শহরে আরও দু'জন এবং নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলার ৩৯ হাজার ১৭৫ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজার ৭০৩ জন। তাছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ। নিহত ও আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ও নারী। 

অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি ১১৩৯ জন নিহত হয়েছে।

;

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তৃণমূল নেতার আত্মহত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ির খড়িবাড়ির চক্করমারি শ্মশানঘাট এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিলিগুড়ি টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, জগদীশ রায় (৬৫) নামের ওই ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বিশিষ্ট লোকশিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার নবম শ্রেনির এক ছাত্রী জগদীশ রাযয়ের কাছে গান শিখতেন। সেই সুযোগ নিয়ে ওই ছাত্রীকে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে জগদীশ। ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারলে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় থানায় অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর বাবা। এর একদিন পরেই উদ্ধার হলো অভিযুক্ত জগদীশ রায়ের মরদেহ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় চার মাস আগে ওই তৃণমূল নেতা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এতদিন পর ঘটনাটি জানাজানি হলে হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন তৃণমূল নেতা।

;

শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সহিংসতার কয়েকটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে এমন প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পুনর্বাসন করার দাবি জানায় সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বলেছে, আন্দোলন-সহিংসতার প্রেক্ষাপটে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এর মধ্যে যেসব ভিডিও এবং আলোকচিত্র পাওয়া যায়, সেগুলো যাচাই–বাছাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্ভূত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ও এর ক্রাইসিস অ্যাভিডেন্স ল্যাব বিক্ষোভ দমনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইনবহির্ভূতভাবে প্রাণঘাতী ও কম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের তিনটি ঘটনার ভিডিও যাচাই করেছে।

এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ পরিচালক দেপোরসে মুচেনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা ভিডিও এবং আলোকচিত্র অব্যাহতভাবে যাচাই করে ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকার ও এর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর প্রতি বিক্ষোভের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সহিংস দমনাভিযান এবং যোগাযোগব্যবস্থার ওপর সব ধরনের বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে।

ঢাকার সাভার, বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে ধারণ করা তিনটি ভিডিও যাচাই করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলেছে, সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যথাযথ উপায় নয়। আগ্নেয়াস্ত্র শুধু তখনই ব্যবহার করা যাবে, যখন মৃত্যু ঘটতে পারে বা গুরুতর আহত হওয়ার মতো হুমকি মোকাবিলার প্রয়োজন হয়।

;

পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি: মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কার্গিল বিজয় দিবসের রজত জয়ন্তী উদযাপন করছে ভারত। এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ জুলাই) কার্গিল যুদ্ধে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আয়োজিত স্মরণসভায় মোদি বলেন, পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা ব্যর্থ করবে ভারত।

শুক্রবার সকালে লাদাখে ‘কার্গিল ওয়ার মেমোরিয়ালে’পৌঁছে কার্গিল যুদ্ধে শহিদ বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মোদি। এসময় যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের অবদান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জন্য তাদের আত্মত্যাগ অমর। কার্গিল বিজয় দিবসে তাদের সর্বদা স্মরণ করা হবে।

পাকিস্তান এখনও জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে দাবি করে মোদি বলেন, ‘আমি সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের বলব, ওদের অপচেষ্টা কখনই সফল হবে না। শত্রুদের যোগ্য জবাব দেব। লাদাখ বা ​​জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের পথে আসা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে হারাবে ভারত। পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। তারা সন্ত্রাসবাদ এবং ছায়া যুদ্ধ ব্যবহার করে। আমি আজ এমন একটি জায়গা থেকে কথা বলছি, যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা সরাসরি আমার কথা শুনবে। আমি তাদের বলতে চাই, তাদের পরিকল্পনা কখনই সফল হবে না। লাদাখ হোক বা ​​জম্মু ও কাশ্মীর, আমরা উন্নয়ন চালিয়ে যাব।’

এর আগে এদিন সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘২৬ জুলাই প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য একটি বিশেষ দিন। এবার আমরা ২৫তম কার্গিল বিজয় উদযাপন করব। আমাদের দেশকে যারা প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই বিশেষ ভাবে পালিত হচ্ছে আজকের এই দিন।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রায় তিনমাস যুদ্ধের পর কার্গিলে ভারতের দিকে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের দখল করা অংশ পুনরুদ্ধার করে অভিযানের বিজয়ের সাফল্য ঘোষণা করে। যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়কে স্মরণ করতে দিনটিকে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে দেশটি।

 

;