ফিলিস্তিনকে আজ স্বীকৃতি দিতে পারে আয়ারল্যান্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আয়ারল্যান্ড সরকার।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি সপ্তাহেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশ আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া এবং মাল্টা একসঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে। ইউরোপের এই দেশগুলোর নেতারা মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।

আইরিশ সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, দ্বি-রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিই দুদেশের মধ্যে শান্তি বয়ে আনতে পারে। বুধবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের দ্বি-রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

এদিকে, মঙ্গলবার (২১ মে) ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে পশ্চিমা বিশ্বের এমন পরিকল্পনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দুদেশের মধ্যে শান্তির পরিবর্তে সন্ত্রাসবাদ এবং সংঘাত আরও বাড়াবে। আপনারা হামাসের হাতের পুতুল হয়ে যাবেন না।’

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উদ্বাস্তু হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গাজায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্যসংকট। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে অনেক দেশই সোচ্চার হচ্ছে। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলকে নিয়েও সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। ইসরায়েরের ব্যাপারে ইউরোপের অনেক দেশ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

   

গুলিবিদ্ধ ফিলিস্তিনিকে জিপে বেঁধে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে একটি অভিযানের সময় গুলিতে আহত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গাড়ির সামনে বেঁধে দিয়ে প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। রোববার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তজাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিওতে ধারণ করা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে।

আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযানের সময় গুলি বিনিময়ে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তির পরিবার বলেছে, আহত হওয়ার পর তারা একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিল কিন্তু সেনাবাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের জিপের বনেটের সাথে বেঁধে তাদের তাড়িয়ে দেয়।

ওই ব্যক্তিকে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য রেড ক্রিসেন্টে স্থানান্তর করা হয়। আইডিএফ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাথে কথা বলার সময় তাকে একজন স্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত করেন এবং তার নাম মুজাহেদ আজমি বলে।

আইডিএফ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আজ সকালে (শনিবার) ওয়াদি বুরকিন এলাকায় ওয়ান্টেড সন্দেহভাজনদের ধরতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলাকালীন, সন্ত্রাসীরা আইডিএফ সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, আইডিএফ গুলি দিয়ে জবাব দেয়।

বন্দুকযুদ্ধের সময়, সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন আহত হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে।

আইডিএফ বিবৃতিতে বলেছে, অর্ডার এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি লঙ্ঘন করে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে একটি গাড়ির উপরে বেঁধে রাখা হয়েছিল।

"ঘটনার ভিডিওতে বাহিনীর আচরণের মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ঘটনাটি তদন্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের মারাত্মক হামলার সূত্রপাত হয়।

জাতিসংঘ বলছে, পূর্ব জেরুজালেম সহ পশ্চিম তীরে সংঘাত-সম্পর্কিত ঘটনায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য, আক্রমণকারী এবং বেসামরিক লোকসহ অন্তত ৪৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

পশ্চিম তীরে ছয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ দশজন ইসরায়েলিও নিহত হয়েছেন।

;

তামিলনাড়ুতে বিষাক্ত মদ পানে নিহত ৫৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে মিথানলযুক্ত মদ পান করে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মদ পান করে অসুস্থ হয়ে শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

গত বুধবার কাল্লাকুরিচি জেলায় থেকে প্রায় ২০০ জনকে চিকিত্সা করা হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি লোককে এখনও একাধিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) পর্যন্ত ৪৮ জন পুরুষ এবং ছয়জন মহিলা মদ খেয়ে মারা গেছেন, অন্যদের বমি, পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া সহ লক্ষণগুলির জন্য চিকিত্সা করা হচ্ছে।

এ অঞ্চলের লোকেরা নিয়মিত অবৈধ অ্যালকোহল পান করেন। অল্প সংখ্যক মানুষ ব্র্যান্ডেড স্পিরিট কিনতে পারে এতে কখনও কখনও বড় হতাহতের ঘটনা ঘটায় কারণ কিছু বিক্রেতা তাদের পানীয়ের শক্তি বাড়াতে মিথানল যোগ করে।

কিন্তু মিথানল, একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ যা শিল্পের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, অল্প পরিমাণেও অন্ধত্ব, লিভারের ক্ষতি বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

সিনিয়র জেলা আধিকারিক এমএস প্রশান্ত জানান, এ ঘটনায় অন্তত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে উত্পাদিত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের ২০০ লিটার জব্দ করেছে।

তামিলনাড়ু সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, অবৈধ অ্যালকোহল পরিচালনার জন্য ১০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন এবং যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। তিনি হাইকোর্টের সাবেক একজন বিচারপতিকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন।

রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিরোধী নেতারা গণবিষাক্ততা রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন - ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে জেলায় ভ্রমণ করেছেন।

ইতিমধ্যে মৃতের একটি গণদাহ সম্পন্ন করা হয়েছে পরিবারের সাথে একে অপরের পাশে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

গত বছর তামিলনাড়ুর কাছের একটি জেলায় একই ধরনের ঘটনায় এক ডজনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। ২০২০ সালে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে ১২০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

সূত্র- আলজাজিরা

;

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে কিউবা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামরিক অভিযানের নামে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চালানোর ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আগেই মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

আল জাজিরার জানিয়েছে, এবার তাতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলো লাতিন আমেরিকার দেশ কিউবা।

শনিবার (২২ জুন) প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, শুক্রবার (২১ জুন) কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কিউবা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যার অভিযোগকে সমর্থন করবে।

কারণ, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু সরকারের ক্রমবর্ধমান আক্রমণ বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণহত্যা, বর্ণবাদ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং নির্বিচারে শাস্তি আধুনিক বিশ্বে স্থান পেতে পারে না এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব সহ্য করতে পারে না। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা বন্ধ করতে বৈধ আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে যথাসম্ভব সমর্থন করে দেশটি। তাই মামলায় অবদান রাখতে কিউবা অটল প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে।

এর আগে নিকারাগুয়া, কলম্বিয়া, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মিসর, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, তুরস্ক ও চিলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করে এতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করে। দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে গণহত্যার আচরণ স্পষ্ট।

তারা ফিলিস্তিনি জাতীয়তা, জাতিগত ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা করছে।

;

ইরানে জনপ্রিয় র‍্যাপ গায়কের মৃত্যুদণ্ড বাতিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ আদালত দেশটির জনপ্রিয় র‍্যাপ গায়ক তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছেন। সালেহির আইনজীবী আমির রাইসিয়ান শনিবার (২২ জুন) এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, সরকারের সমালোচনা করে গান করায় এর আগে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ আমির রাইসিয়ান বলেন, ইরানের সুপ্রিম কোর্ট সালেহির মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন। এই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে সালেহিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ও বিষয়টি জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী রাইসিয়ান। তখন তিনি বলেছিলেন, সালেহির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহে সহায়তা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, দাঙ্গার আহ্বানসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালে পুলিশ হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিক্ষোভের সময় ৩৩ বছর বয়সি তোমাজ সালেহি দেশের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা, সরকারের সমালোচনা করে গান করেছিলেন। ওই বছরের অক্টোবরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর বিক্ষোভ চলাকালে শত শত বিক্ষোভকারী নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় ছিলেন ইরানের নিরাপত্তাকর্মীরা। সে সময় গ্রেপ্তার করা হয় কয়েক হাজার মানুষকে। তাদের মধ্যে নয়জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।

;