আঘাত হানল হারিকেন 'বেরিল', বিদ্যুৎ বিভ্রাট-দুর্ভোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল প্রবল শক্তি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব অঞ্চলের বহু মানুষ। সেখানে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে এবং অনেকগুলো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছে হারিকেন বেরিল। বাতাসের তীব্র বেগে সেখানকার বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো ভেঙে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ। এছাড়া অনেক ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে সেখানকার বিমানবন্দরগুলোতে।

হারিকেন বেরিল গ্রেনাডার ক্যারিয়াকো দ্বীপে আছড়ে পড়েছে বলে মার্কিন জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে। শক্তিশালী এই হারিকেনটি গত কয়েক ঘণ্টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং ওই অঞ্চলে আগেই প্রাণঘাতী বাতাস ও বিপজ্জনক ঝড়বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)-এর সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, হারিকেনটির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ মাইল বা ২৪১ কিলোমিটার। ঝড়টি সেসময় আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল বলেও জানানো হয়।

এ পরিস্থিতে সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস এবং গ্রেনাডার জন্য হারিকেন সতর্কতা কার্যকর রয়েছে এবং জ্যামাইকার জন্য একটি হারিকেন ওয়াচ জারি করা হয়েছে। এছাড়া কাছাকাছি অঞ্চল টোবাগোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সোমবার থেকে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অল টোবাগো ফিশারফোক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কার্টিস ডগলাস বলেন, 'দ্বীপের পূর্ব দিকের অংশ সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং সাগরগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। উপকূলে জেলেদের বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে এবং তারা তাদের নৌকাগুলোকে পানি থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।'

এদিকে সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, 'আমরা এখনও বিপদমুক্ত হইনি।'

এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গ্রেনাডাও বেশ কিছু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে, যা দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে এবং এই আবহাওয়া ও অন্যান্য সতর্কতা সংক্রান্ত সরকারি আপডেট পাওয়ার ক্ষেত্রেও মানুষকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

জ্যামাইকাতেও হারিকেন সতর্কতা কার্যকর রয়েছে, যার অর্থ এই অঞ্চলটিতে বুধবারের মধ্যে হারিকেন আঘাত হানতে পারে। সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইনের প্রধানমন্ত্রী রাল্ফ গনসালভেস বলেছেন, এটি কোনও রসিকতা নয়। এসময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে অতীতের হারিকেনের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

২১৫ কি.মি গতিতে জ্যামাইকায় আঘাত হেনেছে হারিকেন 'বেরিল'



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল শক্তি নিয়ে জ্যামাইকায় আঘাত হেনেছে অতি বিপজ্জনক শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হারিকেন বেরিল। এতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপটির বেশ কিছু ভবন ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি জানায়, বেরিল ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) বেগে জ্যামাইকার দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হেনেছে।

হারিকেনটি আঘাত হানার পর ওই এলাকার বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে। এতে অঞ্চলটির রাস্তা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বাসার ছাঁদ উড়ে এসে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এখন পর্যন্ত এই ঝড়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ সেন্ট এলিজাবেথ প্যারিশের গ্রামীণ কৃষক সম্প্রদায়ের বাসিন্দা অ্যামোয় ওয়েলিংটন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, "ঝড়টি অতি ভয়ানক মাত্রায় আঘাত হেনেছে। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি আমার বাড়িতে আছি এবং ভয় পাচ্ছি।"

জ্যামাইকায় আগে থেকেই হারিকেন সতর্কতা কার্যকর রয়েছে এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস এর আগে জনগণকে ‘এই হারিকেনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার’ আহ্বান জানান।

যারা নিচু এলাকায় বাস করেন, যেখানে বন্যা ও ভূমিধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অথবা নদী তীরবর্তী অবস্থানে থাকেন তাদেরকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

পরিচালক ব্রেনান আরও বলেন, প্রবল শক্তিশালী এ ঝড়টি জ্যামাইকার দক্ষিণ অংশের পাশ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। ওই সময় হারিকেনটির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার।

হারিকেনটির কারণে জ্যামাইকার স্থলভাগ অতিক্রমের সময় সেখানে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে সতর্কতা দেন তিনি।

;

গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় প্রতি ১০ জনের ৯ জনই ‘বাস্তুচ্যুত’। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০ জনের নয়জনই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ)

সংস্থাটি বলছে, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ওসিএইচএ প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেন, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেরুজালেমে আন্দ্রেয়া বলেন, আমাদের ধারণা গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন অন্তত একবার হলেও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা ১৭ লাখ অনুমান করেছিলাম। এরপর আমারা রাফাতে অনুসন্ধান করেছি। রাফায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। তারপর আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলেও অনুসন্ধান করেছি। এই ধরনের সামরিক অভিযান মানুষকে বারবার তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে বাধ্য করছে।

ওসিএইচএ প্রধান আরও বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানে গাজা উপত্যকা দুভাগে ভাগ হয়েছে। ওসিএইচএর হিসাব মতে উত্তর গাজায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ বসবাস করছেন, যারা দক্ষিণে যেতে পারছেন না।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। প্রায় ৯ মাস ধরে চলা এ বর্বরতায় নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর এ সময়ে আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

;

সব চাপ উপেক্ষা করে বাইডেন জানালেন ‘আমিই নির্বাচনে লড়ছি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সপ্তাহে দুর্বল বিতর্কের সমালোচনার পর আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে জো বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর আলোচনা খোদ ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে জোরালো হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে বাইডেন জানালেন আশার কথা।

সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার প্রচারণা কর্মীদের সাথে ফোন কলে কথা বলেছেন এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সাথে বৈঠক করেছেন। এসময় ২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেরও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বাইডেনের এই ফোনকল সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্র জানিয়েছে, কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমিই নির্বাচনে লড়ছি।’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌড় থেকে কেউ তাঁকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

;

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজারে পৌঁছাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গগত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলছে। এতে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৮ হাজারে। এসময়ে আহত হয়েছেন আরও ৮৭ জন।

বুধবার (৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৫৩ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৮৭ হাজার ২৬৬ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি পরিবারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ‘হত্যাকাণ্ডে’ ২৮ জন নিহত এবং আরও ১২৫ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

;