অ্যালকোহল পানে প্রতিবছর মারা যান ২৬ লাখ মানুষ: ডব্লিউএইচও



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য পানের কারণে বছরে প্রায় তিন মিলিয়ন (৩০ লাখ) মানুষ মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটি জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুর হার কিছুটা কমে গেলেও অ্যালকোহল পানের প্রভাবে মৃত্যুর বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) ডব্লিউএইচও'র বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ২০ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটে অ্যালকোহল পানে। মদ্যপানে গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণে নানারকমের রোগের সৃষ্টি হয়। এসব কারণে পরবর্তীতে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন (২৬ লাখ) মানুষ অ্যালকোহল সেবনের কারণে মৃত্যু হয়েছে। যা ওই বছরে মোট মৃত্যুর ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ছিল পুরুষ। 

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, এসবের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী রোগসহ, মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার ঝুঁকি বাড়ায়। যার ফলে দুঃখজনকভাবে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এর প্রভাবে মৃত্যুর সম্মুখীন হয়।

তবে ২০১০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী অ্যালকোহল সেবন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলেও জানান তিনি। 

২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানের কারণে সবচেয়ে বেশি (১৩ শতাংশ) মারা গেছেন ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষ।

অ্যালকোহল পানের কারণে লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ১৬ লাখের মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক ব্যাধি। তাঁদের মধ্যে ৪ লাখ ৭৪ হাজার জন হৃদ্‌রোগ, ৪ লাখ ১০ হাজার ক্যানসার এবং ৭ লাখ ২৪ হাজার জন আঘাতের কারণে মারা গেছেন। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ও নিজেকে আঘাত করার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

অ্যালকোহলের যথেচ্ছ ব্যবহারে মানুষের যক্ষ্মা, এইচআইভি ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

২০১৯ সালে বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি ৯০ লাখ মানুষ অ্যালকোহলে আসক্ত ছিলেন; যা মোট জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

এদিকে বিশ্বে মাথাপিছু বিশুদ্ধ অ্যালকোহল পানের পরিমাণ কিছুটা কমে গড়ে সাড়ে পাঁচ লিটার হয়েছে। নয় বছর আগে যা ৫ দশমিক ৭ লিটার ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশগুলোতে; যা গড়ে ৯ দশমিক ২ লিটার। এরপরই রয়েছে আমেরিকার দেশগুলো; গড়ে ৭ দশমিক ৫ লিটার। সবচেয়ে কম অ্যালকোহল পান করা হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে।

নেদারল্যান্ডসে দম্পতির স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জ্যান- ইলস দম্পতি

জ্যান- ইলস দম্পতি

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে একসাথে থাকার পর একসাথে পৃথিবীও ছাড়েন জ্যান (৭০) এবং ইলস (৭১) নামের এক দম্পতি। ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে একসঙ্গে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শনিবার (২৯ জুন) জানিয়েছে, জুনের শুরুতে একসঙ্গে এই বৃদ্ধ দম্পতি মৃত্যুবরণ করেন। আর এই স্বেচ্ছা মৃত্যুতে তাদের সহযোগিতা করেন দুজন চিকিৎসক। মৃত্যুর জন্য তাদের দুজনকে দেওয়া হয় প্রাণনাশী ওষুধ।

নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছায় মৃত্যু একটি বৈধ পন্থা। তবে এটি বিরলও। তা সত্ত্বেও নেদারল্যান্ডসের অনেক দম্পতি প্রতি বছর স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেঁছে নিচ্ছেন।

মৃত্যুর তিনদিন আগে এ দুজন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লিন্ডা প্রেসলির সঙ্গে কথা বলেছেন।

তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ পাঁচ দশক দুজন একসঙ্গে ছিলেন। তবে তারা জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন নৌকায় করে। আর জীবনের শেষ ভাগে এসে একটি ভ্যানে থাকতেন। কারণ, তাদের ইটপাথরের বাড়িতে থাকতে মন চাইত না। যেহেতু নৌকায় থাকতেন তাই নৌকা দিয়ে পরিবহণের ব্যবসায়ও নেমেছিলেন স্বামী জ্যান।

কিন্তু ভারী কাজ করতে করতে জ্যানের একটা সময় পিঠের ব্যথার সৃষ্টি হয়। ২০০৩ সালে এই ব্যথার জন্য একটি অস্ত্রোপচারও করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বাঁচতে চাইছিলেন না।

অন্যদিকে, তার অসুস্থতার মধ্যেই ২০২২ সালে তার স্ত্রীর মস্তিস্কের কঠিন অসুখ স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে তার সেরে উঠার কোনো সম্ভাবনা ছিল না।

তারা জানান, ইলসের স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দেখা দেওয়ার পরই একসঙ্গে দুজন মৃত্যুবরণের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এ ব্যাপারে নিজেদের একমাত্র ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন। এরপর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুনে তারা মৃত্যুবরণ করেন।

;

দিল্লিতে ৮৮ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দিল্লির রাস্তাঘাটে অচলাবস্থা

দিল্লির রাস্তাঘাটে অচলাবস্থা

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বৃহস্পতিবার থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পেলেও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের এই রাজধানী শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় পানি জমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার জবলপুরের ডুমনা বিমানবন্দরের ছাদের একাংশও ভারি বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে। প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচে সম্প্রতি এই বিমানবন্দরটির সংস্কার করা হয়েছিল। গত ১০ মার্চ বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির পথঘাট। সেই পথেই চলছে যানবাহন। দিল্লিতে মৌসুমি বৃষ্টিতে অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

শুক্রবার দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে শুক্রবার ( সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৯৩৬ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। ৮৮ বছর আগে ১৯৩৬ সালে ২৩৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। 

এছাড়াও টানা বৃষ্টি দিল্লির রাস্তাঘাটে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে। পানি জমে থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থাও।

তারপরও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআই যেসব ভিডিও প্রকাশ করেছে এক্সে, তাতে দেখা যায় রাস্তাগুলো পানির নিচে। দিল্লিতে ভয়াবহ যানজট।

;

ইসরায়েলকে ফের যুদ্ধের হুঁশিয়ারি জানিয়েছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হিজবুল্লাহ- ইসরায়েল উত্তেজনা

হিজবুল্লাহ- ইসরায়েল উত্তেজনা

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে সামরিক অভিযান চালালে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। শুক্রবার (২৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের জাতিসংঘ মিশনের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এক্সের পোস্টে ইরানের জাতিসংঘ মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইসরায়েলে লেবাননের সামরিক অভিযানের ঘটনায় সব ধরনের বিকল্প, প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা চলছে।’

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যকার অব্যাহত সংঘাতের মধ্যেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত ছোট ছোট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এ উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে, ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই ব্রিগেডিয়ারসহ ১৩ কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিল ইরান। পরে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। এর জেরে ইসরায়েল পরে ইরানে পাল্টা হামলা চালায়। 

;

লেবার পার্টি থেকে সাবিনার পদত্যাগ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাবিনা আক্তার

সাবিনা আক্তার

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের আগে এক নির্বাচনি বিতর্কে অংশ নিয়ে বাংলাদেশিদের কটাক্ষ করে তোপের মুখে পড়েছেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টার্মার। তার কটাক্ষের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে দলটির ডেপুটি লিডার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবিনা আক্তার। 

বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

পদত্যাগ করে সাবিনা আক্তার বলেছেন, ‘দলের নেতা যখন আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে, আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।’ 

স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডেইলি সান’ আয়োজিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে পাঠকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যদি কেউ আসে, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। কারণ, বর্তমান সরকারের তেমন কোনো প্রক্রিয়া নেই। ক্ষমতায় এলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

বাংলাদেশি কমিউনিটিকে নিয়ে লেবার নেতার এমন মন্তব্যকে বর্ণবাদী আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালাওয়ে। এ ছাড়া নিজ দলের নেতার এমন বেফাঁস মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার এমপি রুশনারা আলী ও আফসানা বেগম।

পরে অবশ্য স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্টাফোর্ডশায়ারে এক নির্বাচনি প্রচারণায় গিয়ে স্টার্মার বলেন, ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা যারা আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় অবদান রাখছেন, তাদের উদ্বেগ বা আঘাত করার উদ্দেশ্য আমার মোটেও ছিল না।’

তিনি দাবি করেন, যদি লেবার পার্টি নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে তিনি ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দলের ‘অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চান। 

এদিকে পদত্যাগপত্রে সাবিনা আক্তার লিখেছেন, ‘আমি লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলের প্রথম নারী স্পিকার এবং লেবার পার্টির একজন গর্বিত সদস্য ছিলাম। তবে আমি এই দলটি নিয়ে আর গর্ব করতে পারি না, যখন দলের নেতা আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে দেয় এবং আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে।’ 

সাবিনা আরও লিখেছেন, ‘আমি সারাজীবন দলকে রক্ষা করেছি এবং এর জন্য খুব গর্বিত ছিলাম। কিন্তু এটা স্পষ্ট, আমার এবং আমার সম্প্রদায়ের কাছে এটি (দলের নেতার মন্তব্য) গ্রহণযোগ্য নয়।’

;