আইডিএফ'র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নেতানিয়াহুর তীব্র বিরোধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ছবি: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রচণ্ড বিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে এ বিরোধ দেখা দিয়েছে। তবে নেতানিয়াহুর অবস্থান তার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি বলছেন, কোনোভাবেই যুদ্ধবিরতি হবে না। টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মতে, আইডিএফের শীর্ষ জেনারেলরা যেকোনো মূল্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান। এমনকি তাতে যদি উপত্যকার শাসন ক্ষমতা হামাসের হাতেই থাকে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস অজ্ঞাত সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চায় ইসরায়েলের সামরিক নেতৃত্ব।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে হামাস। পাশাপাশি দুই শতাধিক জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। জবাবে গাজায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। এরপর থেকে দীর্ঘ আট মাসের বেশি ধরে এ যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এতে গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর আর্টিলারি শেল বা গোলার সরবরাহও কমে আসছে। অন্যদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় গাজায় একটা কার্যকর একটা যুদ্ধবিরতি চাইছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জেনারেলরা।

সোমবার (১ জুলাই) নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইলের জেনারেল স্টাফ ফোরামের ৩০ জন সিনিয়র জেনারেল চাইছেন, নেতানিয়াহু হামাসের সাথে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছান। এমনকি সেক্ষেত্রে যদি হামাসের হাতেই শাসন ক্ষমতা রাখতে হয়ও।

প্রতিবেদনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ছয় বর্তমান কর্মকর্তা ও সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করা হয়েছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

তবে নেতানিয়াহু ‘অজ্ঞাত সূত্র’র প্রতিবেদনটি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, হামাসকে ক্ষমতায় রেখে গাজায় যুদ্ধের অবসান হবে না।

তিনি বলেছেন, ‘অজ্ঞাত পক্ষগুলো কারা তা আমি জানি না। কিন্তু এখানে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট করছি: এমনটি ঘটবে না।’ তিনি আরও বলেন, হামাসকে নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্তির সব লক্ষ্য অর্জনের পর কেবল আমরা এই যুদ্ধ শেষ করব।

পরাজয় মেনে নিয়ে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ঋষি সুনাক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, বিরোধী লেবার পার্টি ৬৫০ আসনের হাউস অব কমেন্সে ৩২৬টিরও বেশি আসনে জয় নিশ্চিত করেছে এবং সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ৬১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রিচমন্ড এবং নর্দার্ন অ্যালারটনে ঋষি সুনাক বলেন, লেবার পার্টি সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। আমি স্যার কেয়ার স্টারমারকে তার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছি। আজ শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল উপায়ে ক্ষমতার হাত বদল হবে। দেশের স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।

সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সুনাক বলেন, আমি দুঃখিত। আমি ক্ষতির দায় নিচ্ছি।

১৪ বছর পর ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসল লেবার পার্টি। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। তবে এমন সময় স্টারমার ক্ষমতায় আসছেন যখন দেশটিতে স্থবির অর্থনীতি, জীবনযাত্রার মান হ্রাস, জনসাধারণের পরিষেবাগুলিকে ক্রমাগত ছোট করে ফেলা হয়েছে।

বিজয় সত্ত্বেও স্টারমার বা তার দলের জন্য সামান্য উত্সাহ রয়েছে। তিনি এমন সময়ে ক্ষমতায় এসেছেন যখন দেশটি বেশ কয়েকটি ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ব্রিটেনের করের বোঝা সর্বোচ্চ আঘাত হানতে চলেছে। নিট ঋণ প্রায় বার্ষিক অর্থনৈতিক উৎপাদনের সমতুল্য, জীবনযাত্রার মান কমে গেছে।

;

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী টিউলিপ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক

টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবারও লেবার পার্টির প্রতিনিধি হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। লেবার পার্টির পক্ষে হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। এ নিয়ে এটি তার টানা চতুর্থ জয়।

 বিবিসির নির্বাচনী তথ্য অনুযায়ী, টিউলিপ ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট (৪৮.৩ শতাংশ) পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী ডন উইলিয়ামস ৮ হাজার ৪৬২ (১৭.৪ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ৭ জন। 

এর আগে ২০১৫ সালে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে প্রথমবারের মত এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও একই আসন থেকে জয়লাভ করেন। 

টিউলিপ সিদ্দিক ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নে বসবাস করছেন। এই এলাকাতেই তিনি স্কুলে পড়েছেন এবং কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

;

১৪ বছর পর যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় লেবার পার্টি  



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৩২৬টিরও বেশি সিট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছে লেবার পার্টি

৩২৬টিরও বেশি সিট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছে লেবার পার্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বড় জয় পাচ্ছে এটা আগে থেকেই ধারণা ছিল। ভোট গণনার পর এ ধারণাই সত্য হলো। ১৪ বছর পর ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসল লেবার পার্টি। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার।

সংবাদমাধ্যম সিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফল গণনা শেষে ৬৫০ আসনের হাউস অব কমেন্সে ৩২৬টিরও বেশি সিট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছে লেবার পার্টি।  

কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ঋষি জানিয়েছেন, এরই মধ্যে স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। 

এদিকে হোলবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসের আসন থেকে জয় পাওয়ার পর লেবার নেতা স্টারমার বলেন, ‘এখান থেকেই পরিবর্তনের শুরু।’

ফল ঘোষণার পর এখন লেবার পার্টিকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। সেক্ষেত্রে শুক্রবারই রাজার কাছে পদত্যাগ জমা দিতে পারেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। 

আগামী ৯ জুলাই পার্লামেন্টে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতারা। এরপর নির্বাচিত হবেন নতুন স্পিকার। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পার্লামেন্টের অধিবেশন।

;

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন

জয়ের পথে এগিয়ে স্টারমার, সুনাকের ভরাডুবি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে ফলাফল নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শেষ হয়নি। জরিপকারী সংস্থাগুলো পূর্বাভাস দিয়েছে এবার রেকর্ড জয় পেয়ে সরকার গঠন করবে লেবার পার্টি। পক্ষান্তরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির এবার ভরাডুবি হতে পারে। ঠিক এমনটাই হতে চলেছে এবারের নির্বাচনের ফলাফল।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপকারী সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস সত্যি হলে এবার ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন স্যার কেয়ার স্টারমার। ৪১০টি আসনে জয় লাভ করে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন লেবার পার্টির এই নেতা। অন্যদিকে, ১৩১টি আসন নিয়ে অনেকটা ধরাসায়ী অবস্থানে আছেন কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাক। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ৬১ জন এমপি নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ২০১০ সালের নির্বাচনে এই লেবার পার্টিকে পরাজিত করে ক্ষমতায় এসেছিল কনজারভেটিভ পার্টি। তারপর আরও দু’দফা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মোট ১৪ বছর ক্ষমতায় ছিল দলটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই ১৪ বছরের অধিকাংশ সময় অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে যুক্তরাজ্যের জনগণকে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল, ব্রেক্সিট, করোনা মহামারি, ব্যাপক মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন সংকট ও দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি হতাশ ব্রিটেনের জনগণের উল্লেখযোগ্য অংশ। সেই হতাশার পরিমাণ কতখানি, তা অনুমান করা যাবে সাম্প্রতিক এই জরিপের ফলাফল দেখলে। সেই ফলাফল বলছে, এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে জয়ী হবে লেবার পার্টি। জরিপের ফলাফল যদি সত্য হয়, তাহলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য হাউস অব কমন্সের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি আসন থাকবে লেবার পার্টির দখলে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের আসন সংখ্যা ৬৫০টি। এবারের নির্বাচনে বৃটেনের পার্লামেন্ট সদস্যদের নির্বাচিত করতে ভোটে অংশ নিচ্ছে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার। পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যেকোনো দলকে কমপক্ষে ৩২৬টি আসনে জয়ী হতে হবে। নির্বাচনে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ ভোট দিতে পারবেন।

;