মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ডেমি নেগারা নামে একটি দল। তারা প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন সেরি পেরদানা কমপ্লেক্সের কাছে একটি গাড়ি পার্কে ‘জনগণের সমাবেশ’ নামে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল সূত্রে জানা যায়, কালো পোশাক গায়ে প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারীর বেশিরভাগই মালয়। তাদের দাবি পূরণ না হলে আনোয়ারের নির্বাচনি এলাকা তাম্বুন, পেরাক রাজ্যে ৩০ দিনের মধ্যে আরেকটি বিক্ষোভের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
কেন এ বিক্ষোভ করছে তারা এবিষয়ে প্রশ্ন করা হয় কিছু বিক্ষোভকারীকে। তারা জানিয়েছে, আনোয়ারের সরকার ১৮ মাস ক্ষমতায় থাকার পরে জনসাধারণের সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তাদের দাবিগুলো হলো- ডিজেল ও গ্যাসের দাম কমানো, দাম না বাড়িয়ে স্থানীয় চালের সরবরাহ করা এবং চাষিদের দুর্দশা থেকে রক্ষা করা, অবদানকারীদের কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল (ইপিএফ) থেকে টাকা উত্তোলনের অনুমতি ফিরিয়ে দেওয়া, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি কমানো, জনস্বাস্থ্য কর্মীদের অধিকার রক্ষা করা ও স্বাস্থ্য সেবার অবকাঠামো উন্নত করা এবং জনস্বাস্থ্য সেবার বেসরকারিকরণ বাতিল করা, বিরোধী সংসদ সদস্যদের জন্য সমপরিমাণ আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া, সবার জন্য বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কে দেশটির আর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে বাধা দেওয়া।
মালয়েশিয়ার পুলিশ এবং দি এজ জানিয়েছে, আনোয়ার বিরোধী সমাবেশের সংগঠক ও ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এতে করে প্লাবিত হয়েছে রাজ্যটির বেশ কিছু জেলা। চলতি এই বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের একজন কর্মকর্তা।
বুধবার (৩ জুলাই) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আসামের প্রধান নদীগুলো তাদের স্বাভাবিক স্তরের অনেক উপরে প্রবাহিত হচ্ছে । এতে করে রাজ্যের মোট ৩৫টি জেলার মধ্যে প্রায় ১৯টি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এ ছাড়া অরুণাচলের সীমান্ত এলাকার দিকে ভূমিধসের ফলে দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তার এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।
এছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যারর সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে এখানকার কয়েকটি প্রধান সড়ক যান চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) গুজরাটের কিছু জেলার জন্য রেড এলার্ট জারি করেছে এবং আগামী দুই দিনের মধ্যে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট প্রবল শক্তিশালী হারিকেন বেরিলের আঘাতে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহেতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বেরিলের আঘাতে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে।
বুধবার (০৩ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-ক্যারিবীয় অঞ্চলের উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানার পর হারিকেন বেরিল আরও শক্তিশালী হয়ে ক্যাটাগরি-পাঁচ মাত্রার ঝড়ে রুপ নিয়েছে। বেরিলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।
হারিকেন বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানার পর আরও শক্তিশালী হয়ে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে আসছে, বেরিলের আঘাতে এই অঞ্চলে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে এবং গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপে প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে।
বেরিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তীব্রতা হারাতে শুরু করবে বলে আশা করা হয়েছিল৷ তবে স্থানীয় পূর্বাভাসকারীরা বলেছেন, এটি এখনও অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এটি বুধবার জ্যামাইকার কাছাকাছি বা তার ওপর দিয়ে এবং বৃহস্পতিবার কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি চলে যাবে।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে বেরিলের আঘাত/ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞানীরা ঝড়ের দ্রুত শক্তিশালী হওয়ার কারণ হিসেবে মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনকে উল্লেখ করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলেছে, বেরিল এখন সরাসরি জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে আসছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং ব্যাপক ঝড়ের ফলে দেশটিতে প্রাণহানীর আশঙ্কা রয়েছে।
এনএইচসির পরিচালক মাইকেল ব্রেনান এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আমরা জ্যামাইকা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। কেননা, হারিকেন এখন এই দ্বীপের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এটি অল্প সময়ের মধ্যে জ্যামাইকার ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে।
এর আগে সোমবার (০১ জুলাই) পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে হারিকেন বেরিল। বাতাসের তীব্র বেগে সেখানকার বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো ভেঙে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ। এছাড়া অনেক ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে সেখানকার বিমানবন্দরগুলোতে।
শক্তিশালী এই হারিকেনটি আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং ওই অঞ্চলে আগেই প্রাণঘাতী বাতাস ও বিপজ্জনক ঝড়বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)-এর সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, হারিকেনটির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ মাইল বা ২৪১ কিলোমিটার। এ পরিস্থিতে সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস এবং গ্রেনাডার জন্য হারিকেন সতর্কতা জারি করা হয়েছিল এবং জ্যামাইকার জন্য একটি হারিকেন ওয়াচ জারি করা হয়েছে। এছাড়া কাছাকাছি অঞ্চল টোবাগোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সোমবার থেকে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অল টোবাগো ফিশারফোক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কার্টিস ডগলাস বলেন, 'দ্বীপের পূর্ব দিকের অংশ সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং সাগরগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। উপকূলে জেলেদের বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে এবং তারা তাদের নৌকাগুলোকে পানি থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।'
এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গ্রেনাডাও বেশ কিছু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে, যা দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে এবং এই আবহাওয়া ও অন্যান্য সতর্কতা সংক্রান্ত সরকারি আপডেট পাওয়ার ক্ষেত্রেও মানুষকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
এদিকে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে গ্রেনাডার প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, 'আমরা এখনও বিপদমুক্ত হইনি।'
আইডিএফ'র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নেতানিয়াহুর তীব্র বিরোধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রচণ্ড বিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে এ বিরোধ দেখা দিয়েছে। তবে নেতানিয়াহুর অবস্থান তার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি বলছেন, কোনোভাবেই যুদ্ধবিরতি হবে না। টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মতে, আইডিএফের শীর্ষ জেনারেলরা যেকোনো মূল্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান। এমনকি তাতে যদি উপত্যকার শাসন ক্ষমতা হামাসের হাতেই থাকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস অজ্ঞাত সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চায় ইসরায়েলের সামরিক নেতৃত্ব।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে হামাস। পাশাপাশি দুই শতাধিক জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। জবাবে গাজায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। এরপর থেকে দীর্ঘ আট মাসের বেশি ধরে এ যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এতে গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর আর্টিলারি শেল বা গোলার সরবরাহও কমে আসছে। অন্যদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় গাজায় একটা কার্যকর একটা যুদ্ধবিরতি চাইছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জেনারেলরা।
সোমবার (১ জুলাই) নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইলের জেনারেল স্টাফ ফোরামের ৩০ জন সিনিয়র জেনারেল চাইছেন, নেতানিয়াহু হামাসের সাথে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছান। এমনকি সেক্ষেত্রে যদি হামাসের হাতেই শাসন ক্ষমতা রাখতে হয়ও।
প্রতিবেদনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ছয় বর্তমান কর্মকর্তা ও সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করা হয়েছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
তবে নেতানিয়াহু ‘অজ্ঞাত সূত্র’র প্রতিবেদনটি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, হামাসকে ক্ষমতায় রেখে গাজায় যুদ্ধের অবসান হবে না।
তিনি বলেছেন, ‘অজ্ঞাত পক্ষগুলো কারা তা আমি জানি না। কিন্তু এখানে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট করছি: এমনটি ঘটবে না।’ তিনি আরও বলেন, হামাসকে নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্তির সব লক্ষ্য অর্জনের পর কেবল আমরা এই যুদ্ধ শেষ করব।
যার অনুষ্ঠানে এসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু, কে এই ভোলে বাবা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: ভারতের উত্তর প্রদেশের ভোলে বাবা
আন্তর্জাতিক
ভারতের উত্তর প্রদেশের ভোলে বাবা নামে এক ধর্মগুরুর সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে এসে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভক্তরা হাথরাসে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আসলে সেখানেই এই মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
যে জায়গায় ভোলে বাবা নামে ওই ধর্মগুরুর ভাষণ শোনার জন্য অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল, সেটি ইটাহ ও হাথরাস জেলা দুটির সীমান্তে।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, তীব্র গরমের মধ্যে চলছিল সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান। তখন তাঁবুর ভেতরে একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরই হুড়মুড় করে বেরোতে যান ভক্তরা। আর তখনই পদপিষ্টের ঘটনা।
এত মানুষের প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং জানান। হাথরাস জেলার মুঘলগড়ি গ্রামে ভোলে বাবার অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে।
হতাহতদের বিভিন্ন পরিবহনে করে সিকান্দ্রারাউ শহরের একটি ট্রমা সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রমা সেন্টারের বাইরে মেঝেতে লাশ পড়ে আছে। এবং ট্রমা সেন্টারের বাইরে বিশৃঙ্খলা রয়েছে এবং লোকেরা তাদের নিকটাত্মীয়দের সন্ধানে সেখানে আসছেন।
কে এই ভোলে বাবা?
ভোলে বাবা একজন ধর্মপ্রচারক। তিনি উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। সেখানেই মঙ্গলবার পদদলিত হয়ে শতাতিক ব্যক্তির প্রাণ যায়। আলোচিত এ ভোলে বাবা আগে রাজ্য পুলিশে চাকরি করতেন। পুলিশে তিনি প্রায় ১৮ বছর চাকরি করেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিটে কাজ করতেন ভোলে বাবা। চাকরি ছাড়ার পর তিনি লোকজনকে উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জন্য সৎসঙ্গ আয়োজন শুরু করেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাবার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। নিজেকে নারায়ণ সরকার হরি বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন তিনি। তার ভক্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
এই ভোলে বাবা পাতিয়ালির বিশ্ব হরি বাবা নামে বেশি পরিচিত। জনসমক্ষে তিনি আসেন সাদা কাপড়ে। উপদেশ অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে থাকেন স্ত্রী। বাবার ভক্তদের বেশিরভাগই আসেন আগ্রা ও আলিগড় জেলা থেকে। তার ভক্তদের বেশিরভাগই নিম্নআয়ের।
বাবা কোনো গুরুর অনুসারী নন বলে বিশ্বাস করা হয়। তার দাবি, যেসব উপদেশ তিনি দেন, সেগুলো সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসা।
ফেসবুকে বাবার অনুসারীর সংখ্যা তিন লাখের বেশি। তার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে অনেক সংসদ সদস্য ও বিধানসভার সদস্য যোগ দেন বলে মনে করা হয়। এ অনুষ্ঠান মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এত জনপ্রিয়তার পরও গণমাধ্যম থেকে দূরে রাখা হয় বাবার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান। বাবার সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্যও সামনে আসে না ভোলে বাবার লোকেরা গোলাপি রঙের শার্ট প্যান্ট এবং সাদা ক্যাপ পরেন। অনুষ্ঠানে ট্রাফিক সামলানো এবং আয়োজনের বিষয় তারা দেখভাল করেন।